শরীরে শক্তি বৃদ্ধি উপায় শরীরে শক্তি বাড়ানোর কৌশল এগুলো জেনে নিন
শরীরে শক্তি বৃদ্ধি উপায় শরীরে শক্তি বাড়ানোর কৌশল এগুলো জেনে নিন
জেনে নিন সারাদিন আপনাকে সতেজ রাখবে যে ২০ খাবার,শরীরের এনার্জি বাড়ানোর চটজলদি উপায়,শরীরের শক্তি বাড়ানোর কৌশল,পুরুষদের শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রাকৃতিক উপায়,ওষুধ ছাড়া শরীরের শক্তি বৃদ্ধিতে খাদ্য,১০ টি খাবার খেলে বৃদ্ধি পায় শুক্রাণু,যেসব খাবারে শরীরের যৌনশক্তি বাড়ে প্রাকৃতিক উপায়,হার্বাল চায়ের গুণ বাড়াতে ৭টি উপাদান।এই টিপস গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম আশা করি আপনারা সবাই মিলে পড়ে দেখবেন আশাকরি এখান থেকে আপনাদের শরীরের শক্তি বাড়াতে পারবেন।
জেনে নিন সারাদিন আপনাকে সতেজ রাখবে যে ২০ খাবার
কিসমিস
কিসমিস সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে পানিসহ খেয়ে নিন। এগুলো সারাদিন আপনার শরীরে শক্তি সঞ্চয় করবে। ফলে আপনিও থাকবেন সতেজ।
ডাল
সারাদিন সতেজ রাখতে ডালও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন সকালে নাস্তার সময় অর্ধ সিদ্ধ ডাল খেলে এটা শরীরে শক্তি সঞ্চয় করে। এতে করে মানুষের কাজের স্পৃহা বেড়ে যায়। তাছাড়া দুপুরের খাবারের সঙ্গেও এটি খাওয়া যেতে পারে।
ডিম
শক্তি সঞ্চয়ের জন্য খাবার হিসেবে ডিম সবচেয়ে কার্যকরী খাবার। প্রতিদিন সকালের নাস্তায় বা দুপুরের খাবারের সঙ্গে ডিম খেতে পারেন। এটি আপনার শরীরের শক্তি সঞ্চয় করে শরীরকে রাখবে সতেজ ও কর্মউদ্যোম।
আঁশযুক্ত খাবার
সারাদিন সতেজ রাখতে আঁশ জাতীয় খাবার যেমন সয়াবিন, কর্ণ, শিম, অ্যাভোকাডো , বাদামী চাল , গমের রুটি, ব্রকোলি, কমলালেবু এবং বিভিন্ন ধরনের সবজি খেতে পারেন। এগুলো আপনার শরীরের জন্য খুব উপকারী।
সবুজ চা
ক্লান্তি দূর করার জন্য অনেকেই গরম কিছু পান করে থাকেন। সে ক্ষেত্রে দুধ চা থেকে সবুজ চা পান করা বেশি উপকারী।
পানি
শরীরকে সারাদিন সতেজ রাখতে পানি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। শরীরের যে কোনো সমস্যা সমাধানেও পানির কোনো বিকল্প নেই।
লেবু
শরীরের শক্তি সঞ্চয়ে লেবু অত্যন্ত কার্যকর। গ্রীষ্মকালে চিনি, পানি ও পুদিনার সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে শরবত বানিয়ে খেতে পারেন। এ পানীয় শরীরকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।
মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলুতে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে; যা শরীরে শক্তির চাহিদা পূরণ করে। এটা রক্তে সুগারের মাত্রা কমিয়ে সারাদিন প্রাণবন্ত রাখতে সাহায্য করে।
রসুন
প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে একটু রসুন খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এ খাবারটি রক্ত পরিষ্কার করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
পেঁয়াজ
প্রতিদিন দুপুরের খাবারে ছোট ৩-৪টি কাঁচা পেয়াজ খেলে শরীর সতেজ থাকে। এটা রক্তে সুগারের মাত্রা কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে এবং অতিরিক্ত চর্বি দূর করে।
জিরা
জিরা বীজ সিদ্ধ করে পানি খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। এটি পাচনতন্ত্রের জন্যও ভালো খাদ্য।
চিনি
শরীরকে সতেজ রাখতে আখের চিনি থেকে পাম চিনি বেশি কার্যকরী। কারণ এতে কম পরিমাণে ক্যালোরি থাকে। তাই সারাদিন সতেজ থাকতে এই খাবারটিও নিয়মিত খান।
স্যুপ
অপারেশনের পর, ঠান্ডা কিংবা শরীরে ব্যাথা থাকলে স্যুপ খেলে তা দ্রুত সেরে যায়। চিকেন স্যুপে থাকা আদা এবং মরিচ দ্রুত এ সমস্যাগুলো সমাধানে কাজ করে।
জাউ
পেট যন্ত্রণায় বা হজমের সমস্যা সমাধানে জাউ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। জাউ চাল, রসুন ও পেঁয়াজের মিশ্রণে তৈরি; যা সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় শক্তি সঞ্চয় করে থাকে।
অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েলের রান্না খেলে শরীরে মেদ জমে না। এটা শরীরের রক্ত প্রবাহকে বাড়িয়ে দেয়। ফলে শরীর সতেজ থাকে।
মাশরুম
মাশরুমের স্যুপ দুধ চা এবং কফির বিকল্প হিসেবে খাওয়া যায়। এটাও শরীরকে সতেজ রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
কলা
কলা শক্তি সঞ্চয়ে কাজ করে। রাতে শোয়ার আগে কলা খেলে তা শরীরে শক্তি জমা করে রাখে। ফলে পরদিনও শরীর সতেজ থাকে।
মধু
মধু শক্তির উৎস। প্রতিদিন গরম লেবুর জুসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে শরীর সতেজ এবং আরও প্রাণবন্ত হয়।
শরীরের এনার্জি বাড়ানোর চটজলদি উপায়
আপনার কি সব সময় ক্লান্ত লাগে? যাই করুন না কেন সব সময় ঘুম পায়? মাঝে মাঝে শরীরে এনার্জির ঘাটতির ফলে ক্লান্ত লাগে। কিছু এনার্জি বুস্টিং টিপ্স দেয়া হলো যা ফলো করলে দেখবেন সমস্যা অনেকটা কমে গেছে।
সকালের নাস্তা বাদ দেবেন না : ব্রেকফাস্ট দিনের প্রথম খাবার। তাই এটা আপনার সারা দিন শরীরের এনার্জি লেভেল নির্ধারণ করে। তাই প্রাতঃরাশ না করলে শরীর নতুন করে শক্তি সঞ্চয় হয় না। ফলে যত সময় যায় ধীরে ধীরে আপনার শরীরের এনার্জি কমতে থাকে। সকালে তাই এমন খাবার দিয়ে ব্রেকফাস্ট করুন যাতে প্রচুর কার্বোহাইড্রেড আর প্রোটিন আছে।
ব্যালেনসড ডায়েট : ভালো করে ব্রেকফাস্ট করেছেন বলে লাঞ্চ বা দিনের অন্য কোনো খাবার মিস করবেন না। প্রোটিন আর কার্বোহাইড্রেড সমৃদ্ধ খাবার ছাড়াও রোজ প্রচুর ফল খান। এছাড়াও এনার্জি বুস্টিং খাবার যেমন ডিম, ওটস বা বাদাম ডায়েটে রাখুন।
ব্যায়াম : যতই সঠিক খাবার খান ঠিক মতো ব্যায়াম না করলে কোনো লাভ হবে না। সকালে জগিং হোক বা সন্ধ্যাবেলায় ইভনিং ওয়াক, যেকোনো ব্যায়াম শরীরের জন্য খুব দরকারি।
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন : মাঝে মাঝে কম পানি খেলে ড্রেনড আউট আর ডিজি লাগে। দিনে কম করে ৭ থেকে ৮ গ্লাস পানি পান করুন।
স্ট্রেস আউট হবেন না একদম : স্ট্রেসড থাকলে খুব তাড়াতাড়ি এনার্জি লেভেলে ঘাটতি হয়। এই সময় ডিপ ব্রিদিং, ভালো মিউজিক শুনুন বা ভালো কোনো সিনেমা দেখুন বা মেডিটেশন সাহায্যে স্ট্রেস কমান।
বদভ্যাস পাল্টান : মদ বা সিগারেট সেবনের পর কিছুক্ষণের জন্য এনার্জি লেভেল বেড়ে গেলেও লং রানে কিন্তু তা ক্ষতি করে। কাজেই এ দুটি এড়িয়ে চলুন।
হাসি খুশি মানুষের সান্নিধ্যে থাকুন : দেখা গেছে নেগেটিভ ইমোশনস যেমন রাগ, ঈর্ষা, ফ্রাসট্রেশন এইসবের মধ্যে থাকলে স্ট্রেস বেড়ে যায় ফলে এনার্জি কমে যায়। তাই যতটা পারবেন হাসি খুশি মানুষের মধ্যে থাকার চেষ্টা করুন।
শরীরের শক্তি বাড়ানোর কৌশল
হেলথ ম্যাগাজিন অবলম্বনে শারীরিক ক্ষমতা বাড়ে এমন ১৯টি খাদ্য তালিকা এখানে তুলে ধরা হলো।
এই খাদ্য তালিকা হচ্ছে:
সামুদ্রিক মাছ, কাঁচা মরিচ, আভাকাদো বা নাশপাতি সদৃস এক ধরনের সবুজ ফল, চকলেট, কলা, মধু, কফি, তরমুজ, পাইন নাট, চেরি, মিষ্টি কুমড়ার বিচি, সবুজ পাতাওয়ালা সবজি, অলিভ ওয়েল, ফিগস, স্ট্রবেরী, আর্টিসকস, ছাইটি ও বেদানা। বিশেষজ্ঞদের মতে, সামুদ্রিক মাছে অ্যামাইনো এসিড, মরিচে এন্ডরফিন, আভাকাদোতে ভিটামিন সি, কালো চকলেটে ডোপামিন, কলার ব্রমোলাইন, মধুর বোরন, কফিতে মুড ভালো করার উপাদান, তরমুজের লাইকোপেন, পাইন নাটের জিংক, অলিভ অয়েলে মনো ও পলি আনস্যাসুরেটেড ফ্যাট, বেদানার ম্যাগনোশিয়াম শরীরের শক্তি বৃদ্ধিতে কার্যকর।
এসব উপাদানে পুরুষের শরীরের শক্তি বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় হরমোন টেসটেসটেরন উত্পাদন বৃদ্ধি, শরীরের ইমিউন সিস্টেম-এর উন্নয়ন ও মুড ভালো করাসহ নানাবিধ উপকারে আসে। ফলে এসব খাদ্য উপাদান আহারে শরীরের শক্তি বাড়ে এবং ওষুধ ছাড়া ভালো থাকা যায়
শক্তি বাড়ানোর কৌশল
শুধু ওজন বাড়িয়ে সেট মারলেই কি শক্তি বাড়ে? এটি শক্তি বাড়ানোর একটি পদ্ধতি যেটা সবাই জানে। আজ আমরা অন্য কিছু টেকনিক নিয়ে কথা বলবো যা আপনার শক্তি খুব দ্রুত বাড়াতে সাহায্য করবে। এগুলি কিছু কৌশলমাত্র যা আপনি যেকোন ব্যায়ামের সময়ই প্রয়োগ করতে পারবেন।
ব্যায়ামের পরিসীমা বাড়ান
আমরা নিজেকে একটু কঠিনভাবে ট্রেইন করতে চাইলে সাধারণত ওজন বাড়িয়ে সেট কমপ্লিট করি। এটা অবশ্যই ভালো। এছাড়াও ব্যায়ামে সামান্য কিছু ছোট পরিবর্তন এনেও মাসলে আলাদা প্রেশার দেওয়া সম্ভব। যেমনঃ পুশআপ দেওয়ার সময় চেস্টকে যতদূর সম্ভব মাটির কাছে নিয়ে যাওয়া, কোমড় উঁচু রাখা, আর উঠানোর সময় কনুই একেবারে সোজা করে উঠা।
কঠিন কিছু করুন
ব্যায়ামে ভ্যারিয়েশন আনুন। কষ্ট দিন নির্দিষ্ট পেশিকে। ধরা যাক সাধারণ স্কোয়াটের চেয়ে সিংগেল লেগ স্কোয়াট বেশি কষ্টকর। এতে আপনার পুরো শরীরের ভার একটি পায়ের উপর থাকে। তাছাড়া আপনাকে শরীরের ব্যালেন্স ঠিক রাখার প্রতিও নজর রাখতে হয়। সব মিলিয়ে কঠিন একটি ব্যায়াম।
ধীরে ধীরে ব্যায়াম করুন
তাড়াহুড়া করে শুধু সেট কমপ্লিট করলেই কি মাসলে প্রেশার পড়বে? ধীরে ধীরে সঠিক রেপ্স দেওয়ার চেষ্টা করুন। যে ব্যায়াম তাড়াহুড়া করে করতেন সেই ব্যায়ামই ধীরে করুন। পার্থক্য বুঝতে পারবেন সাথে সাথেই।
জানুন, পরিবর্তন করুন
অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বডিবিল্ডারদের দেখুন। তাদের ব্যায়াম করার টেকনিক দেখুন, জানুন। নিজের ব্যায়ামের সাথে তুলনা করে পরিবর্তন করার চেষ্টা করুন। আর প্র্যাকটিস করুন। কারণ একটা জিনিস যত বেশি প্র্যাকটিস করবেন, তত বেশিই আয়ত্ব করতে পারবেন।
সকালে একটি খাবার খেলে শরীরে শক্তি বাড়ে বহুগুণ !
শরীরের বিভিন্ন পুষ্টি পূরণে আমরা প্রতিদিনই অনেক ধরনের খাবার খেয়ে থাকি কিন্তু সবাই জানি কি কোন ধরনের খাবার আমাদের সেক্স বাড়াতে সক্ষম?
সাধারণত খাবারে ভিটামিন এবং মিনারেলের ভারসাম্য ঠিক থাকলে শরীরে এন্ড্রোক্রাইন সিস্টেম সক্রিয় থাকে।
আর তা আপনার শরীরে এস্ট্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরনের তৈরি হওয়া নিয়ন্ত্রণ করে।
এস্ট্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরন সেক্সের ইচ্ছা এবং পারফরমেন্সের জন্য জরুরি।
আপনি যৌন মিলনের মুডে আছেন কিনা তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করে আপনার খাদ্য।
শরীরে পাওয়ার বাড়ায় বহুগুণ।
দুধ :
বেশি পরিমাণ প্রাণিজ-ফ্যাট আছে এ ধরনের প্রাকৃতিক খাদ্য আপনার যৌনজীবনের উন্নতি ঘটায়। যেমন, খাঁটি দুধ, দুধের সর, মাখন ইত্যাদি।
বেশিরভাগ মানুষই ফ্যাট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে চায়।
কিন্তু আপনি যদি শরীরে সেক্স হরমোন তৈরি হওয়ার পরিমাণ বাড়াতে চান তাহলে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট জাতীয় খাবারের দরকার।
তবে সগুলিকে হতে হবে প্রাকৃতিক এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট।
পুরুষদের শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রাকৃতিক উপায়
অধিকাংশ পুরুষের মধ্যে একটা সমস্যা বেশ প্রকট হয়ে উঠছে। দিন যত যাচ্ছে পুরুষের মধ্যে নপুংসকতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষের যৌন ইচ্ছা যাচ্ছে ক্রমশ কমে। কাজেই যৌন চাহিদা কমে যাওয়ার আগে থেকে সচেতন হওয়া প্রয়োজন৷ জেনে নিতে পারেন কী করে এই চাহিদা ক্রমশ ক্ষয়মান হচ্ছে৷
হোম রেমেডি পুরুষের এই সমস্যা সমাধানের জন্য এগিয়ে এসেছে৷ তারা যাতে আবার তাদের পূর্ণ যৌন ইচ্ছা ফিরে পায় তার উপায় বার করেছে হোম রেমেডি৷ যাদের মধ্যে এই অসুবিধা সবেমাত্র দেখা দিয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে হোম রেমেডি কার্যকরী হতে পারে৷ কিছু কিছু ক্ষেত্রে হোম রেমেডি দ্বারা চিকিৎসা করা যায় কিন্তু সবক্ষেত্রে হোম রেমেডি প্রযোজ্য নয়৷
এবার আসুন জানা যাক যৌন অক্ষমতার প্রথম ধাপের চিকিৎসাতে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য কি কি সামগ্রী কাজে লাগতে পারে বা তা ব্যবহারে কি উপকার হয়-
রসুন: যৌন অক্ষমতার ক্ষেত্রে রসুন খুব ভালো ফল দিয়ে থাকে৷ রসুনকে ‘গরীবের পেনিসিলিন’ বলা হয়৷ কারণ এটি অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে৷ যা আমরা প্রায় প্রতিনিয়্তই খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে থাকি৷
আপনার যৌন ইচ্ছা ফিরে আনার ক্ষেত্রে এর ব্যবহার খুবই কার্যকরী৷ কোনো রোগের কারণে বা দুর্ঘটনায় আপনার যৌন ইচ্ছা কমে গেলে এটি আপনাকে তা পুনরায় ফিরে পেতে সাহায্য করে৷ এছাড়া যদি কোনো ব্যক্তির যৌন ইচ্ছা খুব বেশি হয় বা তা মাত্রাতিরিক্ত হয় যার অত্যধিক প্রয়োগ তার নার্ভাস সিস্টেমের ক্ষতি করতে পারে এমন ক্ষেত্রেও রসুন খুবই কার্যকরী৷
প্রতিদিন দু’ থেকে তিনটি রসুনের কোয়া কাঁচা অবস্থায় চিবিয়ে খান৷ এতে আপনার যৌন ইচ্ছা কমে গিয়ে থাকলে তা বৃদ্ধি পাবে৷ এ ছাড়া গমের তৈরি রুটির সঙ্গে রসুন মিশিয়ে খেলে তা আপনার শরীরে স্পার্ম উৎপাদনের মাত্রা বাড়ায় এবং সুস্থ্য স্পার্ম তৈরিতে এটি সাহায্য করে৷
পেঁয়াজ: কাম-উত্তেজক ও কামনা বৃদ্ধিকারী হিসেবে পেঁয়াজ বহুদিন থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে৷ কিন্তু এটি কীভাবে এই বিষয়ে কার্যকরী তা এখনো পর্যন্ত সঠিকভাবে জানা যায়নি৷
সাদা পেঁয়াজ পিষে নিয়ে তাকে মাখনের মধ্যে ভালো করে ভেঁজে নিয়ে তা প্রতিদিন মধুর সঙ্গে খেলে তা থেকে উপকার পাওয়া যায়৷ কিন্তু একটি বিষয় মনে রাখবেন, এটি খাওয়ার আগে ঘণ্টা দুয়েক সময় আপনার পেট খালি রাখবেন৷ এইভাবে প্রতিদিন খেলে স্খলন, শীঘ্রপতন বা ঘুমের মধ্যে ধাতুপতন ইত্যাদি সমস্যার সমাধান হওয়া সম্ভব৷
এছাড়া পেঁয়াজের রসের সঙ্গে কালো খোসা সমেত বিউলির ডালের গুঁড়ো সাত দিন পর্যন্ত ভিজিয়ে রেখে তাকে শুকিয়ে নিন৷ এটির নিয়্মিত ব্যবহার আপনার কাম-উত্তেজনা বজায় রাখবে এবং শারীরিক মিলনকালীন সুদৃঢ়তা বজায় রাখবে৷
গাজর: দেড়শো গ্রাম গাজর কুঁচি এক টেবিল চামচ মধু এবং হাফ-বয়েল ডিমের সঙ্গে মিশিয়ে দুমাস খেলে আপনার শারীরিক এই অক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে।
ওষুধ ছাড়া শরীরের শক্তি বৃদ্ধিতে খাদ্য
অনেকে প্রশ্ন করেন কোন ধরনের খাবার আহার করলে শারীরিক ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শরীরের রক্ত চলাচল বাড়ে। তৈরি হয় প্রয়োজনীয় কিছু হরমোন। ফ্রেশ থাকে মুড ইত্যাদি ইত্যাদি। আমরা যারা চিকিৎসক এবং প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে নির্দয়ভাবে প্রেসক্রিপশনে গাদাগাদা ওষুধ লিখি তারা বিকল্প চিকিৎসার কথা সব সময় ভাবি না। অথচ অনেকে ওষুধ ছেড়ে শারীরিক ক্ষমতা বাড়াতে এক্সারসাইজ ও খাবারের কথা ভাবছেন। বিদেশি হেলথ ম্যাগাজিন অবলম্বনে শারীরিক ক্ষমতা বাড়ে এমন ১৯টি খাদ্য তালিকা এখানে তুলে ধরা হলো। এই খাদ্য তালিকা হচ্ছে :
সামুদ্রিক মাছ, কাঁচা মরিচ, নাশপাতি সদৃশ্য এক ধরনের সবুজ ফল, চকলেট, কলা, মধু, কফি, তরমুজ, পাইন নাট, চেরি, মিষ্টি কুমড়ার বিচি, সবুজ পাতাওয়ালা সবজি, অলিভ ওয়েল, ফিগস, স্ট্রবেরি, আর্টিসকস, ছাইটি ও বেদানা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সামুদ্রিক মাছে অ্যামাইনো এসিড, মরিচে এন্ডরফিন, নাশপাতিতে ভিটামিন সি, কালো চকলেটে ডোপামিন, কলায় ব্রমোলাইন, মধুতে বোরন, কফিতে মুড ভালো করার উপাদান, তরমুজে লাইকোপেন, পাইন নাটে জিংক, অলিভ অয়েলে মনো ও পলি আনস্যাসুরেটেড ফ্যাট, বেদানার ম্যাগনেশিয়াম শরীরের শক্তি বৃদ্ধিতে কার্যকর।
এসব উপাদানে পুরুষের শরীরের শক্তি বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় হরমোন টেসটেসটেরন উৎপাদন বৃদ্ধি, শরীরের ইম্যিউন সিস্টেম-এর উন্নয়ন ও মুড ভালো করাসহ নানাবিধ উপকারে আসে। ফলে এসব খাদ্য উপাদান আহারে শরীরের শক্তি বাড়ে এবং ওষুধ ছাড়া ভালো থাকা যায়।
১০ টি খাবার খেলে বৃদ্ধি পায় শুক্রাণু
শরীরের পুষ্টির জন্য প্রয়োজন সুষম খাদ্য। পুষ্টিকর খাদ্য শুধুমাত্র আপনার শারীরিক স্বাস্হ্য সুস্হ বজায় রাখে তা নয় যৌন স্বাস্হ্যের ওপর এর প্রভাব পড়ে। আমরা এখানে এমন 10 টি খাবারের কথা বলবো যা শরীরের শক্তি যোগানের সাথে শুক্রাণুও বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করবে।
১. ডিম
ডিম-র মধ্যে উপস্হিত ভিটামিন প্রজনন ক্ষমতার বৃদ্ধি ঘটায়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিঙ্গের কোষগুলি অকার্যকর হওয়ার থেকে রক্ষা করে।
২. ডার্ক চকলেট
ডার্ক চকলেটের খাদ্যাভ্যাস পুরুষদের শরীরে বীর্য পরিমাণ বৃদ্ধি করে। এর ফলে শুক্রাণুর সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়।
৩. টমেটো
ইনফর্টিলিটীর দ্বারা পীড়িত মানুষের মধ্যে লাইকোপিনের মাত্রা খুব কম থাকে। ক্যারেটোনাইট লাইকোপিন শুক্রাণুর সংখ্যা এবং কার্যকলাপ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। টমেটো এই ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট জন্য খুব ভালো উত্স।
৪. গাজর
গাজরে উপস্হিত ভিটামিন পুরুষদের স্নায়ুতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে এবং যৌন কার্যকলাপ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
৫. পালংশাক
ফলিক অ্যসিডে সমৃদ্ধ পালংশাক শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে এবং তাকে ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
৬. আখরোট
আখরোট বীর্যের ভলিউম বাড়ায়। তার সাথে শুক্রাণু উত্পাদনেও সাহায্য করে। আখরোটে থাকে ওমেগা-3,ফ্যাটি অ্যাসিড যা পুরুষ লিঙ্গে রক্তসংবহনের কাজ খুব ভালোভাবে করে।
৭. বেদানা
বেদানায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা শরীরে শুক্রাণুর বৃদ্ধির পরিমাণ কমিয়ে দেয়ন শরীরে মেলোনদিয়েলদিহাদের পরিমাণ হ্রাস করে দেয়। যার ফলে শুক্রাণুর ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৮. রসুন
রসুনে রয়েছে ভিটামিন বি 6 এবং সেলেনিয়ামের আধিক্য। রসুন খেলে কামশক্তি বৃদ্ধি পায়। এলিসীনের ভালো উত্স হওয়ার কারণে রসুন যৌন অঙ্গে রক্তসংবহনের সাথে ধারণক্ষমতাও বাড়ায়।
৯. কমলালেবু
প্রতিদিন কমলালেবু থেলে শরীর রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ে। রোজ এর সেবন করলে আপনার যৌন জীবন ভালো থাকবে। আয়ুর্বেদে কমলালেবুকে গুণের ভান্ডার বলা হয়েছে।
১০. কলা
কলাতে রয়েছে ভিটামিন এ,সি,বি1. শুক্রাণু উত্পাদন করতে এবং যৌন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। কলাতে রয়েছে ব্রোমলিন এনজাইম যা সেক্স হরমোন নিয়ন্ত্রণ করার সাহায্য করে।
যেসব খাবারে শরীরের যৌনশক্তি বাড়ে প্রাকৃতিক উপায়
যৌনশক্তি বাড়াতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পন্ন ঔষধি কৌশল এবং মনোবৈজ্ঞানিক চিকিৎসা এখন প্রায় সেকেলে হয়ে পড়েছে। আজকাল যৌনশক্তি বাড়াতে প্রাকৃতিক কামোদ্দীপক বা যৌনশক্তি বর্ধক খাদ্যই অনেক বেশি কার্যকরী হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই বিবাহিত জীবনে যৌনতায় ফিট থাকতে হলে আপনাকে দৈনন্দিন খাবার দাবারের প্রতি পূর্ণ মনোযোগী হতে হবে। কারণ সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ভালো বোঝাপড়া থাকার পাশাপাশি দরকার স্বাস্থ্যকর যৌন জীবন।
অথচ প্রায়ই দেখা যায় যৌন সমস্যার কারনে সংসারে অশান্তি হয়, এমনকি বিচ্ছেদ পর্যন্ত হয়। তাই আগে থেকে সতর্ক থাকলেও এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি নাও হতে পারেন আপনি। আপনার যৌন শক্তি বৃদ্ধির জন্য কোন প্রকার ঔষধের প্রয়োজন নেই, তার জন্য দৈনন্দিন পুষ্টিকর খাবার দাবারই যথেষ্ট। আপনার খাবার মেনু তে নিয়মিত দুধ, ডিম এবং মধু রাখুন আর নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন করুন, তাহলে যৌন দুর্বলতায় ভুগবেন না।
ডিম: যৌন দুর্বলতা দূর করতে ও যৌন উত্তেজনা বাড়াতে এক অসাধারণ খাবার দুধ। প্রতিদিন সকালে, না পারেন সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ১টি করে ডিম সিদ্ধ করে খান। এতে আপনার যৌন দুর্বলতার সমাধান হবে।
দুধ: যেসব খাবারে বেশি পরিমাণ প্রাণিজ-ফ্যাট আছে এমন প্রাকৃতিক খাদ্য আপনার যৌনজীবনের উন্নতি ঘটায়। যেমন, খাঁটি দুধ, দুধের সর, মাখন ইত্যাদি। বেশিরভাগ মানুষই ফ্যাট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে চায়। কিন্তু আপনি যদি শরীরে সেক্স হরমোন তৈরি হওয়ার পরিমাণ বাড়াতে চান তাহলে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট জাতীয় খাবারের দরকার। তবে সবগুলোকে হতে হবে প্রাকৃতিক এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট।
মধু: যৌন দুর্বলতার সমাধানের মধুর গুণের কথা সবারই কম-বেশি জানা। তাই যৌন শক্তি বাড়াতে প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৩/৪ দিন ১ গ্লাস গরম পানিতে ১ চামচ খাঁটি মধু মিশিয়ে পান করুন।
রসুন: যৌন সমস্যা থাকলে এখনই নিয়মিত রসুন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। স্মরণাতীতকাল থেকেই নারী পুরুষ উভয়েরই যৌন উদ্দীপনা বাড়াতে এবং জননাঙ্গকে পূর্ণ সক্রিয় রাখতে রসুনের পুষ্টিগুণের কার্যকারিতা সর্বজনস্বীকৃত। রসুনে রয়েছে এলিসিন নামের উপাদান যা যৌন ইন্দ্রিয়গুলোতে রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়।
কফি: কফি আপনার যৌন ইচ্ছা বাড়ানোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কফিতে যে ক্যাফেইন থাকে তা আপনার যৌনতার মুড কার্যকর রাখে।
জয়ফল: গবেষণায় দেখা গেছে, জয়ফল থেকে এক ধরনের কামোদ্দীপক যৌগ নিঃসৃত হয়। সাধারণভাবে এই যৌগটি স্নায়ুর কোষ উদ্দীপিত করে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। ফলে আপনার যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধি পায়। আপনি কফির সাথে মিশিয়ে জয়ফল খেতে পারেন, তাহলে দুইটির কাজ একত্রে পাওয়া সম্ভব।
চকলেট: ভালোবাসা ও যৌনতার সঙ্গে সবসময়ই চকলেটের একটা সম্পর্ক রয়েছে। এতে রয়েছে ফেনিলেথিলামিন (পিইএ) ও সেরোটোনিন। এ দুটি পদার্থ আমাদের মস্তিষ্কেও রয়েছে। এগুলো যৌন উত্তেজনা ও দেহে শক্তির মাত্রা বাড়াতে সহায়ক। পিইএ’র সঙ্গে অ্যানান্ডামাইড মিলে অরগাজমে পৌঁছাতে সহায়তা করে।
কলা: কলার রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি ও পটাশিয়াম। ভিটামিন বি ও পটাশিয়াম মানবদেহের যৌনরস উৎপাদন বাড়ায়। আর কলায় রয়েছে ব্রোমেলিয়ানও। যা শরীরের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতেও সহায়ক। আর সর্বোপরি কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ শর্করা যা আপনার দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে। ফলে দীর্ঘসময় ধরে যৌন মিলনে লিপ্ত হলেও আপনার ক্লান্তি আসবে না।
ভিটামিন সি জাতীয় ফল: যৌন স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে প্রতিদিন খাবার তালিকায় রঙিন ফলমূল রাখুন। আঙ্গুর, কমলা লেবু, তরমুজ, পিচ ইত্যাদি ফল যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত উপকারী। গবেষণা দেখা গেছে, একজন পুরুষের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় অন্তত ২০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকলে তার স্পার্মের কোয়ালিটি উন্নত হয়। এসব ফলে মধ্যে তরমুজের প্রভাব বেশি। অনেকে যৌন উদ্দীপক ওষুধ ভায়াগ্রার সাথে তরমুজের তুলনা করেছেন।
গরুর মাংস: গরুর মাংসে প্রচুর জিঙ্ক থাকে। তাই আপনি যৌন জীবনকে আরো আনন্দময় করতে কম ফ্যাটযুক্ত গরুর মাংস খান। যেমন গরুর কাঁধের মাংসে, রানের মাংসে কম ফ্যাট থাকে এবং জিঙ্ক বেশি থাকে। এইসব জায়গার মাংসে প্রতি ১০০ গ্রামে ১০ মিলিগ্রাম জিঙ্ক থাকে।
যেসব খাবারে শক্তি বাড়ে
মানুষকে সারাদিনই কোনো না কোনো কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। এই ব্যস্ততার মাঝেও তাদের সময় করে ঘুমাতে হয়। কথায় আছে, স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। কাজেই স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ঘুমের পাশাপাশি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই সচেতন থাকাও জরুরী। এমন কিছু খাবার আছে যা নিয়মিত খেলে সারাদিন সতেজ থাকা যায়। একইসাথে শরীরকে চনমনে রাখতেও সাহায্য করে এই খাবারগুলো।
হার্বাল চায়ের গুণ বাড়াতে ৭টি উপাদান
হার্বাল চা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। আর এতে যদি আরও কিছু বাড়তি উপাদান যোগ করতে পারেন তাহলে তা যেমন উন্নতি লাভ করবে তেমন স্বাদও বাড়বে। হার্বাল চায়ে এসব উপাদান যোগ করলে এ থেকে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি নানা ভেষজ গুণও পাওয়া সম্ভব। এ লেখায় তেমন সাতটি উপাদানের কথা বর্ণনা করা হলো-
১. লেবু
হার্বাল চায়ের স্বাদ ও গন্ধ বহুগুণে বাড়িয়ে দেবে লেবু। এটি চায়ে ভিটামিন সি যোগ করার একটি অন্যতম উপায়। আর এটি শরীরের বিষ দূর করতেও ভালো কাজ করে। লেবু মানসিক চাপ কমায়। আর এটি হজমেও উপকার করে।
২. আদা
আদার টুকরো কিংবা আদার পাউডার ব্যবহার করা যেতে পারে হার্বাল চায়ে। আর এটি চায়ে যোগ করাও খুব সহজ। আদা নাকের সমস্যা, মানসিক চাপ, বিষণ্ণতা, পেটের সমস্যা ও মাইগ্রেনজনিত মাথাব্যথা দূর করে। আপনার চায়ে কয়েক টুকরো আদা যোগ করলেই এ উপকার পাওয়া সম্ভব।
৩. পুদিনা পাতা
টাটকা পুদিনা পাতা হার্বাল চায়ে প্রয়োগ করা হলে তা আপনার হজমশক্তির উন্নতিতে কাজে আসবে। এটি শরীরের জীবাণুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে শক্তি যোগায়। এ ছাড়াও এটি টেনশন ও মাথাব্যথা কমাতে সাহায্য করে। চায়ে এটি বেশি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। চায়ে এর সামান্য দুই-এক ফোটা দেওয়াই যথেষ্ট।
৪. হলুদ
হলুদ ত্বকের উন্নতিতে খুব ভালো কাজ করে। আর এটি চায়ে দিয়েও পান করা যায়। ত্বক ছাড়াও হজমশক্তি বাড়াতে ও দেহের রক্তের জন্য উপকারি উপাদান হিসেবে কাজ করে হলুদ। আর চায়ে দিলে এটি স্বাদের তেমন কোনো পরিবর্তন আনবে না। আর উপকারি উপাদান হিসেবে সহজেই তা দেহ গ্রহণ করতে পারবে।
৫. বাসিল পাতা
অনেকটা পুদিনা পাতার মতোই ব্যবহার করা যায় বাসিল পাতা। এটি হার্বাল চায়ে প্রয়োগ করা হলে তা আপনার হজমশক্তির উন্নতিতে কাজে আসবে। এটি শরীরের জীবাণুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে শক্তি যোগায়। এ ছাড়াও এটি টেনশন ও মাথাব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
৬. ক্যায়িন মরিচ
স্বাস্থ্যগত দিক থেকে উপকারি লাল এক ধরনের মরিচ এটি। এটি শরিরের রক্তচলাচল বৃদ্ধি করে, চাপ কমায় ও বিপাক প্রক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে। আপনার হার্বাল চায়ে সামান্য পরিমাণে এটি প্রয়োগ করলেই উপকার পাওয়া যাবে।
৭. ল্যাভেন্ডার তেল
ল্যাভেন্ডার নামে বেগুনি রঙের এক ধরনের সুরভিত ফুল ল্যাভেন্ডার। এর তেলের রয়েছে নানা উপকারি গুণ। এটি আপনার চায়ে প্রয়োগ করা হলে তা যেমন মানসিক চাপ কমাবে তেমন আপনার ঘুমের সমস্যা দূর করবে ও নার্ভাস সিস্টেমের উন্নতি করবে। এটি চায়ে অতি সামান্য পরিমাণে (দুই-এক ফোটা) দিলেই চলে।
সাধারণ চিনাবাদামের অসাধারণ গুন
অবসরে বা আড্ডায় সঙ্গ দিতে চীনাবাদামের জুড়ি নেই। বাংলাদেশে তো বটেই সারা বিশ্বজুড়ে চীনাবাদাম 'টাইমপাস ফুড' হিসেবে জনপ্রিয়। পৃথিবীতে যত ধরনের বাদাম উত্পা়দন হয়, চীনাবাদাম তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত এবং জনপ্রিয়। কাঁচা এবং ভাজা বাদাম তো বটেই, চীনাবাদাম মাখন, জ্যাম, চানাচুর, কেক, বিস্কুট, তরকারি, ভর্তা, তেল ইত্যাদি তৈরিতেও ব্যবহার করা হয়।
চীনাবাদামে 'চীন' শব্দটা থাকলেও এটা প্রথম আবিষ্কৃত হয় দক্ষিণ আমেরিকায়। প্রাচীনকালেও এর চাষ করা হতো বলে এর নিদর্শন পাওয়া যায়। পেরুর লিমায় প্রাপ্ত বহু প্রাচীন পাত্রের গায়ে বাদাম গাছের ছবি অংকিত দেখা যায়। ধারণা করা হয়, ইনক সভ্যতার সময়েও বাদাম খাওয়ার প্রচলন ছিল। কারণ, ইনকাদের মৃত্শিধল্পের মধ্যে বাদামের আকৃতির পাত্র পাওয়া গেছে।
চীনাবাদাম ইউরোপে নিয়ে আসে স্প্যানিশরা। তামাকপাতার মতো তখন বাদামও ব্যবহার হতো বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে। পরে ইউরোপীয় ব্যবসায়ীরা চীনাবাদাম আফ্রিকায় নিয়ে যায়। তারা হাতির দাঁত ও মশলার বিনিময়ে আফ্রিকানদের চীনাবাদাম দিত। অবশেষে আফ্রিকান ক্রীতদাসদের মাধ্যমে আফ্রিকা থেকে বাদাম প্রবেশ করে উত্তর আমেরিকায়।
যুক্তরাষ্ট্রে চীনাবাদাম খাওয়ার প্রচলন শুরু হয় তাদের গৃহযুদ্ধ হওয়ার আগে। তবে তখন তা গৃহপালিত পশুদের খাবার হিসেবেই বেশি প্রচলিত ছিল। যুদ্ধের সময় খাদ্য সংকট দেখা দিলে কিছু সৈনিক বিকল্প খাদ্য হিসেবে বেছে নেয় চীনাবাদাম। পরে ধীরে ধীরে তা সৈনিকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করে। গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার কিছুদিন পর পিটি বারনাম নামে এক সার্কাস দলের মালিক সার্কাস চলাকালে বাদাম ভেজে বিক্রি করা শুরু করে এবং বাদামভাজা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। অনেক ফেরিওয়ালাই তখন আয়ের নতুন উপায় হিসেবে চীনাবাদাম ভাজাকে বেছে নেয়।
বর্তমানে সারা বিশ্বে চীনাবাদামের মোট উত্পা দনের ৪১ ভাগ চীন উত্পােদন করে। এ কারণেই বোধহয় এ বাদামকে চীনাবাদাম বলা হয়। চীনা বাদামের ইংরেজি নাম Ground nut। যাবতীয় বাদামের মধ্যে একমাত্র চীনাবাদামই মাটির নিচে জন্মে। এর বৈজ্ঞানিক নাম apios americana। তবে বিশ্বজুড়ে চীনাবাদাম Peanut নামেই পরিচিত। এর নাম পিনাট হওয়ার কারণ হলো এটা দেখতে 'পি' বা মটরদানার মতো। একে 'মাংকিনাট'ও বলা হয়। বানর সম্প্রদায়ের এই বাদাম বিশেষ প্রিয় বলেই হয়তো এই নামকরণ!
অন্যান্য বাদামের তুলনায় চীনাবাদাম খুব সহজলভ্য বলেই হয়তো অনেকেই একে পাত্তা দিতে চান না। কিন্তু খাদ্যগুণে চীনাবাদাম কোনো অংশেই কম নয়। প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁচা চীনাবাদামে রয়েছে -
কার্বোহাইড্রেট ৬০ গ্রাম প্রোটিন ৫৩.৩ গ্রাম খাদ্যশক্তি ৫৬৬ কিলোক্যালরি ক্যালসিয়াম ৯০ মিলিগ্রাম আয়রন ৩৫০ মিলিগ্রাম ক্যারোটিন ৩৭ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন বি১ ০.৯০ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি২ ০.৩০ মিলিগ্রাম বাদাম ভেজে নিলে এর ক্যারোটিনের মান কমে যায়। তবে বাকি সব উপাদান প্রায় সমানই থাকে। স্বাস্থ্যরক্ষায় চীনাবাদামের রয়েছে নানা অবদান। যেমন -
চীনাবাদামের প্রোটিন দেহ গঠনে ও মাংসপেশি তৈরিতে সাহায্য করে।এর কো-এনজাইম হার্টকে অক্সিজেনের অভাব থেকে রক্ষা করে।চীনাবাদামে রয়েছে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট। যা রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।এতে উচ্চ মাত্রার নিয়াসিন থাকায় দেহকোষ সুরক্ষিত থাকে। বার্ধক্যজনিত স্মৃতিভ্রংশের রোগ যেমন, অ্যালঝাইমার্স প্রতিরোধে সহায়তা করে।মস্তিষ্ক সুস্থ্য রাখে ও রক্ত চলাচলে সহায়তা করে।চীনাবাদাম কোলন ক্যানসার, ব্রেস্ট ক্যানসার ও হার্টের রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।এতে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম, যা হাড় গঠনে সাহায্য করে।চীনাবাদামে রয়েছে প্রচুর আয়রন, যা রক্তে লোহিতকণিকার কার্যক্রমে সহায়তা করে।চীনাবাদামের ভিটামিন ই এবং ক্যারোটিন ত্বক ও চুল সুন্দর রাখে। ত্বকে বলিরেখা বিলম্বিত করে।
0 Comments