asd

গরমে সুস্থ থাকার উপায়

গরমে সুস্থ থাকার উপায়

গরমে সুস্থ থাকার উপায়
গরমে সুস্থ থাকার উপায়



গরমে সুস্থ থাকার উপায় এখন প্রত্যেকের মুখেই খুব কমন কথা হলো-যা গরম পড়ছে না! অনেকেই গরমে একেবারে অসুস্থও হয়ে পড়েছেন।এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ইলেকট্রিসিটির যাওয়া আর আসার খেলা। ফলে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার মতো মনের জোরও খুব পাওয়া যাচ্ছে না।



স্ট্রোক থেকে বাঁচুন


স্ট্রোক এর লক্ষণগুলো :


সহজ তিনটি ধাপঃ- S T ও R...পড়ুন এবং জানুন!


মাঝে মাঝে স্ট্রোকের উপসর্গ সনাক্ত করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। আমাদের অজ্ঞতার কারণেই নেমে আসে যাবতীয় দুর্যোগ। স্ট্রোকের শিকার রোগীর মস্তিষ্কে যখন ভয়ানক রকম ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে, পাশে দাঁড়ানো প্রিয়জনটিই হয়তো বুঝতে পারছে না, কি অপেক্ষা করছে তাদের কাছের মানুষের জীবনে।


সহজ উপায়ে স্ট্রোক সনাক্ত করার উপায়, সহজ তিনটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করুনঃ


S – Smile রোগীকে হাসতে বলুন।

T – Talk রোগীকে আপনার সাথে সাথে একটি বাক্য বলতে বলুন। উদাহরণঃ আজকের দিনটা অনেক সুন্দর।

R – Raise hands. রোগীকে একসাথে দুইহাত উপরে তুলতে বলুন।


স্ট্রোকের পর কি করতে হবে? 


উপড়ে উল্লেখিত যে কোনো একটিতে যদি রোগীর সমস্যা বা কষ্ট হয়, তৎক্ষণাৎ দেরি না করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এবং চিকিৎসককে সমস্যাটি খুলে বলুন। (রোগী বলতে স্ট্রোকের শিকার সন্দেহ করা ব্যক্তি বোঝানো হয়েছে)


সনাক্তকরণের আরেকটি উপায় হচ্ছে, রোগীকে বলুন তার জিহবা বের করতে। যদি তা ভাঁজ হয়ে থাকে, বা অথবা যদি তা বেঁকে যেকোনো একদিকে চলে যায়, সেটাও স্ট্রোকের লক্ষণ। তৎক্ষণাৎ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

 সর্দি-জ্বর

উপসর্গ ঃ 

সর্দি-জ্বর মানব দেহের ঊর্ধ্ব-শ্বাসনালীর ভাইরাসজনিত এক ধরনের সংক্রমণ। ইনফ্লুয়েনজা-এ, ইনফ্লয়েনজা, এডেনোভাইরাস প্রভৃতি এ রোগের জন্য দায়ী। অনেক ক্ষেত্রে এর সঙ্গে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটতে পারে। ঋতু পরিবর্তনের সময় এ রোগ বেশি মাত্রায় দেখা যায়। একটানা বৃষ্টি, স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ, অতিরিক্ত গরম বা ঠাণ্ডা এবং এক ঘরে অনেক লোক গাদাগাদি করে বসবাস করলে এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।


ট্রিটমেন্ট ঃ 


সর্দি-জ্বরের সময় বিশ্রামে থাকতে পারলে ভালো। স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি প্রচুর পানি, লেবুর রস, আনারস, পেয়ারা বা আমলকি জাতীয় খাবার খাওয়া যেতে পারে। ঠাণ্ডা জাতীয় খাবার (আইসক্রিম, ফ্রিজের পানি, কোল্ড ড্রিংকস) পরিহার করতে হবে। গরম চা বা কফি খাওয়া যেতে পারে।


পরামর্শ ঃ 


এ রোগের চিকিৎসায় সাধারণত এন্টিবায়োটিক-এর প্রয়োজন হয় না। জ্বর ও ব্যথানাশক প্যারাসিটামল এবং এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ কয়েকদিন খেলেই এ রোগ সেরে যায়। তবে ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের লক্ষণ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী উপযুক্ত এন্টিবয়োটিক সঠিক মাত্রায় পাঁচ থেকে সাত দিন খেতে হবে। শিশুদের ক্ষেত্রে টনসিলের বা ফুসফুসের সংক্রমন হওয়ার ঝুঁকি থাকে বিধায় রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শমত ওষুধ খাওয়ানো উচিত।


 সুস্থ থাকুক দাঁত

কিভাবে দাঁত ব্রাশ করবেন? 


১) দুই বেলা দাঁত ব্রাশ। রাতে শুবার যাবার আগে, ও সকালে নাস্তা খাওয়ার পর। 


২) সঠিক নিয়মে দাঁত মাজতে হবে। ব্রাশ সামনে-পিছনে করে দাঁত মাজা ঠিক না এতে দাঁতের ক্ষয় হয়। দাঁত মাজতে হবে আসতে আসতে উপরে এবং নিচে করে । নিচের পাটির দাঁতের জন্য ব্রাশ দাঁতের গোড়ার দিক থেকে উপরের দিকে নিতে হবে। ঠিক তেমনি উপরের পাটির জন্য দাঁতের গোড়ার দিক থেকে নিচের দিকে নিতে হবে। 


৩) দের থেকে দুই মিনিট দাঁত মাজবেন এর বেশী আসলে দরকার পরে না। ৪) দুপুরে খাওয়ার পর কুলিকুচি করবেন। 


৫) পেষ্ট ইউজ করবেন। মেডিপ্লাস ডিএস পেষ্ট টা ভাল। দাঁত শিড়শিড় (ঠান্ডা পানি বা গরম চা পান করার সময়) করলে মেডিপ্লাস ইউজ করে দেখবেন খুব কাজে দেয়। 


দাঁতের সমস্যার সমাধান: 


১) আপনার মাড়ি থেকে যদি ব্রাশ করার সময় বা অন্য সময়ও রক্ত পরে তাহলে আপনার দাঁতের স্কেলিং দরকার। 


২) মাঝেমাঝে খাবার পর যদি আপনার দাঁত ব্যাথা করে তাহলে দেরি না করে আমার সাথে দেখা করুন, বা অন্য ডেন্টিষ্টের কাছে জান। 


৩) আপনার দাঁত যদি উচা থাকে তাহলে ডেন্টিষ্টের সাথে যোগাযোগ করুন বয়স বাড়াবাড়ি রকম বাড়ার আগেই। বয়স বাড়লে এর চিকিৎসা খরচ ও কষ্ট বাড়ে, দীর্ঘ সময় ধরে চিকিৎসা চালাতে হ্য়। 


৪) বছরে অনতত দুইবার আপনার ডেন্টিষ্টের কাছে যান। 

হৃদরোগ

 
হৃদরোগ থেকে মুক্তি পাওয়া একটা দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। নিচের বিষয়গুলা মেনে চললে হৃদযন্ত্রকে অনেক ভাল রাখা সম্ভব হবে। 

· সকল প্রকার তামাক এবং সিগারেট থেকে বিরত থাকুন।

· তেল এবং চর্বিজাতীয় খাবার খাবেন না। 

· বেশি করে তাজা শাক-সবজি খান ।

· বাড়তি লবণ একদম খাবেন না। তরকারিতে কম লবণ খাওয়ার চেষ্টা করুন। 

· চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার যত সম্ভব এড়িয়ে চলুন।

· ঘাম ঝরানো শারীরিক পরিশ্রম করুন, হাটার সময় দ্রুত হাটুন। সব সময় লিফট ব্যবহার না করে যতদুর সম্ভব সিড়ি বেয়ে উঠার অভ্যাস করুন।


· উচ্চরক্তচাপ বা হাইপারটেনশন (ব্লাড প্রেসার) এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখুন।

· শরীরের বাড়তি ওজন কমিয়ে ফেলুন এবং ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখার চেষ্টা করুন।

· রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত রাখুন, লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষাটি করে জেনে নিন আপনার রক্তে কোন ধরনের চর্বি বেশী আছে, সেই অনুযায়ী চিকিৎসা নিন এবং খাদ্য তালিকা তৈরী করুন।


· যাদের বাবা/মা বা বড় ভাই বোন দের (পারিবারিক) হৃদরোগ আছে তারা অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করুন এবং নিয়মিত রক্তচাপ, রক্তের চর্বি, ডায়াবেটিস পরীক্ষা করে নিজের অবস্থান জেনে নিন।


· মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন, মানসিক চাপ হৃদরোগ ঘটায়। সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে দৈনিক নিয়মিত প্রার্থনা করু্ন। সম্ভব হলে মেডিটেশন করে দেখতে পারেন।


· প্রচুর হাসুন। দৈনিক অল্প কিছু সময় শিশু এবং বয়োবৃদ্ধদের সাথে কাটানোর চেষ্টা করুন, বন্ধুদের সাথে প্রানখোলা আড্ডা মানসিক প্রশান্তি আনতে পারে। সব সময় হাসি খুশী থাকবার চেষ্টা করুন।

· ঠিকমত ঘুমান এবং বিনোদনের মধ্যে থাকুন।



মাথা ব্যথার প্রতিকার


দুশ্চিন্তাজনিত মাথা ব্যথাঃ 

লক্ষণ ঃ 

মাথা ব্যথা মাথার উভয় দিকে হয়। মাথায় তীব্র চাপ অনুভূত হয় এবং ব্যথা ঘাড়ে সংক্রমিত হতে পারে। মানসিক চাপে ব্যথা বাড়তে পারে। পুরুষ, মহিলা সমানভাবে আক্রান্ত হয়। 

চিকিৎসা:

সাধারণত বেদনা নাশক দ্ব্বারা চিকিত্সা করা হয়। স্বল্পমাত্রার ট্র্যাঙ্কুলাইজারও দেয়া যেতে পারে।

মাইগ্রেন-এর মাথা ব্যথা 

লক্ষণ ঃ 

শতকরা ১০-১৫ ভাগ লোক এ ধরণের মাথা ব্যথায় আক্রান্ত হয়। মাইগ্রেন মহিলাদের বেশী হয়। সাধারণত: ১৫-১৬ বছর বয়স থেকে মাইগ্রেনের লক্ষণ দেখা দেয় এবং বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই ৪০-৫০ বছর বয়স পর্যন্ত স্থায়ী হয়। মাইগ্রেনের আক্রমণের সময় মগজের রাসায়নিক বাহক সেরোটনিন-এর মাত্রা বেড়ে যায় এবং মাথা বাইরের ধমনীগুলো প্রসারিত হয়।

চিকিৎসা :

যেসব কারণে মাইগ্রেনের আক্রমণ বৃদ্ধি পায়, তা পরিহার করতে হবে। স্বল্পস্থায়ী চিকিত্সা হিসাবে অ্যাসপিরিন বা প্যারাসিটামলের সাথে এন্টিইমেটিক যেমন প্রোক্লোরপেরাজিন, মেটাক্লোপ্র্যামাইড দেয়া যেতে পারে। তীব্র আক্রমণের চিকিত্সা হিসাবে সুমাট্রিপটিন, যা মাথার বাইরের ধমনীকে সংকুচিত করে, তা মুখে বা ইনজেকশনের মাধ্যমে দেয়া যেতে পারে। আর্গোটামিন বিকল্প হিসাবে দেয়া যেতে পারে। ঘন ঘন আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে প্রতিরোধকারী হিসাবে প্রোপানোলল, পিজোটিফেন বা অ্যামিট্রিপটাইলিন দেয়া যেতে পারে।

সাইনাস এর মাথা ব্যথা

লক্ষণ ঃ 

যাদের ঘন ঘন সর্দি-কাশি হয়, তাদের সাইনুসাইটিস থেকে এ ধরণের মাথা ব্যথা হয়ে থাকে।

চিকিৎসা:

চিকিৎসা হিসাবে এন্টিবায়োটিক, এন্টিহিস্টামিন, নাজাল ডিকনেজস্ট্যান্ট বা নাজাল স্প্রে দেয়া হয়।

চক্ষুজনিত মাথা ব্যথা

শতকরা ৫ ভাগ মাথা ব্যথা চক্ষুজনিত। চোখের দৃষ্টিশক্তি কম থাকলে মাথা ব্যথা হতে পারে। অনেকক্ষণ পড়াশুনা করা, সেলাই করা, সিনেমা দেখা বা কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলেও মাথা ব্যথা হতে পারে। চোখের কোন রোগ যেমন- কর্ণিয়া, আইরিশের প্রদাহ, গ্লুকোমা বা রেট্রোবালবার নিউরাইটিস ইত্যাদি কারণেও মাথা ব্যথা হতে পারে। চক্ষুজনিত মাথা ব্যথা সাধারণত: চোখে, কপালের দু’দিকে বা মাথার পিছনে হয়ে থাকে। চক্ষুজনিত মাথা ব্যথায় চক্ষু বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

চোখের যত্ন


চোখ শরীরের একটি প্রধান অঙ্গ। এর যত্ন নেয়াতেও একটু সতর্ক থাকতে হবেঃ 

বার বার পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন – দিনে যখনই সময় পাবেন তখনই চোখে মুখে পানির ঝাপটা দিয়ে নিবেন। এতে চোখ পরিষ্কার থাকবে। পাচ-ওয়াক্ত নামাযী হলে অবশ্য এমনিতেই দিনে ৫x৩=১৫ বার মুখ ধোয়া হয়ে যাবে। তখন আর এতবার মুখ ধোয়ার ব্যাপারে ভাবার দরকার নেই।

প্রতিদিন অন্তত একবেলা মাছ খান – একসময় মাছে ভাতে বাঙ্গালি কথাটা খুব প্রচলিত ছিল। কিন্তু বর্তমানে মাছের যা দাম তাতে প্রচলিত সেই কথাটা শুধুই একটা “অতীত স্মৃতি” হিসেবে থেকে যাবে কিছদিন পর। মাছ আপনার চোখের জন্যে দারুণ উপকারী। বিশেষ করে ছোট মাছ। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ। যা আমাদের চোখের জ্যোতি ঠিক রাখতে সহায়তা করে।

প্রতিদিন ডিম খাওয়ার চেষ্টা করুন -“ডিম খেলে চোখ ভালো থাকে?” – মনের মধ্যে অনেকটা এমন প্রশ্ন নিয়েই হয়তো এই পয়েন্ট টা পড়তে শুরু করেছেন। কিন্তু অবাক করার মতো হলেও কথাটা সত্যি। ডিম চোখের জন্যে অনেক উপকারী। ডিমের মধ্যে রয়েছে অ্যাণ্টিঅক্সিডেন্ট লুটিন ও যেযান্থিন যা চোখের বিভিন্ন সমস্যা থেকে চোখকে রক্ষা করে।

প্রচুর সবজি আর ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন – শাকসবজি আর ফল চোখের জন্যে অনেক উপকারী এবং তা গবেষণায় প্রমাণিত । আর তাই আমি খাবারে ভাতের চেয়ে তরকারি-সবজিই বেশি খাই। আপনিও এই অভ্যাসটা করে নিতে পারেন। বিশেষ করে তাজা শাকসবজি আর ফল আপনার চোখের হারানো জ্যোতি ফিরিয়ে আনতে পারে। ফলে আর শাকসবজিতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, বিটা ক্যারোটিন, ফ্যাটি এসিড, জিঙ্ক, লুটিন, যেযান্থিন ইত্যাদি।

চোখের উপর অত্যাচার করবেন না- দীর্ঘ সময় একটানা কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে থাকা বা চোখে পীড়া দেয় এমন কাজ না করাই উত্তম। কিছুক্ষণ পর পর অন্তত ১৫-২০ মিটার দূরের কিছুর দিকে তাকিয়ে থাকুন, প্রয়োজনে কিছুক্ষণ চোখ বন্ধও করে রাখতে পারেন। এতে একটানা চোখের উপর অত্যাচারের মাঝে মাঝে কিছুটা হলেও উপকার হবে। আর চোখ ভালো থাকার জন্যে অবশ্যই আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম নিশ্চিত করতে হবে।

চোখে লেন্স পড়ার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন – যদি চোখে লেন্স পড়ার অভ্যাস থেকে থাকে তাহলে এক্ষেত্রে আপনাকে যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। একটুখানি অসাবধানতা আপনার চোখের অনেক বড় ক্ষতি করে ফেলতে পারে। চেষ্টা করবেন যাতে খুব বেশি সময় লেন্স পড়ে থাকতে নাহয়। লেন্স এর সলিউশন তিন মাস পর পর চেইঞ্জ করতে হবে। অনেকেই সলিউশন শেষ না হওয়ায় মাসের পর মাস ব্যবহার করতে থাকেন, যা কিনা চোখের জন্যে ক্ষতিকর। সলিউশনের মুখ খোলার তিন মাস পর সেটা ফেলে দিবেন ।

 

ডায়াবেটিস


ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যে নিচের বিষয়গুলা মেনে চলতে হবেঃ 

· খাদ্য তালিকা অনুযায়ী বিধি নিষেধ মেনে খাবার খেতে হবে।

· নিয়মিত কিছু কায়িক পরিশ্রম / ব্যয়াম করতে হবে।

· নির্দেশ অনুযায়ী রক্ত বা প্রস্রাবে সুগার এর মাত্রা মেপে দেখতে হবে এবং কম-বেশী হলে চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হতে হবে।

· ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ব্যতীত এ রোগের চিকিৎসা কখনোই বন্ধ রাখা যাবেনা।

· পায়ের বিশেষ যত্ন নিতে হবে যেমন খালি পায়ে হাটা যাবেনা, নরম জুতা পরতে হবে, নিয়মিত নখ কাটতে হবে, সবসময় পা পরিস্কার রাখতে হবে, কোনো আঘাত পেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

· দাঁতের বিশেষ যত্ন নিতে হবে, যেমন দুই বেলা ব্রাশ ও টুথপেষ্ট দিয়ে দাত মাজা, ব্রাশ করার পর ১ মিনিট ধরে দাঁতের মাড়ি মালিশ করা, পান-জর্দা-সুপারি-চুন-তামাক এসব ব্যবহার না করা ইত্যাদি।দাঁতে কোনো সমস্যা হলে সাথে সাথেই দাঁতের ডাক্তার কে দেখিয়ে নিবেন এবং প্রতি বৎসর কমপক্ষে একবার তার স্মরনাপন্ন হলে উপকৃত হবেন।

· শরীরে কোনো ছোটো-খাটো কাটা ছেড়া হলেও চিকিৎসককে জানাতে হবে এবং তার প্রতি বিশেষ যত্নবান হতে হবে।

মানসিক রোগ


মানসিক রোগের লক্ষণ ঃ 

প্রত্যক্ষকরণ বা উপলদ্ধি: ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে আমরা সব কিছু প্রত্যক্ষ করে থাকি। এই প্রত্যক্ষকরণ বা উপলদ্ধিতে অস্বাভাবিকতা প্রকাশ পেলে সেটাকে মানসিক রোগ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। উপলদ্ধিগত অস্বাভাবিকতা দুধরনের হতে পারে - ইল্যুশন ও হ্যালুসিনেশন।

আবেগের অস্বাভাবিকতা: একজন সুস্থ ব্যক্তি এবং একজন অসুস্থ ব্যক্তি একই উপায়ে তাদের আবেগ অনুভব প্রকাশ করতে পারে না। বিভিন্ন কারণে আবেগের পরিবর্তন ঘটে - তবে সেই পরিবর্তনকে স্থায়ী বলা যায় না। যাদের পরিবর্তনটা স্থায়ী হয়ে পড়ে তারা মানসিকভাবে অবশ্যই বিপর্যস্ত। কিছু কিছু বিষয় আবেগের অস্বাভাবিকতার ক্ষেত্র তৈরি করে দেয়। যেমন: বিষন্নতা, দুশ্চিন্তা, বিরক্তি।

বুদ্ধি লোপ: মানসিক রোগীদের বুদ্ধি লোপ পায়। একটি জিনিসকে বিচার-বুদ্ধি দিয়ে বিশ্লষণ করার ক্ষমতা তাদের কমে যায়।

স্মৃতিভ্রষ্ট: একটি লোক কোথা থেকে আসছে জিজ্ঞেস করলে ভিন্ন উত্তর পাওয়া যায়। সে ইচ্ছে করে মিথ্যে বলে না। আসলে সে নিজেই সব ভুলে যায়। 

মুদ্রাদোষ: একই কথা বার বার বলা, একই অঙ্গ বার বার সঞ্চালন করাকে মুদ্রাদোষ বলে। মানসিক রোগীদের মধ্যে এই উপসর্গগুলো পরিলক্ষিত হয়।

মানসিক জটিলতা: এটা এমন এক অবচেতন ধারনা যা আবদমিত ইচ্ছা বা আবেগজনিত অভিজ্ঞতার সাথে সম্পৃক্ত এবং আচরণে যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। যেমন: সুপিরিওরিটি কমপ্লেক্স, ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্স, ইলেকট্রা কমপ্লেক্স, ঈপিডাস কমপ্লেক্স ইত্যাদি।

সন্দেহপ্রবণতা: মানসিক রোগীদের মধ্যে মারাত্মক সন্দেহপ্রবণতা দেখা যায়। বন্ধুদের বা আশেপাশের মানুষদের সে শত্রু বলে মনে করে। তার বিরুদ্ধে সবাই চক্রান্তে লিপ্ত এমনটি সে মনে করে।

অহেতুক ভয়: মানসিক রোগীরা অহেতুক ভয়ের শিকার হতে পারে। অনেকে ছোট ও নিরীহ প্রাণী দেখে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। অন্ধকার বা নির্জনতায় আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়ে। অনেকে অন্যের সামনে কথা বলতে পারে না। 

অহেতুক রোগভীতি: রোগী মনে করে সে কোন দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগছে।

শুচিবাই: মানসিক রোগীদের মধ্যে শুচিবায়ুগ্রস্ততা পরিলক্ষিত হয়। কেউ ঘন্টার পর ঘন্টা হাত-মুখ ধুচ্ছে তো ধুচ্ছেই - মনে হয় তারপরও ঠিকমতো পরিষ্কার হচ্ছে না।

চিকিৎসাঃ 

জৈব বা জৈব রাসায়নিক কারণে যদি মানসিক রোগ হয় তবে সে অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে। অন্যদিকে ধরুন যদি সাংসারিক অশান্তি, পিতা-মাতার গোলমাল কিংবা স্কুলের চাপের কারণে মানসিক রোগ দেখা দেয় তা হলে চিকিৎসার সময় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ ধরণের রোগীর চিকিৎসার পাশাপাশি তাকে আচরণগত বিষয় উপদেশ দিতে হবে। তার সাইকো থেরাপি বা বিহেভিয়ার থেরাপির দরকার হবে।

মানসিক রোগ প্রতিহত করাও সম্ভব। রোগের বায়োলজিক্যাল ও জেনেটিক কারণগুলো খতিয়ে দেখার মাধ্যমে তা করা সম্ভব। সন্তান জন্মের আগে এমন ব্যবস্থা করা সম্ভব। করা সম্ভব সন্তান জন্মের পরও। এ ছাড়া, অন্যদিকে রোগীর পুনর্বাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। 

ওষুধসহ সাইকো বা বিহেভিয়ার থেরাপির মাধ্যমে যে রোগীর রোগ মুক্ত হলো সে যেন পুরনো কাজে ফিরে যেতে পারে তার নিশ্চয়তা দিতে হবে। এই নিশ্চয়তাটি চিকিৎসার জন্য বেশ প্রয়োজনীয় তা মনে রাখতে হবে। 

মনোরোগ দেহের রোগের মতই একটি রোগ, সে সম্পর্কে এই অ্যাপ হতে আমরা সবাই নিশ্চিত হতে পেরেছি। তাই কারো মনোরোগ হয়েছে শুনলে তাকে মানসিক ডাক্তার দেখাবেন। একাজে ভয়, লজ্জা বা শরমের কিছু নেই।

অনিদ্রা


অনিদ্রার কিছু কারণ : 

১. মানসিক সমস্যার কারণে ঘুম না হতে পারে। এর মধ্যে আছে হতাশা, উদ্বেগ বা ক্ষোভ।

২. কিছু শারীরিক সমস্যার কারণেও ঘুম নাও হতে পারে। যেমন- শরীরের কোন অংশ ব্যথা, অস্বস্থিবোধ, হৃদযন্ত্রের সমস্যা। অনেক পথ হাঁটলেও অনেকক্ষেত্রে ঘুম নাও আসতে পারে। আথ্রাইটিস ও ক্রনিক ব্রংকাইটিসের রোগীরাও প্রায়শ অনিদ্রায় ভুগেন। 

৩. কার্পাল টানেল সিন্ড্রোমের মতো হাতের সমস্যার কারণে অনিদ্রা হতে পারে। 

৪. ফ্লুক্সিটান, সিপ্রোফ্লোক্সাসিন, থিওফাইলিনের মতো ওষুধ অনিদ্রার কারণ হতে পারে।

৫. ফ্যাটাল ফ্যামিলিয়াল ইনসোম্যানিয়া নতুন ধরনের বিরল রোগ। অস্বাভাবিক জেনেটিক উপাদানের জন্য এটি ঘটতে পারে।

৬. অনেক সময় মনো-দৈহিক অসন্তুষ্টি একইসঙ্গে ঘুম না হবার জন্য দায়ি হতে পারে।

৭. অনেকক্ষেত্রে কোন কারণ ছাড়াই কারো কারো অনিদ্রা হতে পারে।

পরামর্শঃ 

১. প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস করুন। ছুটির দিনসহ প্রতিদিন একই সময়ে ঘুম থেকে উঠে পড়ুন।

২. শোয়ার ঘর কেবল ঘুমের জন্য ব্যবহার করুন। সেখানে যেন অতিরিক্ত শব্দ বা আলো না থাকে।

৩. ঘুমের আগে হালকা গরম পানির গোসল, বই পড়া, মৃদু গান, উপাসনা বা ইয়োগা সাহায্য করতে পারে। বারবার ঘড়ি দেখবেন না।

৪. জোর করে ঘুমের চেষ্টা করবেন না। ২০ মিনিটের মধ্যে ঘুম না এলে উঠে পড়ুন। অন্য ঘরে যান, হালকা কিছু পড়ুন ঘুম না আসা পর্যন্ত।

৫. দুপুরে ৩০ মিনিটের বেশি বিশ্রাম নেবেন না, তা তিনটার আগেই সেরে নিন।

৬. ঘুমানোর চার-ছয় ঘণ্টা আগে ভারী কাজ, ব্যায়াম এবং অ্যালকোহল, কফি, ধূমপান এড়িয়ে চলুন।

৭. ঘুমানোর দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিন। এরপর খিদে পেলে এক গ্লাস দুধ খেতে পারেন।

নবজাতকের যত্ন 

জন্মের পর ২৮ দিন পর্যন্ত শিশুকে নবজাতক বলে। প্রসবের পরপরই নবজাতকের যত্নের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে যেমন: জন্মের সাথে সাথে শিশুকে শাল দুধ খাওয়াতে হবে, শিশুকে উষ্ণ রাখতে হবে, জন্মের পর পরই শিশুকে গোসল করানো যাবে না, নাভির যত্ন নিতে হবে। 

প্রসবের পর নবজাতকের যত্ন 

নবজাতক শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোনবজাতককে গরম রাখানবজাতকের গোসলনাভীর যত্নচুল কাটাচোখের যত্নত্বকের যত্নসময়মত টিকা দেয়ানোনবজাতকের খারাপ লক্ষণ বা বিপদ চিহ্ন খেয়াল করা 

নবজাতককে শুকানো 

 নবজাতককে শুকানোর পদ্ধতি 

পরিষ্কার এক টুকরা বড় কাপড়ের উপর শিশুকে নিতে হবেকাপড় দিয়ে নবজাতকের সারা শরীর জড়িয়ে ফেলতে হবেকাপড় দিয়ে নবজাতকের মাথা ভালভাবে মুছতে হবেএরপর নবজাতকেরে গলা, ঘাড় ও কাঁধ ভালোভাবে মুছতে হবেএরপর নবজাতকের বুক, পেট ও হাত ভালোভাবে মুছতে হবেএরপর নবজাতকের পিঠ ভালোভাবে মুছতে হবেএরপর নবজাতকের কোমড় থেকে পায়ের তালু পর্যন্ত ভালোভাবে মুছতে হবেএকই নিয়মে মাথা থেকে পা পর্যন্ত আরো কয়েকবার মুছতে হবেমোছানো ভালোভাবে শেষ হলে কাপড়টি ফেলে দিতে হবে

নবজাতককে মোড়ানো 

নবজাতককে মোড়ানোর পদ্ধতি 

মোড়ানোর জন্য শুকনা ও পরিষ্কার এক টুকরা বড় সুতী কাপড়ের উপর নবজাতককে নিতে হবেলক্ষ্য রাখতে হবে যাতে কাপড়ের কিছু অংশ নবজাতকের মাথার উপরের দিকে ও কিছু অংশ নবজাতকের পায়ের নিচের দিকে বাড়তি থাকেপ্রথমে মাথার উপরের দিকের কাপড়ের বাড়তি অংশ দিয়ে নবজাতকের মাথা কপাল পর্যন্ত ঢেকে নিয়তে হবে। কাপড়ের উপরের দুই কোনা নবজাতকের দুই কাঁধের উপর এসে কাঁধ ঢেকে যাবেএবার নবজাতকের পায়ের দিকের কাপড়ের বাড়তি অংশ দিয়ে নবজাতকের পা ঢেকে দিতে হবেএবার নবজাতকের শরীরের দুই পাশের বাড়তি কাপড় দিয়ে বুক ও পেট ভালোভাবে ঢেকে দিতে হবেপরিপূর্ণ মোড়ানোর পর শিশুকে গরম রাখার জন্য মায়ের বুকে দিতে হবেশালদুধ খাওয়াতে সহায়তা করতে হবে

নবজাতকের বিপদ বা খারাপ লক্ষণ সমূহ 

জন্মের পরপর শ্বাস না নেয়াজন্মের পর না কাঁদাখিঁচুনী হওয়াঅজ্ঞান হয়ে যাওয়াশ্বাস নিতে বা ছাড়তে কষ্ট হওয়াশরীরের তাপ বেড়ে যাওয়াশরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়াশরীর হলুদ রঙের হয়ে যাওয়ানাভী লাল, নাভীতে দুর্গন্ধ বা পূঁজ থাকাচামড়ায় ঘা-ফোসকা বা পূঁজসহ বড় দানা-লাল ও ফোলা থাকলেঅনবরত বমিনেতিয়ে পড়লে বা স্বাভাবিকের চেয়ে কম নড়াচড়া করলেদুর্বল, অনিয়মিত কাঁদা বা কাঁদতে না পারলেখাওয়ানোর সমস্যা

জন্মের পর পর শ্বাস না নিলে তাৎক্ষনিকভাবে করনীয় 

পরিষ্কার নরম কাপড় বা তোয়ালে দিয়ে শিশুর সম্পূর্ণ শরীর আরো ভাল করে মুছতে হবেনাকে ও মুখে কালচে সবুজ পায়খানা লেগে থাকলে তা আঙ্গুলে কাপড় পেঁচিয়ে পরিষ্কার করতে হবেশিশুকে কাঁত করে পিঠে শিরদাঁড়া বরাবর নিচ থেকে উপর দিকে বারবার হাতের তালুর নিচের অংশ দিয়ে ঘষতে হবেশিশুর রং এবং শ্বাসের দিকে লক্ষ্য করুন। যদি ঠোঁট, জিহবা ও মুখের রং গোলাপী হয় এবং নিয়মিত শ্বাস নিতে থাকে তাহলে শিশুকে মায়ের বুকে দিতে হবে

জন্মের পর পর শ্বাস না নিলে যা করা উচিৎ নয় 

পা ওপরে ধরে উল্টা করে নবজাতককে ঝুলানোবাচ্চাকে থাপ্পড় দেয়াবাচ্চার  শরীরে ঠান্ডা পানি ছিটানোকানে অথবা নাকে/ফুঁ/বাতাস দেওয়াপানিতে চুবানোবুকের খাঁচায় চাপ দেওয়াবাচ্চাকে পর্যায়ক্রমে গরম  ও ঠান্ডা পানিতে চুবানোগর্ভফুলকে গরম করাগর্ভফুলের অপেক্ষায় নবজাতককে ফেলে রাখামুখে ফুঁ দেওয়াকানে ফুঁ দেওয়া

 

*এগুলো করলে শিশুর উপকারতো হবেই না বরং শিশুর ক্ষতি হবে।

শিশুকে কখনো মধু, চিনির পানি ইত্যাদি খাওয়ানো উচিৎ নয়।

 

নবজাতকের শারীরিক অসুবিধা হলে কোথায় যেতে  হবে

উপজেলা হাসপাতালজেলা হাসপাতালমেডিকেল কলেজ হাসপাতালবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়বেসরকারী হাসপাতাল

 

সচরাচর জিজ্ঞাসা

প্রশ্ন.১.জন্মের পর পর শ্বাস না নিলে কি করা উচিৎ নয়?

উত্তর.

পা ওপরে ধরে উল্টা করে নবজাতককে ঝুলানোবাচ্চাকে থাপ্পড় দেয়াবাচ্চার মুখে অথবা শরীরে ঠান্ডা পানি ছিটানোকানে অথবা নাকে/ফুঁ/বাতাস দেওয়াপানিতে চুবানোবুকের  খাঁচায় চাপ দেওয়াবাচ্চাকে পর্যায়ক্রমে গরম  ও ঠান্ডা পানিতে চুবানোগর্ভফুলকে গরম করাগর্ভফুলের অপেক্ষায় নবজাতককে ফেলে রাখামুখে ফুঁ দেওয়াকানে ফুঁ দেওয়া

প্রশ্ন.২.নবজাতকের বিপদ বা খারাপ লক্ষণ কোনগুলো? 

উত্তর.

জন্মের পরপর শ্বাস না নেয়াজন্মের পর না কাঁদাখিঁচুনী হওয়াঅজ্ঞান হয়ে যাওয়াশ্বাস নিতে বা ছাড়তে কষ্ট হওয়াশরীরের তাপ বেড়ে যাওয়াশরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়াশরীরের হলুদ রঙের হয়ে যাওয়ানাভী লাল, নাভীতে দুর্গন্ধ বা পূঁজ থাকাচামড়ায় ঘা-ফোসকা বা পূঁজসহ বড় দানা-লাল ও ফোলা থাকলেঅনবরত বমিনেতিয়ে পড়লে বা স্বাভাবিকের চেয়ে কম নড়াচড়া করলেদুর্বল,অনিয়মিত কাঁদা বা কাঁদতে না পারলেখাওয়ানোর সমস্যা

প্রশ্ন.৩.নবজাতকের শারীরিক অসুবিধা হলে কোথায় যেতে  হবে? 

উত্তর.

উপজেলা হাসপাতালজেলা হাসপাতালমেডিকেল কলেজ হাসপাতালবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়বেসরকারী হাসপাতাল


ডায়রিয়া

বাংলাদেশে শিশু-মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হলো ডায়রিয়া। পায়খানায় শুধু মল ও পানি থাকলে তাকে ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা  এবং পাতলা পায়খানার সাথে রক্ত গেলে তাকে আমাশয় বলে। অধিকাংশ ডায়রিয়ায় ওষুধ প্রয়োজন পড়ে না। শুধু খাবার স্যালাইনেই সারে। ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে পানি ও লবণ জাতীয় পদার্থ বেরিয়ে গিয়ে পানি স্বল্পতা দেখা দেয়। ডায়রিয়ার সঙ্গে কখনো কখনো জ্বর, বমি কিংবা পেটের ব্যথাও হতে পারে।

 

ডায়রিয়া কাকে বলে 

বার বার পাতলা পায়খানা হওয়াকে ডায়রিয়া বলে।

 

ডায়রিয়ার কারণ  

দূষিত খাবারদূষিত পানিরোগ জীবানুকৃমি

 

ডায়রিয়া হলে করনীয় 

শিশুর ডায়রিয়া হলে ঘরে বসে বিশেষ যত্ন নিতে হবে। যেমন: 

বার বার খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। বেশি করে তরল খাবার যেমন-ভাতের মাড়, চিড়ার পানি ডাবের পানি খাওয়াতে হবে। আর্সেনিক মুক্ত নিরাপদ টিউবওয়েলের পানি খাওয়াতে হবে। টিউবওয়ালের পানি পাওয়া না গেলে পুকুর বা নদীর পানি চুলায় চড়িয়ে বুদবুদ ওঠা থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত ফুটিয়ে খাওয়াতে হবে। শিশুকে স্বাভাবিক খাবার খাওয়ানো চালিয়ে যেতে হবে। অল্প অল্প করে বার বার খাওয়াতে হবে। যে সব শিশু মায়ের দুধ খায় তাদের ঘনঘন মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে। স্বাস্থ্যকর্মীর পরামর্শ মোতাবেক জিন্ক খাওয়াতে হবে। 

 

ডায়রিয়া হলে যা করা যাবে না 

খাবার বন্ধ করা যাবে না।স্বাস্থ্যকর্মীর পরামর্শ ছাড়া ঔষধ দেয়া যাবে না।

 

স্যালাইন বানানো ও খাওয়ার নিয়ম

পুরো এক প্যাকেট স্যালাইন আধা লিটার পানিতে একবারেই ঢেলে দিতে হবেস্যালাইন পানিতে পুরোপুরি না মিশে যাওয়া পর্যন্ত নাড়তে হবে২ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য প্রতি বার পায়খানার পর ১০-২০ চা চামচ পরিমাণ স্যালাইন খাওয়াতে হবে২ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের জন্য প্রতি বার পাতলা পায়খানার পর ২০-৪০ চা চামচ পরিমান স্যালাইন খাওয়াতে হবে বা যতটুকু খেতে চায় সেই পরিমাণ খাওয়াতে হবে।প্যাকেট থেকে বানানো স্যালাইন ১২ ঘন্টা পর্যন্ত খাওয়ানো যায়।

কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে 

যদি শিশু নেতিয়ে পড়ে বা অজ্ঞান হয়ে যায়।যদি খিঁচুনী হয়।যদি শিশুর বেশী বেশী পায়খানা বা বমি হয়।যদি শিশু খাবার খেতে না পারে।শিশুর যদি চোখ বসে যায়।শিশুর পাতলা পায়খানায় যদি রক্ত থাকে।

 

চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সজেলা সদর হাসপাতালমেডিকেল কলেজ হাসপাতালবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়বেসরকারী বা এনজিও হাসপাতাল

 

ডায়রিয়া প্রতিরোধে করণীয়

৬ মাসের কম বয়সী শিশুকে শুধুমাত্র মায়ের দুধ ও স্যালাইন খাওয়াতে হবে।যদি সম্ভব হয় তবে শিশুকে অসুস্থ লোক বা রোগী থেকে দূরে রাখতে হবে।খাবার তৈরীর আগে, শিশুকে খাওয়াবার পূর্বে এবং পায়খানার  পর সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে।সব সময় সিদ্ধ ঠান্ডা পানি ব্যবহার করতে হবে।বোতলের দুধ খাওয়ানোর থেকে বিরত থাকতে হবে।ছোট বাচ্চাদের খাওয়ানোর সময় চামচ ব্যবহার করতে হবে।জলাবদ্ধ পায়খানা ব্যবহার করতে হবে।শিশুকে হামের টিকা দিতে হবে।

 

সচরাচর জিজ্ঞাসা 

প্রশ্ন.১.ডায়রিয়া কাকে বলে? 

উত্তর. স্বাভাবিকের চেয়ে ঘনঘন পাতলা পায়খানা হওয়াকে ডায়রিয়া বলে। ডায়রিয়া সাধারণত একটি ভাইরাসজনিত রোগ। ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে পানি ও লবণ জাতীয় পদার্থ বেরিয়ে গিয়ে পানি স্বল্পতা দেখা দেয়।

 

প্রশ্ন.২.ডায়রিয়ার কারণ গুলো কি কি? 

উত্তর.

দূষিত খাবারদূষিত পানিরোগ জীবানুকৃমি

 

প্রশ্ন.৩.শিশুর ডায়রিয়া হলে কি করতে হবে? 

উত্তর. শিশুকে:

৬ মাসের কম বয়সী শিশুকে শুধুমাত্র মায়ের দুধ ও স্যালাইন খাওয়াতে হবে।যদি সম্ভব হয় তবে শিশুকে অসুস্থ লোক বা রোগী থেকে দূরে রাখতে হবে।খাবার তৈরীর আগে  শিশুকে খাওয়ার পূর্বে এবং পায়খানার  পর সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে।সব সময় সিদ্ধ ঠান্ডা পানি ব্যবহার করতে হবে।বোতলের দুধ খাওয়ানোর থেকে বিরত থাকতে হবে।ছোট বাচ্চাদের খাওয়ানোর সময় চামচ ব্যবহার করতে হবে।

 

প্রশ্ন.৪. খাবার স্যালাইন কিভাবে বানাতে হয়? 

উত্তর. পুরো এক প্যাকেট স্যালাইন আধা লিটার পানিতে একবারেই ঢেলে দিতে হবে। স্যালাইন পানিতে পুরোপুরি না মিশে যাওয়া পর্যন্ত নাড়তে হবে।


নিউমোনিয়া


নিউমোনিয়া কনটেন্টটিতে নিউমোনিয়া কী, রোগের লক্ষণ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, চিকিৎসা, বিশ্রাম, পথ্য, বাড়তি সতর্কতা, প্রতিরোধ সর্ম্পকে বর্ণনা করা হয়েছে।

নিউমোনিয়া সাধারণত বয়স্ক ব্যক্তিদের, যারা দীর্ঘদিন রোগে ভুগছেন অথবা যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল বা কম তাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তবে তরুণ, অল্প বয়স্ক, স্বাস্থ্যবান লোকদেরও নিউমোনিয়া হতে পারে।

নিউমোনিয়া কি 

নিউমোনিয়া হলো ফুসফুসের প্রদাহজনিত একটি রোগ। সাধারণত ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক সংক্রমনের কারণে নিউমোনিয়া হয়। নিউমোনিয়া মৃদু বা হাল্কা থেকে জীবন হানিকরও হতে পারে। নিউমোনিয়ার ফলে ফ্লু এর সম্ভাবনাও দেখা দিতে পারে।

 

নিউমোনিয়া হয়েছে কি করে বুঝবেন 

নিউমোনিয়ার উপসর্গগুলো ভিন্ন হয়ে থাকে। এটা নির্ভর করে শারীরিক অবস্থা কি ধরনের জীবাণু  নিউমোনিয়ার সংক্রমণ ঘটিয়েছে তার উপর।

 

নিউমোনিয়া হলে সাধারণত: যেসব  লক্ষণ ও উপসর্গগুলো দেখা দেয়: 

জ্বরকাশিশ্বাস কষ্টঘাম হওয়াকাঁপুনিবুকে ব্যাথা যা শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে উঠা নামা করেমাথা ব্যথামাংসপেশীতে ব্যাথাক্লান্তি অনুভব করা

 

কখন ডাক্তার দেখাবেন 

অস্বাভাবিক জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, ঘাম, বুকে ব্যথা হওয়ার সাথে সাথে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। এছাড়াযারা বৃদ্ধ এবং শিশুযারা ধূমপান করেনযারা ফুসফুসে কোন আঘাত পেয়েছেনযাদের কেমোথেরাপি (ক্যান্সারের চিকিৎসা) অথবা অন্য কোন ঔষধ খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে

তাদের যদি উপরোক্ত লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে তাদেরকে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। তা না হলে নিউমোনিয়া মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে

 

চিকিৎসার জন্য কোথায় যোগাযোগ করতে হবে 

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রউপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সজেলা হাসপাতালমা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়বেসরকারী হাসপাতাল

 

কি ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে 

শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষাবুকের এক্স-রেরক্ত এবং কফ/শ্লেষ্মা (Mucus)  পরীক্ষা

 

কখন হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে 

মারাত্মক নিউমোনিয়া হয়ে থাকলে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে শিরাপথে এ্যান্টিবায়োটিক এবং অক্সিজেন দেয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অক্সিজেনের প্রয়োজন না হলে বাড়িতে থেকেও মুখে এ্যান্টিবায়োটিক সেবন করা যেতে পারে তবে এক্ষেত্রে বাড়িতে ভালোভাবে রোগীর প্রতি যত্ন নিতে হবে।

 

কি ধরনের চিকিৎসা আছে 

এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবনভাইরাস প্রতিরোধী ঔষধ সেবনপর্যাপ্ত পরিমান বিশ্রামতরল খাদ্য গ্রহণজ্বর এবং ব্যথা কমানোর জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবনের পাশাপাশি নিয়মিত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

 

বিশ্রাম,পথ্য ও বাড়তি সতর্কতা 

প্রচুর বিশ্রাম গ্রহণ করতে হবেপ্রচুর পরিমাণে তরল খাবার গ্রহণ এবং পানি পান করতে হবেডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঠিকমত ঔষধ সেবন করতে হবেডাক্তারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করতে হবে

 

নিউমোনিয়া কিভাবে প্রতিরোধ করা যায় 

ভালোভাবে পরিস্কার করে হাত ধুতে হবেনিজের প্রতি যত্ন নিতে হবেপর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবেসুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবেধূমপান করা যাবে নাঅন্যের সামনে হাঁচি/কাশি দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। হাঁচি/কাশি দেয়ার সময় মুখ হাত দিয়ে ঢাকতে হবে বা রুমাল ব্যবহার করতে হবে

 

সচরাচর জিজ্ঞাসা 

প্রশ্ন .১. নিউমোনিয়া কেন হয় ? 

উত্তর. ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস দ্বারা ফুসফুসে সংক্রমণের মাধ্যমে নিউমোনিয়া হয়ে থাকে।

 

প্রশ্ন.২. নিউমোনিয়া কয় ধরনের হয়ে থাকে?

উত্তর. নিউমোনিয়ার কারণের উপর ভিত্তি করে নিউমোনিয়াকে কয়েক ভাগে ভাগ করা যায়। 

পারস্পরিক সংস্পর্শ থেকে (Community-acquired Pneumonia) হওয়া নিউমোনিয়াহাসপাতাল থেকে হওয়া নিউমোনিয়া (Hospital-acquired Pneumonia)এ্যাসপিরেশন নিউমোনিয়া(Aspiration Pneumonia)সুযোগ সন্ধানী জীবানু দিয়ে হওয়া নিউমোনিয়া (Pneumonia Caused by Opportunistic Organisms)অন্যান্য জীবাণু দ্বারা ঘটিত হওয়া নিউমোনিয়া (Other Pathogens)

 

প্রশ্ন. ৩. কাদের নিউমোনিয়া হওয়ার ঝুঁকি বেশি রয়েছে ? 

উত্তর. যাদের নিউমোনিয়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তারা হলেন

ছোট্ট শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তিরাবহুদিন ধরে ভুগছে এমন কোন রোগ থাকলে যেমন : বহুমূত্র (Diabetes), হৃদরোগ,  ফুসফুসের অন্য কোন রোগ ,এইডস ইত্যাদি থাকলেযাদের অন্য কোন কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে  যেমন-ক্যান্সারের চিকিৎসা নিলে,স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ সেবন করলেযারা ধূমপান করেন

 

প্রশ্ন .৩. নিউমোনিয়া হলে কি ধরণের জটিলতা দেখা দিতে পারে? 

উত্তর. নিউমোনিয়ার ফলে নিচের জটিলতাগুলো দেখা দিতে পারে:

রক্তপ্রবাহে (Blood Stream) জীবাণুর সংক্রমণফুসফুসের চারপাশে তরল জমা এবং সংক্রমণ (Fluid accumulation and indection around lungs)ল্যাং এ্যাবসেস  (Long Abscess)তীব্র শ্বাসকষ্ট বা একিউট রেসপিরেটরি ডিসট্রেস সিনেড্রাম (Acute respiratory distress syndrome)


কুষ্ঠ রোগ

কুষ্ঠ রোগ একটি দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ হলেও এটা অতটা সংক্রমক রোগ নয়। কুষ্ঠ রোগের ফলে খুব কমই মৃত্যু হতে দেখা যায়। তবে কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি ও তার পরিবারকে অনেক মানসিক ও সামাজিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

 
কুষ্ঠ রোগ কি 


মাইকোব্যাকটেরিয়াম লেপ্রি (Mycobacterium leprae ) নামক জীবাণুর সংক্রমণের কারণে কুষ্ঠ রোগ হয়। কুষ্ঠ রোগ মস্তিষ্ক ও মেরুদন্ডের বাইরের দিকের স্নায়ু (Peripheral Nerves), ত্বক, অন্ডকোষ (testes), চোখ এবং নাকের মিউকাস মেমব্রেনের ক্ষতি করে।


কুষ্ঠ রোগ কিভাবে ছড়ায় 

আক্রান্ত ব্যক্তির নাক-মুখ দিয়ে সর্দি (Droplet) ঝরলে এবং সুস্থ ব্যক্তির শ্বাস নেয়া ও স্পর্শের মাধ্যমে কুষ্ঠ রোগ ছড়াতে পারেজীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হলেও অধিকাংশ ব্যক্তির কুষ্ঠরোগ হয় না। সাধারণত আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে ঘনিষ্ঠ ও দীর্ঘস্থায়ী মেলামেশার ফলে কুষ্ঠ রোগ হতে পারে। ক্ষণস্থায়ী মেলামেশার কারণে এটি ছড়ায় না।আক্রান্ত ব্যক্তিকে সাধারণত স্পর্শের মাধ্যমে এটি ছড়ায় না।কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির জীন অনেক সময় সংক্রমণের জন্য দায়ী থাকে। ফলে জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হলে তাদের কুষ্ঠ রোগ হবার সম্ভাবনা থাকে।

কুষ্ঠ রোগ হয়েছে কি করে বুঝবেন

সংক্রমিত হওয়ার অন্তত এক বছর আগ পর্যন্ত কোন লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা যায় না। সাধারণত: সংক্রমণের ৫-৭ বছর পর কুষ্ঠ রোগের উপসর্গ গুলো দেখা যায়। উপসর্গগুলো ধীরে ধীরে বাড়ে।


কুষ্ঠ রোগ হলে সাধারণত: যেসব লক্ষণ ও উপসর্গ গুলো দেখা দেয়:

 
টিউবারকিউলয়েড কুষ্ঠ (Tuberculoid leprosy) : ত্বকে লালচে দাগের পাশাপাশি কিছু কিছু জায়গায় মসৃণ সাদাটে দাগ দেখা যায়। আক্রান্ত স্থান অসাড় (Numb) হয়ে যায়।লেপরোমেটাস কুষ্ঠ (Lepromatous leprosy) : ত্বকে অনেক ক্ষুদ্র পিন্ড অথবা অনেকখানি স্থান জুড়ে বিভিন্ন আকারের লালচে দাগ দেখা যায়। শরীরের বেশিরভাগ স্থান অসাড় হয়ে যায় এবং মাংসপেশী দূর্বল হয়ে পড়ে। ত্বকের বেশির ভাগ অংশ এবং শরীরের বেশিরভাগ অঙ্গ যেমন-কিডনী, নাক, অন্ডকোষ আক্রান্ত হতে পারে।বর্ডারলাইন কুষ্ঠ (Borderline leprosy) : এক্ষেত্রে টিউবারকিউলয়েড কুষ্ঠ এবং লেপ্রোমেটাস কুষ্ঠের বৈশিষ্ট্য গুলো বিদ্যমান থাকে। চিকিৎসা না করানো হলে এটি অনেকটা টিউবারকিউলয়েড কুষ্ঠের মত বৈশিষ্ট্য ধারণ করে। যদি আরো খারাপ আকার ধারণ করে তাহলে  লেপ্রোমেটাস কুষ্ঠের মত হতে পারে।


কখন ডাক্তার দেখাবেন 

উপরোক্ত লক্ষণ ও উপসর্গ দেখা দেয়ার সাথে সাথে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।


কোথায় চিকিৎসা করাবেন 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সজেলা সদর হাসপাতালমেডিকেল কলেজ হাসপাতালবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়বেসরকারী হাসপাতাল


কি ধরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে 

কুষ্ঠ রোগের উপসর্গ দেখেই ডাক্তার বুঝতে পারেন যে কুষ্ঠ হয়েছে। তবে রোগ নিশ্চিত করার জন্য নিচের পরীক্ষাগুলো করানো হয় :

আক্রান্ত স্থানের ত্বকের কলা (Skin tissue) পরীক্ষারক্তের পরীক্ষা

 
কি ধরণের চিকিৎসা আছে

রোগের ধরণ, মাত্রা এবং রুগীর বয়সের উপর কুষ্ঠ রোগের চিকিৎসা নির্ভর করে। চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে:

দীর্ঘ সময় ব্যাপী এন্টিবায়োটিক সেবনড্যাপসোন (Dapsone ) দিয়ে জীবনব্যাপী চিকিৎসা


কিভাবে কুষ্ঠ রোগ প্রতিরোধ করা যায় 

আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে নিঃসৃত তরল (bodily fluid) এবং তাদের ত্বকের যে ফুসকুড়ি তার সংস্পর্শে আসা যাবে নাবিসিজি টিকা নেবার মাধ্যমে কুষ্ঠ রোগ প্রতিরোধ করা যায়। তবে এটা অতটা প্রচলিত নয়।

 
সচরাচর জিজ্ঞাসা

প্রশ্ন .১ .কাদের কুষ্ঠ রোগ হবার ঝুঁকি বেশি ?

উত্তর. কুষ্ঠ রোগ যে কোন বয়সেই হতে পারে। তবে ৫-১৫ বছর বয়সী অথবা ৩০ এর বেশি বয়সীদের এই সমস্যা দেখা দেয়।


প্রশ্ন .২ .কুষ্ঠ রোগ কয় ধরণের হয় ?

উত্তর . শরীরের যেসব জায়গায় ত্বক আক্রান্ত হয়েছে তার উপর নির্ভর করে কুষ্ঠ রোগকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা :

পসিব্যাসিলারী (Paucibacillary) : ত্বকের পাঁচটি জায়গায় বা এর চেয়ে কম জায়গা আক্রান্ত হয়।মাল্টিব্যাসিলারী (Multibaicllary) : ত্বকের ছয়টি বা এর চেয়ে বেশি জায়গা আক্রান্ত হয়।

 
রোগের উপসর্গের উপর নির্ভর করে কুষ্ঠ রোগকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা :

টিউবারকিউলয়েড কুষ্ঠ (Tuberculoid Leprosy)লেপ্রোমেটাস কুষ্ঠ (Lepromatous Leprosyবর্ডারলাইন কুষ্ঠ (Borderline Leprosy)


প্রশ্ন.৩. কুষ্ঠ রোগের ফলে কি কি জটিলতা দেখা দিতে পারে?

উত্তর. কুষ্ঠ রোগের ফলে নিচের জটিলতাগুলো দেখা দেয় :

পায়ের নিচে ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে যার ফলে হাঁটতে গেলে পায়ে ব্যথা করেনাসিকাতে ক্ষতের কারণে নাকে সমস্যা হতে পারে এবং নাক থেকে রক্তপাত হতে পারে এমনকি নাক ক্ষয়ে যেতে পারেচোখের ক্ষতির কারণে গ্লুকোমা অথবা অন্ধত্ব হতে পারেপুরুষদের লেপ্রোমেটাস কুষ্ঠ হলে  শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে ব্যর্থ (Erectile dysfunction/Impotence) এবং সন্তান জন্মদানে তারা অক্ষম (Infertile) হনকিডনির কার্যকারিতা নষ্ট হয় যায়

শিশুর স্বাস্থ্য

শীতে শিশুর যত্ন ঃ 

শীতকালে শিশুর অসুস্থ হওয়ার প্রকোপ বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে মা-বাবার এক্সট্রা কেয়ার নিতে হবে। 

১) শিশুকে রোগপ্রতিরোধক টিকাগুলো দিয়ে দেওয়া।
২) বারবার হাত ধোয়ার অভ্যাস রপ্ত করানো। ফলে তা অনেক অসুখ-বিসুখ থেকে শিশুকে রক্ষা করবে।
৩) ঘরে জ্বরের সাসপেনশন (প্যারাসিটামল) রাখা।
৪) খাবার স্যালাইনের প্যাকেট ঘরে রাখা।
৫) দ্রুত অসুস্থ হয়ে গেলে কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে তা আগেভাগে বিবেচনা করে রাখা।
৬) বেশির ভাগ শীতকালীন অসুখ স্বল্প সময়ের। শিশু আপনা-আপনি সেরে ওঠে। তবু এ সময় শিশুর সঙ্গে মিলে একসঙ্গে বই পড়া, গান শোনা বা গলা খুলে গান গাওয়া। ভালোবাসা ও মনোযোগ শিশুকে দ্রুত সুস্থ করে তোলার শক্তিশালী ওষুধ। 

গরমে শিশুর যত্ন ঃ 

গরমে শিশুরা অনেক গরম সহ্য করলে কিছু প্রকাশ না করায় অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়। অভিভাবকদের দায়িত্ব হোল নিচের বিষয়গুলা মেনে চলারঃ 

১) বারবার পানি পান করান। ডাবের পানি, ফলের রস খাওয়ান।
২) শরীরের তাপমাত্রা বাড়লে গা মুছে দিন।
৩) শিশুকে এ সময় অবশ্যই সুতির নরম ও পাতলা পোশাক পরান।
৪) সঠিক সানস্ক্রিন ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার শিশুর কোমল ত্বক রক্ষা পাবে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে।
৫) গরমের সময় মশা, মাছি, পিঁপড়ে অথবা বিভিন্ন পোকামাকড়ের প্রকোপ দেখা যায়, যা আপনার শিশুর অসুস্থতার কারণ হতে পারে। আপনার ঘরকে এগুলো থেকে মুক্ত রাখতে অ্যারোসল বা অন্য কীটনাশক ব্যবহার করতে পারেন। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন আপনার শিশু যেন কোনোভাবেই এগুলোর নাগাল না পায়। এছাড়া ঘরকে পোকামাকড়মুক্ত রাখতে ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। ফুলের টবে বা অন্য কোথাও এমনকি বালতিতেও পানি জমতে দেবেন না।
৬) শিশুকে সরাসরি ফ্যান কিংবা এসির কাছে শোয়াবেন না। প্রয়োজনে ঘরের জানালা খুলে দিন।
৭) কোনও ভাবেই যেন ঘাম শরীরে না শুকায়, এতে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। এজন্য বারবার ঘাম মুছে দিন।
৮) শিশুর ত্বকে যেন ঘামাচি না ওঠে এজন্য গোসলের পর এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঘামাচি পাউডার লাগিয়ে দিন।
৯) আপনার শিশুর পোশাকের দিকে লক্ষ রাখুন। ঘেমে ভিজে গেলে বা নোংরা হয়ে গেলে তা পরিবর্তন করে দিন।

যৌন সমস্যা

সমস্যার কারণঃ 

আমাদের সমাজে পুরুষেরা অনেক বেশি যৌন সমস্যার সম্মুখীন হয় । যেমন – প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশেন (সহবাসে স্থায়িত্বের অভাব), ইরেকশন ফেইলিউর (পুরুষাঙ্গের উত্থানে দুর্বলতা), পেনিট্রেশন ফেইলিউর (যৌনাঙ্গ ছেদনে অক্ষমতা) প্রভৃতি। ডাক্তারী বিজ্ঞানমতে, পুরুষদের এসব সমস্যার জন্য যেসব বিষয়কে দায়ী করা হয় সেগুলো হলো:

যার সাথে সহবাসে মিলিত হওয়া সেই মানুষটির সাথে বয়সের পার্থক্য সহবাসকারী পার্টনারকে অপছন্দ (যেমন: দেহের ত্বক, মুখশ্রী, দেহ সৌষ্ঠব প্রভৃতি)
ডায়াবেটিস
সিফিলিস
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, টেনশন ও অবসাদ
যৌনরোগ বা এইডস ভীতি
নারীর ত্রুটিপূর্ণ যৌনাঙ্গ
দেহে সেক্স হরমোনের ভারসাম্যহীনতা
প্রয়োজনীয় যৌন শিক্ষার অভাব

সমাধানঃ 

আমাদের মধ্যে অনেকেই লজ্জায় এসব বিষয়ে কাউকে কিছু না বলে নিজের মধ্যে লুকিয়ে রাখে। এ থেকে সমস্যা আরো মারাত্মক আকার ধারণ করে। তাই এসব সমস্যা নিজের মধ্যে লুকিয়ে না রেখে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। 
প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ওষুধ সেবনের মাধ্যমে এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণ, ভিডিআরএল, টিপিএইচ, এইচবিএসএজি ও রক্তের হরমোন এনালাইসিস এর মাধ্যমে এথেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।

এছাড়া আপনি চাইলে ঘরে বসেই এসব সমস্যা সমাধান করতে পারেন। এই পদ্ধতিকে বলা হয় হারবাল পদ্ধতি। হবে সবক্ষেত্রে হোম রেমেডি প্রযোজ্য নয়। 
রোগের প্রাথমিক অবস্থায় হোম রেমেডি পদ্ধতি প্রয়োগ করে রোগটি নির্মূল করা সম্ভব হয়। যেসকল পুরুষের যৌন সক্ষমতা কম তারা নিচের পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করতে পারেন।


রসুন:

মসলা হিসেবে রসুন আমাদের সকলের কাছেই পরিচিত। ডাক্তারী ভাষায় রসুনকে বলা হয় গরীবের পেনিসিলিন। এটি অ্যান্টিসেপ্টিক এবং immune booster হিসাবে কাজ করে। যৌন অক্ষমতার ক্ষেত্রে রসুন খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। 
বিশেষ কোনো রোগের কারণে বা দুর্ঘটনার কারণে যৌন ক্ষমতা হারিয়ে গেলে রসুনের মাধ্যমে তা পুণরায় ফিরে পাওয়া যায়। প্রতিদিন দুই থেকে তিন কোয়া রসুন কাঁচা অবস্থায় চিবিয়ে খেলে হারানো যৌন অক্ষমতা ফিরে পাওয়া যায়। 
যারা খালি কাঁচা রুসন খেতে পারেন না তারা গমের আটার তৈরি রুটির সাথেও কাঁচা রসুন মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে শরীরে স্পার্ম তৈরির মাত্রা বেড়ে যায় এবং সুস্থ স্পার্ম তৈরিতে এটি সাহায্য করে থাকে। 


পেঁয়াজ:

আমরা অনেকেই জানি পেঁয়াজ খেলে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। সহজলভ্য এই মসলাটি কাম উত্তেজক ও কামনা বৃদ্ধিকারী হিসাবে অনেকদিন ধরেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে এর ব্যবহার বিধি সম্পর্কে এখন সুস্পষ্ট তেমনকিছু জানা সম্ভব হয়নি। 
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সাদা পেঁয়াজ বাটা মাখনের সাথে ভেজে মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। উল্লেখ্য, এটি খাওয়ার আগে দুই থেকে আড়াই ঘন্টা পর্যন্ত কোনো কিছু খাওয়া যাবে না।
এটি খেলে দ্রুত বীর্যপাত, ঘুমের মধ্যে ধাতুপতন প্রভৃতি সমস্যার সমাধান হয়। এছাড়াও পেঁয়াসের রসের সাথে কালো খোসা সহ বিউলির ডালের গুড়া সাত দিন ভিজিয়ে রেখে রোদে শুকিয়ে সেটি নিয়মিত খেলে কাম-উত্তেজনা বজায় থাকে এবং শারীরিক মিলনকালীন সুদৃঢ়তা বজায় থাকে।


মেয়েলী রোগ


অনিয়মিত মাসিক

চিকিৎসাঃ 

* রোগীকে সম্পূর্ণরূপে বিশ্রামে থাকতে হবে এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে
* মানসিকভাবে আস্বস্ত হতে হবে
* রক্তস্বল্পতা দেখা দিলে রক্ত দিতে হবে
* পুষ্টিকর খাবার ও হালকা ব্যায়াম করতে হবে

অতিরিক্ত মাসিক স্রাব

চিকিৎসাঃ 

* মা বাবার উচিত অত্যধিক চাপের কুফল সম্পর্কে অবহিত করা৷
* এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে বিলম্ব না করে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা৷
* প্রোটিন, ভিটামিন, আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে৷

যোনি পথে প্রদাহ

চিকিৎসাঃ 

* দ্রুত চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খেতে হবে৷ অন্যথায় পরে নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে৷
* রোগীকে ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে৷
* পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে৷
* রোগীকে প্রচুর পানি খেতে হবে৷
* বিশ্রাম নিতে হবে৷
* রোগমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত স্বামী সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে অথবা স্বামী সহবাসের সময় স্বামীকে কনডম ব্যবহার করতে হবে৷
* রোগীর কাপড় চোপড় যাতে অন্য কেউ ব্যবহার না করে সে বিষয়ে রোগীকে সতর্ক থাকতে হবে৷

Post a Comment

0 Comments