নষ্ট মেমোরি কার্ড ঠিক করার সেরা উপায় জেনে নিন
নষ্ট মেমোরি কার্ড ঠিক করার সেরা উপায় জেনে নিন
নষ্ট মেমোরি কার্ড,নষ্ট মেমরি কার্ড ঠিক করার উপায়,ঠিক করুন যে কোন পেনড্রাইভ মেমোরি, মেমোরি কার্ড ভালো রাখার কিছু টিপস,
মেমোরি কার্ড রিপেয়ার,মেমরি কার্ড, পেনড্রাইভ ফরম্যাট নিচ্ছে না?খুব সহজ মেমরি কার্ড ঠিক,১০টি টিপস,মেমোরীকার্ড আনলক,মেমরি কার্ড এর পাসওয়ার্ড,
অতি গুরুত্বপূর্ণ ৫টি জিনিস,কার্ড রিডারের মাধ্যমে,কম্পিউটারে কার্ডের ড্রাইভ ইউজ,অচল মেমোরি কার্ড আবার সচল,মেমোরি কার্ড কেনার সময়,
৪০০ জিবির মেমোরি কার্ড!
এগুলো নিয়ে সমস্ত বিষয়ে আলাপ আলোচনা করা হয়েছে আপনারা সবাই পড়ে দেখবেন এবং নষ্ট মেমোরি কার্ড এখান থেকে ঠিক করতে পারবেন।
এবং অন্যকে ঠিক করার সুযোগ করে দিবেন শেয়ার করে।
নষ্ট মেমোরি কার্ড
নষ্ট মেমরি কার্ড ঠিক করার উপায়। তথ্য আদান প্রদান করার সময় ফোনের মেমোরি কার্ড হঠাৎ খুলে নেওয়া হলে বা কোনো ভাবে সংযোগ বিছিন্ন হলে সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অকেজো হতে পারে। নানাভাবে এমন নষ্ট মেমরি কার্ড সচল করা গেলেও সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এবং বাহ্যিকভাবে নষ্ট মেমরি কার্ড ঠিক করতে ডেটা রিকভারি সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে। কিভাবে নষ্ট মেমরি কার্ড ঠিক করবেন। আমাদের এই অ্যাপ টি সম্পূর্ণ পড়বেন তাহলে মেমোরি কার্ড ঠিক করতে হয় কীভাবে, মেমোরি কার্ড ভালো রাখা, পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে ঠিক করা ইত্যাদি যাবতীয় মেমোরি কার্ড নিয়ে সুন্দর ধারনা হবে ।
নষ্ট মেমরি কার্ড ঠিক করার উপায়
নষ্ট মেমরি ঠিক করার উপায় গুলো জেনে নিন। বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে মেমরি কার্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটার মধ্যে আপনি রাখতে পারেন গুরুত্বপূর্ণ সব ডাটা। এছাড়াও জীবনের সৃত্মি চিহ্নিত কিছু ছবি আমরা আমদের মোবাইলের মেমরি কার্ডের মধ্যেই রাখি। তথ্য আদান প্রদান করার সময় ফোনের মেমোরি কার্ড হঠাৎ.খুলে নেওয়া হলে বা কোনো ভাবে সংযোগ বিছিন্ন হলে সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অকেজো হয়ে যায়। ফলে আপনি পরেন মহাবিপাকে। অবশেষে আপনার প্রয়োজনীয় কিছু ডকুমেন্ট হারিয়ে আপনি হতাশায় ভোগেন। নানান ভাবে এমন নষ্ট মেমরি কার্ড সচল করা গেলেও সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অথবা বাহ্যিকভাবে নষ্ট মেমরি কার্ডকে ঠিক করা কঠিন। তারপও আধুনিক কম্পউটারের যুগে সবই সম্ভব। এবার আপনাদের জানাবো কিভাবে নষ্ট মেমরি কার্ড ঠিক করবেন।
=> ডেটা রিকভারি সফটওয়্যার ব্যবহার করে নষ্ট মেমরি কার্ড ঠিক করুন
মেমোরি কার্ডের তথ্য দেখা যাচ্ছে, কিন্তু সেটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে ডেটা উপস্থিত থাকে কিন্তু কম্পিউটার বা অন্য যন্ত্র সেটিকে পড়তে (রিড) পারে না। এক্ষেত্রে সবাই ভাবে যে মেমোরি কার্ডটি বোধহয় নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু না, এমন অবস্থা থেকে রিকভারি সফটওয়্যার মেমোরি কার্ডটাকে ফিরিয়ে আনতে পারে।
আর এ জন্য যা করতে হবে আপনাকে:
প্রথমে কার্ড রিডারে মেমোরি কার্ড ঢুকিয়ে নিয়ে কম্পিউটারে সংযোগ দিন। খেয়াল রাখুন, মেমোরি কার্ড ফাইল এক্সপ্লোরারে বা হার্ড ড্রাইভের অন্যান্য ডিস্কের মতো দেখালে এটিতে প্রবেশ করা যাবে না, কিন্তু ফাইল সিস্টেম ঠিক আছে। এবার য়াপনার উইন্ডোজ এর স্টার্ট মেন্যুতে গিয়ে cmd লিখুন। এতে আপনার স্টার্ট মেন্যুর উপর দিকে কমান্ড প্রম্পট (cmd) দেখা যাবে। এখন এর ওপর ডান বোতাম চেপে Run asadministrator নির্বাচন করে সেটি খুলুন।
কমান্ড প্রম্পট চালু হলে এখানে chkdskmr লিখে enter ক্লিক করুন। এখানে m হচ্ছে মেমোরি কার্ডের ড্রাইভ। কম্পিউটারে কার্ডের ড্রাইভ লেটার যে টি দেখাবে সেটি এখানে লিখে চেক ডিস্কের কাজটি সম্পন্ন হতে দিন। এখানে convertlostchainsto files বার্তা এলে y চাপুন। এ ক্ষেত্রে ফাইল কাঠামো ঠিক থাকলে কার্ডের তথ্য আবার ব্যবহার করা যাবে।
মেমোরি কার্ড যদি invalid filesystem দেখায় তাহলে সেটির ড্রাইভের ডান ক্লিক করে Format-এ ক্লিক করুন। File system থেকে FAT নির্বাচন করে Quick format-এর টিক চিহ্ন তুলে দিয়ে Format-এ ক্লিক করুন। ফরম্যাট সম্পন্ন হলে মেমোরি কার্ডের তথ্য হারালেও কার্ড নষ্ট হবে না।
ঠিক করুন যে কোন পেনড্রাইভ, মেমোরি
Corrupted পেনড্রাইভ, মেমোরি কিভাবে ঠিক করা যায়। তো কথা না বাড়িয়ে কাজে চলে যাই। প্রথমে আপনার উইন্ডোজের START এ কিল্ক করে RUN এ গিয়ে cmd লিখে enter চাপুন।
তারপর Command Prompt চালু হবে।এখন আপনার স্বাদের কম্পিউটারে Corrupted পেনড্রাইভ বা মেমোরি লাগান।
১ নং ধাপ – এখন প্রথমে টাইপ করুন একসাথে ( diskpart ) তারপর enter চাপুন।
২ নং ধাপ – অবার টাইপ করুন ( list disk ) এখন আপনার ড্রাইভ শো করবে। দেখুন আপনার Corrupted পেনড্রাইভ, মেমোরির ড্রাইভ কোনটা ।
৩ নং ধাপ – যদি disk 1 বা disk 2 হয় তাহলে যথাক্রমে ( select disk 1 বা select disk 2 ) টাইপ করুন এবং enter চাপুন।
৪ নং ধাপ – এখন ( clean ) লিখে enter প্রেস করুন।
৫ নং ধাপ – টাইপ করুন ( create partition primary ) লিখে enter প্রেস করুন।
৬ নং ধাপ – টাইপ করুন ( active ) লিখে enter প্রেস করুন।
৭ নং ধাপ – টাইপ করুন ( select partition 1 ) লিখে enter প্রেস করুন। ( আপনার ড্রাইভ অনুয়ায়ী আগেই বলেছি যথাক্রমে)
৮ নং ধাপ – টাইপ করুন ( format fs=fat32 ) লিখে enter প্রেস করুন। আপনি চাইলে fat32 এর বদলে ntfs ফরমেটে ফরমেট দিতে পারেন। ব্যাস আপনার কাজ শেষ এখন Corrupted পেনড্রাইভ বা মেমোরি ফরমেট হতে থাকবে। 100% হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। 100% হলে Successfully দেখাবে এখন ( exit ) লিখে enter প্রেস করলে Command Prompt বন্ধ হবে । এখন My computer ওপেন করে দেখুন ঠিক হয়ে গেছে।
মেমোরি কার্ড ভালো রাখার কিছু টিপস
সাধের Memory Card যদি নষ্ট হয়ে যায় এবং তাতে যদি গুরুত্বপূর্ন ডাটাথাকে তাহলে কেমন লাগে?
Memory card ভালো রাখার কিছু টিপস যেনে নেইঃ
১) আপনার মোবাইলে যতটুকু পরিমাণ মেমোরিকার্ড সাপোর্ট করে তার অর্ধেক পরিমাণ মেমোরি কার্ড আপনার মোবাইলে ব্যাবহার করুন।
২) মেমোরি কার্ডকে কখনই পেনড্রাইভ হিসেবে ব্যাবহার করবেন না।
৩) কার্ড রিডার এর বদলে ডাটা ক্যাবল ব্যাবহার করুন। কারন, কার্ড রিডার ব্যাবহার করলে মেমোরি কার্ডের ওপর বেশি চাপ পরে।
৪) মোবাইলে একটানা বেশি সময় ধরে গান শোনা অথবা ভিডিও দেখা উচিত নয়। কারন, এতে মেমোরি কার্ড ও মোবাইলের ব্যাটারি দুটির ওপরই বেশি চাপ পড়ে।
৫)মেমোরি কার্ড ফরম্যাট করার প্রয়োজন হলে কম্পিউটারের বদলে মোবাইল দিয়ে ফরম্যাট করুন। মনে রাখবেন, মোবাইলের মেমোরি কার্ড শুধুমাত্র মোবাইলের জন্যই তৈরি করা হয়েছে। এটাকে কম্পিউটারে ব্যাবহার না করাই ভালো।
মেমোরি কার্ড রিপেয়ার
আমারা অনেকেই মেমোরি কার্ড কম্পিউটারে ব্যবহার করি। কিন্তু অনেক সময়ই আপনার মেমোরি কার্ডে সমস্যা দেখা দিতে পারে; আপনার মেমোরি কার্ড ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আপনার মেমোরি কার্ড নিম্নের মেসেজগুলো দেখাতে পারেঃ
“Unsupported media card inserted, format now?”
“Media is not formatted. Would you like to format now?”
“The SD card cannot be recognized.”
Please insert the drive …
“Access denied”, when SD card is corrupted or broken.\
আপনার মেমোরি কার্ড যদি এদের মধ্যে কোন এরর মেসেজ দেখায় তাহলে আপনার কার্ড ঠিক করতে হবে। নিচের পদ্ধিতিগুলো অর্থাৎ মেথডগুলো দিয়ে আপনি আপনার মেমোরি কার্ড ফিক্স করতে পারেনঃ
=> মেথড ১:
আপনার মেমোরি কার্ডের এরর চেক করান। এরর চেক করাতে আপনার কার্ডের ড্রাইভে রাইট ক্লিক করে যান Properties > Tools > Check now…
=> মেথড ২:
আপনি যদি “Card Lock” হওয়ার এরর মেসেজ পান তাহলে আপনি আপনার কার্ডটি রিমুভ করে এটিকে আনলক করুন।
=> মেথড ৩:
Folder Option এ যান এবং চেক করুন যে “show hidden files and folder“ টিক দেওয়া আছে নাকি। না থাকলে টিক দিন। তারপর command prompt এ যান এবং chkdsk H:\ /r” লিখে এন্টার করুন এবং অপেক্ষা করুন এটি শেষ হওয়া পর্যন্ত। নোট করুন যে আপনার মেমোরি ড্রাইভ যদি G:\ হয় তাহলে লিখুন “chkdsk G:\ /r”।
=> মেথড ৪:
আপনি যদি মেসেজ পান “Unsupported media card inserted, format now?” তাহলে আপনার মেমোরি কার্ড Format করুন। Memory Card Recovery টুলটি নামিয়ে আপনি আপনার ফরম্যাট করা ফাইলগুলো ফেরত পেতে পারেন।
=> এরর মেসেজ না পাওয়ার জন্য কিছু টিপসঃ
যখন আপনি নতুন এসডি কার্ড বা মেমোরি কার্ড কিনবেন তখন এটি ফরম্যাট করুন
আপনার কার্ড কখনও Directly রিমুভ করবেন না। শুধু ক্লিক করুন “eject” এবং আপনার কার্ডটি রিমুভ করুন।
যখন আপনি আপনার মোবাইল থেকে মেমোরি কার্ড রিমুভ করবেন তার আগে আপনার মোবাইল/ সেলফোন বন্ধ করে নিবেন।
আপনার পেনড্রাইভ পুরোপুরি ভরবেন না। কিছু জায়গা খালি রাখবেন।
সবসময় ভাল ব্রান্ডের মেমোরি কার্ড ব্যবহার করুন।
মেমরি কার্ড, পেনড্রাইভ ফরম্যাট নিচ্ছে না?
বিভিন্ন কারনে ইউএসবি ডিস্ক (ফ্ল্যাশ ডিস্ক) ফরম্যাট দেয়ার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু অনেক সময় ভাইরাস বা অন্য কারনে ইউএসবি ডিস্ক (পেন ড্রাইভ, মেমরি কার্ড ইত্যাদি) ফরম্যাট নিতে চায় না। তবে নিচের পদ্ধতিগুলোর যে কোন একটি অ্যাপ্লাই করলে ইউএসবি ডিস্ক সহজেই ফরম্যাট হবে।
=> ১) কমান্ড প্রম্পট ব্যবহার করেঃ
এটি পেন ড্রাইভ/ মেমরি কার্ড ফরম্যাট করার সবচেয়ে কার্যকরী পদ্ধতি।
এক্ষেত্রে, যা করতে হবেঃ
প্রথমে Start থেকে Run এ গিয়ে ' 'cmd' ' লেখাটি টাইপ করে এন্টার দিন।
যে উইন্ডোটি আসবে সেখানে লিখুন ' ' Format K: ' '। লক্ষ্য করুন ইউএসবি ডিস্কটি K ড্রাইভ হিসেবে কাজ করছে বলে ' 'Format K:' ' লেখা হয়েছে।
এন্টার দিন।
একটি উইন্ডো আসবে। এখানে ' 'Y/N' ' চাইলে ' 'Y' ' টাইপ করে এন্টার দিয়ে ডিস্কটি পুনরায় নরমালি ফরম্যাট দিয়ে দেখুন ফরম্যাট নিচ্ছে।
=> ২) এনটিএফএস ফরম্যাটঃ
পেন ড্রাইভ/ মেমরি কার্ডকে সাধারনত Fat 32 ফাইল অবস্থায় ফরম্যাট করা হয়। তবে Fat 32 এ সমস্যা হলে ডিস্কটিকে NTFS এ ফরম্যাট করা যায়।
এজন্য My Computer থেকে পেন ড্রাইভ/ মেমরি কার্ড এর উপর ডান বাটন ক্লিক করে Properties> Hardware এ গিয়ে পেন ড্রাইভ/ মেমরি কার্ডটি নির্বাচন করতে হবে।
এরপর Properties> Policies থেকে Optimize for performance নির্বাচন করে ok ক্লিক করতে হবে।
=> ৩) উইন্ডোজের ডিস্ক ম্যানেজমেন্ট বা ডস ফরম্যাট ব্যবহার করেঃ
এক্ষেত্রে Start থেকে Control Panel এ গিয়ে Administrative Tools এ দুই বার ক্লিক করতে হবে। তারপর Computer Management এ দুই বার ক্লিক করতে হবে। এখন বাঁ পাশ থেকে Disk Management এ ক্লিক করলে ডান পাশে পেনড্রাইভ/ মেমরি কার্ডসহ সব কটি ড্রাইভের লিস্ট দেখাবে। সেখান থেকে পেন ড্রাইভ/ মেমরি কার্ড এর উপর মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে ফরম্যাট করলে পেনড্রাইভ ফরম্যাট হবে।
=> ৪) সফটওয়্যার ব্যবহার করেঃ
উপরের কোন পদ্ধতিতে ইউএসবি ডিস্ক ফরম্যাট না হলে HP USB Disk Storage Format Tool সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এই টুল দিয়ে ইউএসবি ডিস্ককে ডস স্টার্টআপ ডিস্কও বানানো যাবে। সফটওয়্যারটির ব্যবহার খুবই সহজ।
খুব সহজ মেমরি কার্ড ঠিক
নস্ট মেমরি কার্ড ঠিক করা তাই বলে এক বারে একবারে ডেড কার্ড মেমরি কার্ড ঠিক করে ফেলবেন তা কিন্তু নয়
তাইলে কি মেমরি কার্ড ঠিক করবেন? কমন প্রশ্ন, ঠিক করবেন এই সব মেমরি কার্ড যে সব মেমরি কার্ড ফর্মেট হচ্ছে না। তাহলে নস্ট যেমরি কার্ড অর্থাৎ (যে কার্ড ফর্মেট হচ্ছে না সেই কার্ড ইউ এসবির মাধ্যমে পিসিতে ডুকান) তারপর আপনার মাই কম্পিউটারে প্রবশ করে আপনার ইউ এস বি লাগানো ড্রাইভটা চিনে রাখুন (যেমন, f, e, t) এখন মাউস পয়েন্টার মাই কম্পিউটার এর উপর রেখে mange এ যান।
এখন নিচের stoge থেকে Disk managemant এ ক্লিক করুন।
এখন আপনার কাঙ্গিত মেমরি কার্ড এর ড্রাইভ টাতে ক্লিক করুন (যেটাতে ইউস বি ডুকিয়েছিলেন)। আবার মাউস এর রাইট বটন ক্লিক করুন এবং ফর্মেট লিখা দেখতে পাবেন এটাতে ক্লিক করুন। এখন ওকেতে ক্লিক করুন। এবং কিছু সময় অপেক্ষা করুন !!! ব্যাস কাজ শেষ দেখুন ফর্মেট হয়ে গেছে।
১০টি টিপস
মেমোরি কার্ড টেকসই রাখার জন্য ১০টি টিপস দিব। এই টিপসগুলো সব আমার বেসিক ধারনা থেকেই দেওয়া।
=> ভাল মেমরি কার্ড কেনার ৪টি টিপসঃ
১। মেমরি কার্ড কেনার পূর্বে দেখে নিন তা আপনাকে কতখানি স্পেস সাপোর্ড দিতে পারে। যদি আপনার মেমরিটি 1 GB হয় তবে এর মধ্যে সর্বচ্চ 970MB -1000 MB পর্যন্ত সাপোর্ড দিতে হবে।
২। মেমরি কর্ডটির পিছনের অংশ অর্থাৎ যেখানে তামার পাত দেওয়া থাকে সে অংশে যদি মেমরি কার্ডের বিভিন্ন সংযোগ চিহ্ন বোঝা যায় তবে তা না কেনাই ভাল।
৩। মেমরি কার্ডের সাধারনত নতুন অবস্থাতেই কোন ওয়ারন্টি বা গ্যারান্টি থাকে না তাই পরাতন না কেনাই ভাল। ৪। মেমরি কার্ড অবশ্যই ভাল কোম্পানি দেখে কিনতে হবে।
=> মেমরি কার্ডের যত্ন এবং ব্যবহারঃ
১। মাসে অন্তত একবার আপনার মেমরি কার্ডটি গ্লাস ক্লিননার দিয়ে সংযোগ স্থানটি ভালভাবে পরিষ্কার করতে হবে। অনেক সময় মোবাইল গরমে ঘেমে মেমরি কার্ড নষ্ট হতে পারে।
২। কখনো মেমরি কার্ড পিসিতে দুই-তিন বারের বেশি ফরমেট করবেন না কারন এতে মেমরি কার্ড নষ্ট হবার ঝুকি থাকে।
৩। প্রয়োজনে মোবাইল দিয়ে মেমরি কার্ড ফরমেট করুন।
৪। মোবাইলে বেশিক্ষন (এক-দুই ঘন্টার বেশী) ভিডিও গান বা ভিডিও চিত্র না দেখাই ভাল কারন এতে ব্যাটারি এবং মেমরি কার্ডের উপর চাপ পড়ে।
৫। মেমরি কার্ড কে পেনড্রইভ হিসাবে ব্যবহার না করাই ভাল আর যদি পেনড্রইভ হিসাবে ব্যবহার করতে চান তাহলে কার্ড রিডার ব্যবহার না করে মোবাইলের ডাটা কেবল ব্যবহার করুন।
৬। 1 GB সাপোর্ড মোবাইলের জন্য 512 MB, 2 GB সাপোর্ড মোবাইলের জন্য 512 MB / 1 GB, 4 GB সাপোর্ড মোবাইলের জন্য 2 GB / 4 GB মেমরি কার্ড ব্যবহার করা ভাল। এতে মোবাইল ফোন সহজে হ্যাং হয়না এবং ধীর গতীর হয় না।
মেমোরীকার্ড আনলক
নিঃসঙ্গের একমাত্র সঙ্গী মোবাইল। বর্তমান যুগে মোবাইল শুধু কল করা ও রিসিভ করতেই সীমাবদ্ধ নেই। মোবাইল দিয়েই এখন কম্পিউটারের চাহিদা পূরণ করা যায়। গান শোনা, ভিডিও দেখা ও গেমিং ইত্যাদি থেকে শুরু করে প্রায় বেশিরভাগ বিনেদনই মোবাইল দিয়েই করা যায়। তাই এই সব বিনেদনের জন্য মোবাইলে মেমোরী কার্ড একটি অপরিহার্য বস্তু। এবং এইসব কিছুর জন্য মেমোরী কার্ডের দিকেই ঝুকে থাকতে হয়। মেমোরী কার্ডে পারসোনাল অনেককিছুই রাখা হয়। তাই আমরা সাধারণত মেমোরীকার্ডকে পাসওয়ার্ড প্রটেক্টট করে রাখি। যাতে মেমোরীকার্ডটি অন্যজন ব্যবহার করতে না পারে। সবকিছু ঠিকই থাকে। কিন্তু যখন পাসওয়ার্ড মনে থাকে না তখনই শুরু হয় যত বিড়ম্বনা।
আজকে আমি আপনাদেরকে একটি পদ্ধতি দেখাব যার মাধ্যমে আপনি অনায়াসে আপনার মেমোরী কার্ডটি আনলক করতে পারবেন। তবে আপনার মেমোরী কার্ডে থাকা ফাইলগুলি আর ফেরৎ পাবেন না।
=> আসুন তাহলে দেখা যাক কিভাবে কি করতে হবে-
১। আপনার পাসওয়ার্ড ভূলে যাওয়া মেমোরী কার্ডটি সেটে ঢুকান। পাসওয়ার্ড চাইলে Cancel করে দিন।
২। আপনার ফাইল ম্যানেজারে (File Manager) যান। এবং মেমোরী কার্ডে প্রবেশ করুন।
৩। এরপর Options এ ক্লিক করে Memory Card Options থেকে Format এ ক্লিক করুন।
৪। ম্যাসেজ দেখাবে Format memory card? Data will be deleted during formatting.। Yes এ ক্লিক করুন।
৫। কিছুক্ষণের মধ্যেই Formatting Complete ম্যাসেজ দেখাবে এবং আপনার মেমোরী কার্ডটির নাম দিতে বলবে। যেকোন নাম দিন, নাও দিতে পারেন এবং OK তে ক্লিক করুন।
ব্যাস আপনার মেমোরী কার্ডটি আনলক হয়ে গেল। এখন আপনাকে মেমোরীকার্ডটি তার আয়তন প্রদর্শন করবে।
মেমরি কার্ড এর পাসওয়ার্ড
আজকাল সাবধানে বা অন্যান্য কারনে আমাদের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হয়। তাছাড়া ইন্টারনেট এর যেখানে যেই একাউন্ট করেন না কেন আপনাকে পাসোয়ার্ড ব্যবহার করতে হবেই। আর যদি পাসওয়ার্ড ভুল যান তাহলে icon sad ভুলে যাওয়া আপনার মোবাইলের মেমরি কার্ড এর পাসওয়ার্ড মুছে দিন .... || বিডিরঙ.কম বেশ চরম অবস্থা হবে আপনার।
এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব যে কিভাবে আপনার প্রিয় মোবাইল এর মেমরি কার্ড এর পাসোয়ার্ড বের করবেন এবং মুছে দিবেন।
এই কাজ করার জন্য আপনাকে Xplore নামের একটা ফাইল ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার প্রয়োজন তাই সফটওয়্যার টি এই লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করুন। সফটওয়্যার টি আপনার মোবাইল এ ইন্সটল করুন।
এবার সফটওয়্যার টি ওপেন করুন এবং কিছু সেটিং পরিবর্তন করার জন্য শুন্য (0) চাপুন একটা বিশাল কনফিগারেশন এর মেন্যু আসবে সেখানে ' 'Show the System Files” অপশনে টিক দিয়ে শেভ করুন।
এবার আপনার মেমরি কার্ড এর পাসওয়ার্ড পাওয়ার জন্য ' 'C:/Sys/Data/Mmcstore” লোকেশন এ গিয়ে তিন (3) বাটনে চাপ দিন দেখবেন কি যেন হিজিবিজি লেখা এসে হাজির হয়ে গেছে।
এবার সেখানে ৩ নং কলামে ! TMSD02G (c??”?x???5?5?5?5? এই ধরনের একটা কোড পাবেন এবার এই কোড থেকে প্রশ্নবোধক চিহ্ন (?) বাদ দিয়ে অক্ষর গুলো নিন যেমন আমার দেয়া কোড গুলো থেকে প্রশ্নবোধক চিহ্ন (?) বাদ হলে ' '5555 ' ' পাওয়া যায়। তাহলে পাসোয়ার্ড হল ' '5555″ icon smile ভুলে যাওয়া আপনার মোবাইলের মেমরি কার্ড এর পাসওয়ার্ড মুছে দিন .... ||
অতি গুরুত্বপূর্ণ ৫টি জিনিস
=> ১। ইমারজেন্সিঃ
এমন যদি হয় যে আমরা নেটওয়ার্ক কভারেজের বাহিরে আছি এবং কোন নেট খুজে পাচ্ছিনা সেক্ষেত্রে 112 এই ইমারজেন্সী নাম্ভার টি সব ফোন এর ক্ষেত্রেই ব্যবহারযোগ্য, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এটি যে কাজ করে তা হলো, এটি প্রেস করার সাথে সাথে ইহা আপনার জন্য নিকটবর্তী প্রতিষ্ঠিত নেটওয়ার্ক খুজে বের করবে এবং ঐ অপারেটর এর ইমারজেন্সি নাম্ভার টির সাথে আপনাকে কানেক্টেড করবে। এখন তো সবাই নেট কভারেজের মধ্যেই আছি তাইনা? এখুনি একবার ডায়াল করে দেখুন দেখবেন ডায়াল করলেই নাম্ভারটি দেখাবে না দেখাবে Emergency !
=> ২। গাড়ি আনলক করাঃ
আপনার গাড়িতে যদি রিমোর্ট কন্ট্রোলড লক সিস্টেম থেকে থাকে এবং ধরুন কোণ একদিন ভুল করে চাবিটি গাড়ির ভেতরে রেখে দরজা লক করে দিলেন এবং অন্য কোণ উপায়েও খোলার সিস্টেম নেই তখন মোবাইল দিয়ে সেটি আনলক করতে পারবেন। আর সেজন্য অবশ্যই আরেকটি রিমোর্ট কন্ট্রোলড চাবি থাকতে হবে কিন্তু সেটি আপনার হাতে না থাকলেও চলবে। ধরুন ২য় চাবিটি বাড়িতে আছে, তাহলে বাড়িতে কাউকে ফোন করুন এবং মোবাইল টি গাড়ির ডোর লক এর এক ফুট পরিমান দুরত্তে ধরে রাখুন এবার ফোনের অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তিকে বলুন মোবাইলের কাছে ধরে আপনার রিমোর্ট চাবিটির আনলক বাটন চাপতে। আশা করি কাজ হয়ে যাবে। চেষ্টা করে দেখুন।
=> ৩। কথা ভালো বুঝতে পারছেন না কি করবেনঃ
বিশেষ করে সকল নোকিয়া ফোনে এটি কার্যকর। বিভিন্ন সময় হঠাত করে আমাদের ফোনের ভয়েল ক্লিয়ারিটি কমে যায়, সবি ঠিক থাকে তাও কথা এমন অস্পষ্ট সেক্ষেত্রে ভয়েস ক্লিয়ারিটি বাড়াতে পারেন এই কোডটি চেপেঃ *3370# মোবাইল ফোন গুলো সাধারনত কিছু চার্জ রিজার্ভ করে আর এই কোডটি সাধারনত ওই চার্জ কে ব্যবহার করে ফোনের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, তবে এই কোড চালু রেখে দেয়া ঠিক নয় এতে ব্যাটারি দূর্বল হয়ে পড়ে । সুতরাং ব্যাবহারের পর #3370# চেপে এটাকে অফ করে রাখুন।
=> ৪। ফোন চুরি হয়ে গেলেঃ
এই টিপস টি আপনার ফোন টা হয়ত পুনরুদ্ধার করে দিতে পারবেনা কিন্তু যে আপনার ফোন টী নিয়েছে সে ওটাকে আর ব্যবহার করতে পারবেনা। এবং বিক্রিও করতে পারবেনা। সুতরাং চোরকে একটা উচিত শিক্ষা দিন এইভাবেঃ এক্ষুনি প্রেস করুন *# 06 # এরপর একটা সিরিয়াল কোড নাম্ভার দেখাবে সেটিকে কোথাও লিখে রাখুন। ফোনটা চুরি হয়ে গেলে আপনার সার্ভিস প্রোভাইডার কিংবা ফোন কোম্পানির কোণ কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে গিয়ে এই নাম্ভার টি দিয়ে কাহিনি খুলে বলুন। ওরা ফোন অকেজো করে দিবে। এরপর চোর মহাশয় যখনি নতুন কোণ সিম ঢুকাবে ব্যাস ফোন চিরতরের জন্য মৃত্যুবরন করবে।
=> ৫। মোবাইল কেনার সময় যাচাই করা উচিতঃ
*#92702689# এই কোডটি চাপলে দেখতে পাবেন ফোনের সিরিয়াল নাম্ভার,কবে তৈরী করা হয়েছে অর্থাৎ ফোনটি লেটেস্ট কিনা,এর আগে কেউ ব্যবহার করলে ক্রয়ের তারিখ দেখাবে, ফোনটিকে রিপেয়ার করলে তার বিস্তারিত দেখাবে, যদি রিপেয়ার না করে থাকে তাহলে ০০০০ দেখাবে, ফোন থেকে কোন ডাটা ট্রান্সফার হয়েছে কিনা দেখাবে। আর এই তথ্যগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে হলে ফোনটি রিস্টার্ট দিতে হবে। বর্তমান স্মার্ট ফোনগুলোতে কাজ করে কিনা জানিনা তবে নোকিয়ার পূর্বের হ্যান্ডসেট গুলোতে কাজ করে।
কার্ড রিডারের মাধ্যমে
কার্ড রিডারে মেমোরি কার্ড ঢুকিয়ে নিয়ে কম্পিউটারে কানেক্ট করুন। খেয়াল রাখুন, হার্ড ড্রাইভের অন্যান্য ডিস্কের মতো মেমোরি কার্ড দেখালেও সেটিতে প্রবেশ করা যাবে না, কিন্তু ফাইল সিস্টেম ঠিক আছে। এবার আপনার উইন্ডোজ এর স্টার্ট মেন্যুতে গিয়ে cmd লিখুন। এতে আপনার স্টার্ট মেনুর উপর দিকে কমান্ড প্রম্পট (cmd) দেখা যাবে। এখন এর ওপর ডান বোতাম চেপে Run as administrator সিলেক্ট করে সেটি খুলুন। কমান্ড প্রম্প্ট চালু হলে এখানে chkdsk mr লিখে enter ক্লিক করুন। এখানে m হচ্ছে মেমোরি কার্ডের ড্রাইভ।
কম্পিউটারে কার্ডের ড্রাইভ ইউজ
কম্পিউটারে কার্ডের ড্রাইভ দেখতে পেলে এখানে 'চেক ডিস্ক' সম্পন্ন হতে দিন।
এখানে convert lost chains to files বার্তা এলে y টিপুন। এ ক্ষেত্রে ফাইল যদি ঠিক থাকলে কার্ডের তথ্য আবার ব্যবহার করা যাবে। মেমোরি কার্ড যদি invalid file system দেখায় তাহলে সেটির ড্রাইভের ডান ক্লিক করে Format-এ ক্লিক করুন। File system থেকে FAT নির্বাচন করে Quick format-এর টিক চিহ্ন তুলে দিয়ে Format-এ ক্লিক করুন। ফরম্যাট সম্পন্ন হলে মেমোরি কার্ডের তথ্য হারালেও কার্ড নষ্ট হবে না।
নানাভাবে এমন অকেজো মেমোরি কার্ড সচল করা গেলেও সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এবং বাহ্যিকভাবে নষ্ট প্রায় কার্ডকে ঠিক করতে ডেটা রিকভারি সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে। মেমোরি কার্ডের তথ্য দেখা যাচ্ছে, কিন্তু সেটি ব্যবহার করা না গেলে আপনাকে এই সফটওয়্যার সমাধান দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে ডেটা উপস্থিত থাকে কিন্তু কম্পিউটার বা অন্য যন্ত্র সেটিকে 'রিড' করতে পারে না।
অচল মেমোরি কার্ড আবার সচল
তথ্য স্থানান্তর করার সময় ফোনের মেমোরি কার্ড হঠাৎ খুলে নেওয়া হলে বা কোনোভাবে সংযোগ বিছিন্ন হলে সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অকেজো হতে পারে।নানাভাবে এমন অকেজো মেমোরি কার্ড সচল করা গেলেও সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এবং বাহ্যিকভাবে নষ্ট প্রায় কার্ডকে ঠিক করতে ডেটা রিকভারি সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে।
মেমোরি কার্ডের তথ্য দেখা যাচ্ছে, কিন্তু সেটি ব্যবহার করা না গেলে আপনাকে এই সফটওয়্যার সমাধান দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে ডেটা উপস্থিত থাকে কিন্তু কম্পিউটার বা অন্য যন্ত্র সেটিকে পড়তে (রিড) পারে না। এ জন্য কার্ড রিডারে মেমোরি কার্ড ঢুকে নিয়ে কম্পিউটারে সংযোগ দিন। খেয়াল রাখুন, মেমোরি কার্ড ফাইল এক্সপ্লোরারে বা হার্ডড্রাইভের অন্যান্য ডিস্কের মতো দেখালে এটিতে প্রবেশ করা যাবে না, কিন্তু ফাইল সিস্টেম ঠিক আছে। এবার উইন্ডোজ এ স্টার্ট মেন্যুতে cmd লিখে এর ওপর ডান বোতাম চেপে Run as administrator নির্বাচন করে সেটি খুলুন। কমান্ড প্রম্পট চালু হলে এখানে chkdsk m:/r লিখে এন্টার করুন। এখানে m: হচ্ছে মেমোরি কার্ডের ড্রাইভ । কম্পিউটারে কার্ডের ড্রাইভ লেটার যেটি দেখাবে সেটি এখানে লিখে চেক ডিস্কের কাজটি সম্পন্ন হতে দিন। এখানে convert lost chains to files বার্তা এলে y চাপুন। এ ক্ষেত্রে ফাইল কাঠামো ঠিক থাকলে কার্ডের তথ্য আবার ব্যবহার করা যাবে। মেমোরি কার্ড যদি invalid file system দেখায় তাহলে সেটির ড্রাইভের ডান ক্লিক করে Format-এ ক্লিক করুন। File system থেকে FAT নির্বাচন করে Quick format-এর টিক চিহ্ন তুলে দিয়ে Format-এ ক্লিক করুন। ফরম্যাট সম্পন্ন হলে মেমোরি কার্ডের তথ্য হারালেও কার্ড নষ্ট হবে না।
মেমোরি কার্ড কেনার সময়
মেমোরি কার্ড আজকাল প্রায় নিত্য প্রয়োজনীয় বস্তুতে পরিণত হয়েছে। আগে যেখানে অল্প কিছু ইলেক্ট্রনিকস এর দোকান ছাড়া এসব পাওয়াই দায় ছিলো সেখানে আজ আনাচে কানাচের সব ডিভিডি,মোবাইল, ফ্লেক্সীলোডের দোকানেই মেমরী কার্ড কিনতে পাওয়া যায়। এগুলোর মূল্যও আগের তুলনায় অনেক সস্তা হয়ে গেছে। কিন্ত প্রশ্ন হচ্ছে, এসব মেমোরি কার্ডের গুনগত মান কতটুকু? সেটি বোঝার উপায়ই বা কি? সেসব প্রশ্ন নিয়েই আজকের এইলেখা।যা যা জেনে নেওয়া প্রয়োজন,
১। লাইফ-টাইমঃ
সকল ব্র্যান্ডেড মেমোরি কার্ডের সাথে বলে দেয়া হয় “লাইফ-টাইম গ্যারান্টি”। কিন্ত এই লাইফ-টাইম গ্যারান্টির অর্থ কি আমরা জানি? অনেকেই মনে করছেন হয়ত লাইফ-টাইম মানে আজীবন যে কোনো সময় সমস্যা হলেই গ্যারান্টি পাওয়া যাবে। আর লাইফ-টাইম কথাটির মানেও তো আসলে তাই। কিন্ত এই জীবন যে সেই জীবন নয়, তা মেমোরি কার্ডের প্যাকেজিং পড়লেই বোঝা সম্ভব! মেমোরি কার্ড তৈরিতে ব্যবহার করা হয় ফ্ল্যাশ মেমোরি সার্কিট। এসব সার্কিট থেকে কতবার ডাটা পড়া যাবে ও ডাটা লেখা যাবে সেটির একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ রয়েছে। কম দামী মেমোরি কার্ডের ক্ষেত্রে হয়ত ১০,০০০ বার আর বেশী দামীর ক্ষেত্রে হয়ত ১০০,০০০ বার বা ১,০০০,০০০ বারও হতে পারে। এই রিড/রাইট সাইকেলের লিমিটকেই ধরা হয় মেমোরি কার্ডের লাইফ-টাইম। অর্থাৎ গ্যারান্টি ততদিনই পাবেন যতদিন এই লাইফ-টাইম পার না হবে। অথচ মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই লিমিটের পর কার্ডটি এমনিতেও নষ্ট হয়ে যাবে। তখন দেখা যাবে কার্ড করাপ্ট আর ফরম্যাট করাও সম্ভব হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে যা দেখে কিনবেনঃ মেমোরি কার্ডের গ্যারান্টি না দেখে দেখা উচিৎ সেটার লাইফ-টাইম রিড-রাইট সাইকেল কতবার। যত বেশী হবে সেটি তত ভালো। অন্তত ১০০,০০০ বার না হলে সেটি কেনা উচিৎ নয় (যদি না আপনি কার্ডটি শুধু ডাটা ব্যাক-আপ রাখার কাজে ব্যবহার না করেন মানে ফোনে বা ট্যাবে লাগানো অবস্থায় থাকবে না)।
২। কার্ডের ক্লাসঃ
মেমোরি কার্ডের ব্যবহারিক সুবিধা অনেকটাই নির্ভর করে তার রিড/রাইট স্পীডের ওপর। বিশেষ করে ডিএসএলআর ক্যামেরা বা হাই-ডেফিনিশন ভিডিও করার সিস্টেমসহ ফোনের জন্য এটি একটি বড় ব্যাপার। তবে এই রিড-রাইট স্পীড বোঝার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে কার্ডটির ক্লাস দেখে কেনা। ক্লাসটি মেমোরি কার্ডের গায়ে @ এর মত করে লেখা থাকে।
ক্লাস ২ = ২ মেগাবাইট প্রতি সেকেন্ডে রাইট করা সম্ভব
ক্লাস ৪ = ৪ মেগাবাইট প্রতি সেকেন্ডে রাইট করা সম্ভব
ক্লাস ৬ =৬ মেগাবাইট প্রতি সেকেন্ডে রাইট করা সম্ভব
ক্লাস ৮ =৮ মেগাবাইট প্রতি সেকেন্ডে রাইট করা সম্ভব
ক্লাস ১০ =১০ মেগাবাইট প্রতি সেকেন্ডে রাইট করা সম্ভব
ক্লাস T1 =১০ মেগাবাইটের ওপর স্পিডে রাইট করা যাবে
প্রতি সেকেন্ডে HD 1080P ভিডিও রেকর্ড করার জন্য অন্তত ক্লাস ৬ কার্ড কেনা উচিৎ। তবে ক্লাস ৬ এর চাইতে ক্লাস ১০ বা আরও বেশী ক্লাসের মেমোরি কার্ড পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। তবে নকল কার্ডের গায়ে লেখা ক্লাস সম্পূর্ণ ভুয়া। সেগুলো ২ বা ৪ ক্লাসের বেশী নয়।
৩। কার্ডটির সত্যিকারের নির্মাতা কেঃ
মেমোরি কার্ড কিনতে গেলে ব্র্যান্ডের অভাব পড়ে না। স্যামসাং, তোশিবা, ট্র্যানসেন্ড, অ্যাডাটা, অ্যাপ্যাসার, স্যানডিস্ক ইত্যাদি বিভিন্ন ধরণের ব্র্যান্ড রয়েছে। তবে কেনার সময় এই বিষয়ে বেশ সতর্কতার প্রয়োজন।
স্যামসাং-এর তৈরি কার্ড বাংলাদেশে খুব কম পাওয়া যায়। ৯০% ক্ষেত্রেই নিম্মমানের কার্ড স্যামসাং-এর নামে বাজারজাত করে অসাধু ব্যবসায়ীরা। তোশীবার কার্ডের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য, বেশীরভাগই নকল কার্ড। স্যানডিস্কের ক্ষেত্রেও অনেকটাই এমন, তবে T1 কার্ডগুলো নকল হবার সম্ভাবনা কম। ভালো নামী দোকান থেকে কিনুন। কার্ড কেনার সময় কার্ডের গায়ে কোনও হলোগ্রাম আছে কিনা দেখে নিন। ট্র্যানসেন্ড, অ্যাডাটা বা অ্যাপ্যাসার নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। এদের কার্ড অরিজিনাল, প্রচুর পাওয়া যায় এবং লাইফ-টাইমও ১০০,০০০ বার এর বেশী।
সেজন্য মেমোরি কার্ড কেনার আগে উপরের বিষয়গুলো বেশ ভালো করে নিশ্চিত হয়ে কেনার অনুরোধ রইলো পাঠকদের কাছে। নাহলে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো হারিয়ে পরবর্তীতে ভাগ্যকে দোষ দেয়া ছাড়া আর কিছুই করার থাকবে না।
৪০০ জিবির মেমোরি কার্ড!
মনের স্মৃতির পাতায় অগণিত স্মৃতি রাখা গেলেও প্রযুক্তির স্মৃতির পাতা বা মেমোরি কার্ডে সেই সুযোগ নেই। সেখানে একটি নির্দিষ্টমাত্রা পেরুনোর পর আর স্মৃতি সংরক্ষণ করা যায় না। সংরক্ষণ করতে চাইলে পুরনো স্মৃতি ফেলে নতুন স্মৃতি তুলে রাখতে হয়। কোন স্মৃতি ফেলে দিবেন আর কোন স্মৃতি তুলে রাখবেন- এটা নিয়ে ব্যবহারকারীকে পড়তে হয় দোটানায়। তবে গ্রাহকদের সেই দোটানা থেকে মুক্তি দিতে স্যানডিস্ক বাজারে নিয়ে এসেছে ৪০০ জিবির মেমোরি কার্ড।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে জার্মানির বার্লিনে স্যানডিস্ক তাদের এই মেমোরি কার্ডটি উন্মুক্ত করে। একইদিন মেমোরি কার্ডের পাশাপাশি ১৮ কোর প্রসেসরসমৃদ্ধ মনস্টার পিসি, গ্যাজিলন ভিআর হেডসেটের ঘোষণাও দেয়।
তবে এতকিছুর মাঝেও আলাদাভাবে নজর কেড়েছে স্যানডিস্কের ৪০০ জিবির মেমোরি কার্ড। প্রথমদিকের ম্যাকবুক প্রোয়ের চেয়ে তিনগুণ বেশি জায়গা রয়েছে এই মেমোরি কার্ডে। যদি আপনি বইয়ের সংগ্রাহক হন তাহলে এই মেমোরি কার্ডে আস্ত একটি ডিজিটাল লাইব্রেরি রাখা সম্ভব। মেমোরি কার্ডে প্রতিটি এক মেগাবাইটের প্রায় চার লাখ বই সংরক্ষণ করা যাবে।
প্রতিটি ১২ মেগাপিক্সেলের দুই মেগাবাইট আকারের প্রায় দুই লাখ ছবি আপনি সংরক্ষণ করতে পারবেন এই মেমোরি কার্ডে। এ ছাড়া চার মেগাবাইট করে এক লাখ গান, চার জিবি করে প্রায় ৮৮টি হাই-ডেফিনিশন চলচ্চিত্র সংরক্ষণ করা যাবে এই মেমোরি কার্ডে। আর ব্লু রে ছবির ক্ষেত্রে সে সংখ্যা দাঁড়াবে ১৬টি।
বর্তমানে বহুল ব্যবহৃত ৩২ জিবি মেমোরি কার্ডে প্রায় এক হাজার ৬০০ ছবি, আট হাজার গান ও সাতটি হাই-ডেফিনিশন ছবি ধারণ করা সম্ভব। অতএব এই হিসেব থেকেই ৪০০ জিবির মেমোরি কার্ডের বিশালতা আন্দাজ করা যায়। এর আগে মেমোরি কার্ডের সর্বোচ্চ মাত্রা ছিল ২৫৬ জিবি। নতুন এই মেমোরি কার্ড তাই ভেঙে দিয়েছে অতীত রেকর্ডও। স্যানডিস্কের ৪০০ জিবির এই মেমোরি কার্ডের দাম ধরা হয়েছে ২৫০ মার্কিন ডলার।
0 Comments