asd

জাল টাকা চেনার সহজ উপায় জেনে নিন 2021

জাল টাকা চেনার সহজ উপায় জেনে নিন 2021

জাল টাকা চেনার সহজ উপায় জেনে নিন 2021



জাল টাকা চেনার সহজ উপায় জেনে নিন 2021
জাল নোট এর বৈশিষ্ট্য,নিরাপত্তা সুতা,অমসৃণ ইন্ট্যাগলিও মুদ্রণ,রং পরিবর্তনশীলসূতা,অসমতল ছাপা,ইরিডিসেন্ট স্ট্রাইপ,অতি ছোট আকারের লেখা
অন্ধদের জন্য বিন্দু ,আসল টাকার বৈশিষ্ট্য,জাল নোট শনাক্ত হলে,জাল নোট এর শাস্তি।জাল টাকা চেনার বিষয়ে সমস্ত আলোচনা করা হয়েছে আপনার পড়ে দেখবেন


জাল নোট এর বৈশিষ্ট্য

১-

জাল টাকার প্রথম শর্ত হচ্ছে এই টাকার নোটগুলো নতুন হবে । কারণ জাল টাকার নোটগুলো সাধরণ কাগজের তৈরি তাই পুরাতন হয়ে গেলে সেই নোট নাজেহাল হয়ে যায় বা তা অতি সহজেই বোঝা যায়।

২-

জাল টাকার নোট ঝাপসা দেখায় । আসল নোটের মত ঝকঝকে থাকে না । সেটা নতুন হোক আর পুরাতন হোক এবং কিছুটা পাতলা বা হালকা ধরনের যা একজন আরেক জনের কাছ থেকে টাকা লেন দেন করার সময় একটু মনযোগ সহকারে দেখলেই বোঝা যায়।

৩-

জাল নোট হাতের মধ্যে নিয়ে মুষ্টিবদ্ধ করে কিছুক্ষণ পর ছেড়ে দিলে তা সাধারণ কাগজের মতো ভাঁজ হয়ে যাবে । আর আসল নোট ভাঁজ হবে না । যদিও সামান্য ভাঁজ হবে তবুও তা জাল নোটের ক্ষেত্রে তুলনামূলক অনেক বেশি।

নিরাপত্তা সুতা

একশ টাকা, পাঁচশ টাকা ও এক হাজার টাকার নোটে মূল্যমান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগোসংবলিত নিরাপত্তা সুতা রয়েছে। নোটের মূল্যমান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো নিরাপত্তা সুতার চারটি স্থানে মুদ্রিত আছে। এ নিরাপত্তা সুতা অনেক মজবুত যা নোটের কাগজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। নখের আঁচড়ে বা দুমড়েমুচড়ে নিরাপত্তা সুতা কোনোক্রমেই উঠানো সম্ভব নয়। জাল নোটে নিরাপত্তা সুতা সহজেই নখের আঁচড়ে উঠে যায়।

কাগজ

নোটে বিশেষ প্রলেপযুক্ত উন্নতমানের দীর্ঘস্থায়ী কাগজ ব্যবহার করা হয়েছে। কাগজের সম্মুখ ও পশ্চাৎ উভয় পীঠে বিক্ষপ্তভাবে রঙ্গিন ফ্লোরসেন্ট ফাইবার রয়েছে যা খালি চোখে দেখা যায়না কিন্তু অতি বেগুনি আলোয় দেখলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লাল, নীল ও হলুদ রঙে দৃশ্যমান হবে।

টাকা সবসময় দুটি অংশ দিয়ে তৈরি হয়। টাকার দুই পার্শে দুটো নোট জোড়া লাগানো থাকে এবং এটা হরিনের চামড়া দিয়ে তৈরি বলে পানিতে ভেজালেও খুব তারাতারি ভেঙ্গে যাবে না। আর জাল নোট পানিতে ভেজানোর সাথে সাথেই তা ভেঙ্গে যাবে।.

উভয় পীঠ হতে দেখা যায় এমন ফুলের প্রতিকৃতি

নোটের সম্মুখ ও পশ্চাৎ উভয় পীঠে একই স্থানে ফুলের আকৃতি মুদ্রিত আছে যা উভয় পীঠ হতে একই স্থানে দেখা যাবে।

লুকানো ছাপা

এখানে সুপ্ত বা লুকানভাবে "১০০০" মুদ্রিত আছে যা স্বাভাবিক আলোয় তির্যকভাবে তাকালে দেখা যাবে।

অমসৃণ ইন্ট্যাগলিও মুদ্রণ

২০১১ সন থেকে প্রচলিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি সম্বলিত নতুন ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের আসল নোটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি, নোটের মূল্যমান ও উভয় পিঠের অধিকাংশ লেখা ও ডিজাইনের বিভিন্ন অংশ হাতের আঙ্গুলের স্পর্শে অসমতল বা উঁচু-নিচু অনুভূত হবে। অমসৃণ মুদ্রণের এই বৈশিষ্ট্য ফটোকপি বা অফসেটে ছাপা জালনোটে থাকবেনা অথবা অসমতল ছাপার রঙ নখের সামান্য আচরেই উঠে যাবে।

রং পরিবর্তনশীল সূতা

সব মূল্যমানের আসল নোট আলোর বিপরীতে ধরেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো ও মূল্যমান সম্বলিত নিরাপত্তা সূতা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ও প্রতিকৃতির নিচে অতি উজ্জ্বল ইলেক্ট্রোটাইপ জলছাপে প্রতিটি নোটের মূল্যমান জলছাপ হিসেবে দেখা যাবে। এছাড়াও প্রতিটি নোটের জলছাপের বামপাশে বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো উজ্জ্বলতর ইলেক্ট্রোটাইপ জলছাপ লক্ষ্যণীয় হবে। সরাসরি তাকালে রং পরিবর্তনশীল হলোগ্রাফিক সূতায় বাংলাদেশ ব্যাংকে লোগো ও অংকে মূল্যমান লেখা রূপালী দেখাবে। কিন্তু পাশ থেকে দেখলে বা ৯০ ডিগ্রিতে নোট ঘুরালে তা কালো দেখাবে। ফটোকপি বা অফসেটে ছাপা জালনোটের সূতা নখের আঁচড়ে উঠে যাবে।

অসমতল ছাপা

একশ টাকা, পাঁচশ টাকা ও এক হাজার টাকার নোটের সামনের ও পিছনের পিঠের ডিজাইন, মধ্যভাগের লেখা, নোটের মূল্যমান এবং সাতটি সমান্তরাল সরল রেখা আড়াআড়িভাবে মুদ্রিত আছে। হাতের আঙ্গুল দিয়ে ঘষলে এসব ডিজাইন, লেখা ও রেখা অমসৃণ অর্থাৎ খসখসে অনুভূত হয়।

ইরিডিসেন্ট স্ট্রাইপ

১০০০ টাকার আসল নোটের পিছনের বাম অংশে ইরিডিসেন্ট ব্যান্ড ; নোটটি নাড়াচাড়া করলে এর রং পরিবর্তন লক্ষ্যণীয় হয়। ফটোকপি বা অফসেট ছাপা জালনোটের ক্ষেত্রে এ রঙের পরিবর্তন লক্ষ্যণীয় হবে না।

সহজে লক্ষ্যণীয় নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য ছাড়াও আরও বেশ কিছু নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন মূল্যমানের আসল নোটে রয়েছে, যা বিশদ পরীক্ষায় লক্ষ্যণীয়, যেমন লেটেন্ট ইমেজ, মাইক্রোটেকস্ট, ইউভি ফ্লোরোসেন্টস ইত্যাদি।

হাতে পাওয়া কোন নোটের যথার্থতা সম্পর্কে সন্দেহ হলে এবং সহজে লক্ষ্যণীয় নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলো যাচাইয়ে নিরসন না হলে পরীক্ষার জন্য ব্যাংক শাখায় যোগাযোগ করুন।

অতি ছোট আকারের লেখা

১০০০ টাকা নোটে নিরাপত্তা সুতার বাম পাশে খালি চোখে পরপর ২টি সরলরেখা দেখা যাবে যেগুলোর একটিতে 1000 TAKA এবং অন্যটিতে BANGLADESH BANK পুনঃ পুনঃ মুদ্রিত আছে। লেখাগুলো অতি ছোট আকারের হওয়ায় আতশি কাঁচ ব্যতীত খালি চোখে দেখা যাবে না।

অন্ধদের জন্য বিন্দু

নোটের ডানদিকে অন্ধদের জন্য ৫টি ছোট বিন্দু রয়েছে যা হাতের স্পর্শে উঁচু-নিচু অনুভূত হবে।

এই বিষয়গুলোর যে কোন একটি যদি অনুপস্থিত থাকে তবে সেই টাকাটি নিকটস্থ অভিজ্ঞ ব্যক্তির দ্বারা পরীক্ষা করিয়ে নিন।

আসল টাকার বৈশিষ্ট্য-

৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট চেনার উপায়

আপনি যখন কারও কাছ থেকে ৫০০ অথবা এক হাজার টাকার নোট নেবেন, তখন নোটগুলোর উল্লেখযোগ্য নিরাপত্তাবৈশিষ্ট্য খেয়াল করবেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, এক হাজার টাকার নোটের নিরাপত্তাবৈশিষ্ট্য ১৩টি এবং ৫০০ টাকার ১১টি।

আসল টাকার বৈশিষ্ট্য

১- রং পরিবর্তনশীল হলোগ্রাফিক সুতা

২- অসমতল ছাপ

৩- রং পরিবর্তনশীল কালি

৪- উভয়দিক থেকে দেখা

৫- অন্ধদের জন্য বিন্দু

৬- জলছাপ

৭- এপিঠ-ওপিঠ ছাপা

৮- অতি ছোট আকারের লেখা

৯- লুকানো ছাপা

১০- সীমানাবর্জিত ছাপা

১১- পশ্চাৎপট মুদ্রণ

১২- নম্বর

১৩- ইরিডিসেন্ট স্ট্রাইপ

১৪- বিশেষ কাগজ। নিরাপত্তাবৈশিষ্ট্যের প্রথম ১১টি ৫০০ টাকার এবং ওই ১১টিসহ পরেরগুলো এক হাজার টাকার নোটের।

বৈশিষ্টের ১ থেকে ১১ পর্যন্ত ৫০০ টাকার ক্ষেত্রে যাচাই করে দেখবেন। আর ১ থেকে ১৪ পর্যন্ত প্রযোজ্য হবে ১ হাজার টাকা চেনার ক্ষেত্রে।

জাল নোট শনাক্ত হলে

কোনো গ্রাহক কর্তৃক জাল নোট উপস্থাপিত হলে ব্যাংক কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে জাল নোট ছিদ্র করে গ্রাহককে ফেরত প্রদান করেন, যা বিধিসম্মত নয়। এ ব্যাপারে করণীয় বিষয়ে ট্রেজারি রুলসে সুস্পষ্ট নির্দেশনা আছে। জাল নোট শনাক্ত হলে জাল নোটসহ উপস্থাপনকারীকে আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের কাছে সোপর্দ করতে হবে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকটতম কার্যালয়কে অবহিত করতে হবে। ব্যাংক কর্মকর্তারা যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, উপস্থাপনকারী এটিকে সরল বিশ্বাসে উপস্থাপন করেছেন তাহলে জাল নোটটি বাজেয়াপ্ত করতে হবে। বাজেয়াপ্ত করার সময় নোটের ওপর ‘জাল’ সিলমোহর লাগাতে হবে। অথবা লাল কালিতে বড় অক্ষরে ‘জাল’ শব্দটি লিখতে হবে। জাল নোটের অপরপিঠে উপস্থাপনকারীর নাম, পিতার নাম, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, পূর্ণ স্বাক্ষর ও তারিখ লিখতে হবে। কার কাছ থেকে তিনি নোটটি পেয়েছিলেন সে ব্যাপারে তার লিখিত বিবৃতি নিতে হবে। উপস্থাপনকারী নিরক্ষর হলে তার বাম হাতের বুড়ো আঙ্গুলের ছাপ নিতে হবে। অধিকতর তদন্ত করার জন্য জালনোট এবং জাল নোটের উপস্থাপনকারীর বিবৃতি আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করতে হবে। তদন্ত শেষে আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষ জাল নোট ও তদন্ত প্রতিবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকের কারেন্সি অফিসার বরাবর প্রেরণ করবেন।

আসল নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য জানা থাকলে নোট জালিয়াত চক্রের দ্বারা প্রতারিত হওয়ার ঝুঁকি কমে আসবে।

জাল নোট এর শাস্তি

নোট জাল করা ও জাল নোট ক্রয়-বিক্রয় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন। ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে এ অপরাধের জন্য শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।

Post a Comment

0 Comments