asd

প্রোগ্রামিং শিখে টাকা ইনকাম করুন খুব সহজেই

 প্রোগ্রামিং শিখে টাকা ইনকাম করুন খুব সহজেই

প্রোগ্রামিং শিখে টাকা ইনকাম করুন খুব সহজেই
প্রোগ্রামিং শিখে টাকা ইনকাম করুন খুব সহজেই



প্রোগ্রামিং শিখে টাকা ইনকাম করুন খুব সহজেই

প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ,ওয়েব ডিজাইন কি?যেভাবে প্রোগ্রামিং শিখা,ক্যারিয়ার হিসেবে এসইও,সার্চ ইঞ্জিন কী,সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং ক্ষেত্রে কেন এত গুরুত্বপূর্ণ,
প্রোগ্রামিং কিভাবে শুরু করবেন,সবার জন্য প্রোগ্রামিং,কম্পিউটারের ইতিহাস,ওয়েব ডেভেলপমেন্ট,ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বা প্রোগ্রামিং,
প্রোগ্রামিং করে ঘণ্টায় ১০-১৫ ডলার।এখানে এগুলো সমস্ত বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা করা হয়েছে আপনারা চাইলে এগুলো শিখে প্রোগ্রামিং করে টাকা ইনকাম করে নিতে পারেন 10 থেকে 15 ডলার পর্যন্ত ঘন্টায়।



প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ

প্রথম প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ হিসেবে সি (C) বেশ জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত। বিভিন্ন প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় (স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে) সি ব্যবহার করা হয়। কলেজে আইসিটি কোর্সের সি ব্যবহার করা হয় এবং বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রথম প্রোগ্রামিং কোর্সে সি ব্যবহার করা হয়। সি ভালোভাবে শিখতে গিয়ে অনেকেই নানান সমস্যায় পরে। তাই আমার অভিজ্ঞতা থেকে কিছু পরামর্শ দিলাম।


০) কোর্স পাশ করা কিংবা একটা বই পড়ে শেষ করা উদ্দেশ্য নয়, সেটা বুঝতে হবে। কম্পিউটার সায়েন্সে পড়ে প্রোগ্রামিং ঠিকমতো না শিখলে সারা জীবন ভুগতে হবে। প্রোগ্রামিং কোর্সে এ প্লাস পাওয়া আর প্রোগ্রামিং শেখা এক জিনিস নয় – এই জিনিস মাথায় গেঁথে নিতে হবে।


১) প্রোগ্রামিংয়ের পেছনে নিয়মিত সময় দিতে হবে। একটানা কয়েকঘণ্টা (২ থেকে ৫ ঘণ্টা)। সপ্তাহে কমপক্ষে ৫ দিন। এভাবে মাসের পর মাস। প্রোগ্রামিং করার সময় অন্য কিছু, যেমন টিভি দেখা, খেলা দেখা, ফেসবুক – এসব করা যাবে না।

২) প্রথমে একটা বিষয় পড়ে বোঝার চেষ্টা করতে হবে। প্রথম পড়াতেই পুরোটা বুঝতে পারা যাবে না (বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই) এবং তাতে কোনো অসুবিধা নেই। যেকোনো একটা বই দিয়ে শুরু করতে হবে এবং বইয়ের প্রত্যেকটা উদাহরণ নিজে প্রোগ্রাম লিখে চালিয়ে দেখতে হবে।

৩) প্রোগ্রামিংয়ে অনেক সময়ই কেন হয় প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে না (আসলে পাওয়া যাবে, তবে অনেক পরে, কখনও কয়েক মাস পরে, কখনও আরো বেশি সময় পরে)। যেমন: scanf ফাংশনে ভেরিয়েবলের আগে & চিহ্ন কেন ব্যবহার করা হয়, সেটা নিয়ে শুরুতে বেশি মাথা ঘামানো দরকার নাই। কিভাবে ব্যবহার করতে হয়, সেটা জানলেই হবে। তবে প্রোগ্রামিং শিখতে থাকলে একসময় এর উত্তর পেয়ে যাবে। শুরুতে কী করলে কী হয়, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য বেশি বেশি প্রোগ্রাম লিখতে হবে, এবং প্রোগ্রামিং করার সময় পূর্ণ মনোযোগ দিতে হবে।

৪) কোনো কিছু মনে রাখার চেষ্টা করা, কিংবা মুখস্থ করার চেষ্টা করার দরকার নাই। প্রোগ্রামিং এত বেশি প্র্যাকটিস করতে হবে যে মুখস্থ না করে বিষয়টা নিজের আয়ত্বে এসে যাবে। ক্রিকেট খেলায় যেমন কোন ধরনের বলে কোন শট খেলতে হয়, সেটা কেউ মুখস্থ করে না, বরং প্র্যাকটিস করতে করতে আয়ত্বে চলে আসে – এরকম আর কী।

৫) লজিক জিনিসটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও সহজ। কিন্তু আমাদের সবাই প্রোগ্রামিং শিখতে আসলে এখানে ধাক্কা খাই। কারণ আসলে তো আমরা সারাজীবন মুখস্থ করে এসেছি, চিন্তাভাবনা করে কিছু করি নাই ও শিখি নাই, আর সমসময়ই শিক্ষক বলে দিয়েছেন যে কী করতে হবে। তাই শুরুতে ধাক্কা খেলে হতাশ হওয়া চলবে না, বরং ধৈর্য্য রাখতে হবে, চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

৬) যেই বই দিয়েই সি শেখা শুরু কর না কেন, সেটা দুইবার পড়তে হবে (এবং সেই বইতে যা বলা হয়েছে, তা করতে হবে)। তারপরে কমপক্ষে আরো একটা বই পড়তে হবে।

৭) ক্লাসের পরীক্ষায় (মানে প্রোগ্রামিং কোর্সের পরীক্ষায়) কম নাম্বার পেলে মন খারাপ করা চলবে না। কে কতটুকু প্রোগ্রামিং পারে সেটা আসলে পরীক্ষায় যাচাই করা খুব কঠিন।

৮) i++, ++i এসব জিনিস নিয়ে শুরুর দিকে মাথা ঘামানো মানে সময় নষ্ট করা, যদিও এটা পরীক্ষায় অনেক শিক্ষকেরই প্রিয় প্রশ্ন। ভেরিয়েবল, কন্ডিশনাল লজিক, লুপ, অ্যারে, ফাংশন – এসব জিনিস ভালোভাবে শিখতে ও এগুলো ব্যবহার করতে পারতে হবে।

৯) সি মোটামুটি শেখা হয়ে গেলে সি দিয়ে যেকোনো ওয়েবসাইট থেকে ৫০-১০০ টা সমস্যা সমাধান করতে হবে, তাহলে হাত ও মাথা পাকবে।

১০) আমি সি পুরোটা শিখতে চাই – এই টাইপ চিন্তাভাবনা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। আমার মতে, এটা বোকার মত চিন্তা। পুরোটা সি শেখা বলতে আসলে তুমি কী বোঝাও, সেটা নিজেই জান না। অনেকে সি দিয়ে গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস (গুই – GUI) সমৃদ্ধ সফটওয়্যার বানাতে চায়, যেটা আসলে না করলেই ভালো। কারণ এতে পরিশ্রম বেশি হয়, শেখা কম হয়। প্রোগ্রামিং শিখতে থাকলে একসময় গুই বানানোর অনেক টুলসের সাথে পরিচিত হবে, তাই অস্থির হওয়ার কিছু নেই।

১১) প্রোগ্রামিং কনটেস্টে অংশ নিতে হবে। প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় ভালো করতে পারলে তো ভালো, কিন্তু ভালো করতে না পারলেও ক্ষতি নেই। ভালো করার জন্য যেই চেষ্টা – সেটা করতে গিয়েই অনেক কিছু শিখতে পারবে যেটা তোমাকে ভবিষ্যতে একজন দক্ষ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হতে সহায়তা করবে। প্রোগ্রামিং নিয়ে আনন্দে সময় কাটুক সবার

ওয়েব ডিজাইন

ওয়েব ডিজাইন কি? কেন শিখবেন? কি কি শিখবেন? কিভাবে কাজ করবেন?

ওয়েব ডিজাইন কি?

ওয়েব ডিজাইন মানে হচ্ছে একটা ওয়েবসাইট দেখতে কেমন হবে বা এর সাধারন রূপ কেমন হবে তা নির্ধারণ করা। ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে আপনার কাজ হবে একটা পূর্ণাঙ্গ ওয়েব সাইটের টেম্পলেট বানানো। যেমন ধরুন এটার লেয়াউট কেমন হবে। হেডারে কোথায় মেনু থাকবে, সাইডবার হবে কিনা, ইমেজগুলো কিভাবে প্রদর্শন করবে ইত্যাদি। ভিন্ন ভাবে বলতে গেলে ওয়েবসাইটের তথ্য কি হবে এবং কোথায় জমা থাকবে এগুলো চিন্তা না করে, তথ্যগুলো কিভাবে দেখানো হবে সেটা নির্ধারণ করাই হচ্ছে ওয়েব ডিজাইনার এর কাজ। আর এই ডিজাইন নির্ধারণ করতে ব্যাবহার করতে হবে কিছু প্রোগ্রামিং, স্ক্রিপ্টিং ল্যাঙ্গুয়েজ এবং মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ।

কেন শিখবেন ওয়েব ডিজাইন?
আমাদের দেশে মূলত লোকজন ‘কোন কাজটা আমি শিখবো’ বা ‘আমি কোন কাজটা পারবো’ এধরনের প্রশ্ন না করে বরং বলে ‘কিভাবে সহজে আয় করবো’ বা ‘এটা শিখে কত টাকা আয় করবো’। যারা আয় কত করবেন বা রাতারাতি কিভাবে আয় করবেন এইসব চিন্তা করেন তাদের জন্য ওয়েব ডিজাইন নয়। যদিও ওয়েব ডিজাইন আসলে উচ্চ আয়ের পেশার মধ্যে অন্যতম কিন্তু আপনি যদি আয়ের কথাটাই মাথায় রেখে এগুতে চান তাহলে আমি বলবো আপনার জন্য ওয়েব ডিজাইন নয়। ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক ডিজাইন বা প্রোগ্রামিং এই ধরনের পেশা আসলে তাদের জন্য যারা ক্রিয়েটিভ কিছু করতে চান এবং নিজের কাজের মধ্যেই নিজেকে খুজে পেতে চান। ওয়েব ডিজাইন যেহেতু কোডিং এবং প্রোগ্রামিং এ ভরপুর আর প্রোগ্রামিং-এর নেশা ছাড়া প্রোগ্রামিং করা সম্ভব নয় তাই এধরনের কাজ শুধুমাত্র তাদের জন্য যারা এই কাজের প্রতি আকর্ষণ বোধ করেন। তবে বাস্তবতা হচ্ছে শিখে যাওয়ার পর আপনি অন্য যেকোনো পেশা থেকে এখানেই ভালো আয় করতে পারবেন।

কি কি শিখতে হবে?
ওয়েব ডিজাইন বিভিন্ন পরিপ্রেক্ষিতের উপর নির্ভর করে মোটামুটি কয়েক ধরনের ল্যাঙ্গুয়েজ এবং স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে করা হয়ে থাকে আবার শুরুতে ফটোশপ ব্যাবহার করে প্রথমে এটার ঘটন নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। এদের মধ্যে বহুল ব্যবহৃত গুলো নিচে আলোচনা করা হল –

এইচটিএমএল (HTML): HTML একটি মার্কআপ ভাষা। ব্রাউজার কোন একটা সাইটের ভিউয়ার যা দেখতে পায় তা এইচটিএমএল দিয়ে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। এটি কোন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ নয়, বরং যেকোনো প্রোগ্রামিং থেকে অনেক সহজ। এটা এতটাই সহজ যে যেকোনো সাধারন মানুষ যে প্রোগ্রামিং শিখতে চায় না, সেও হাসির ছলে ছলে HTML শিখে নিতে পারে। যেমন আমরা যদি কোন একটা প্যারাগ্রাপ প্রদর্শন করতে চাই তখন এমন লিখতে হয়।

This is a paragraph


অর্থাৎ ‘This is a paragraph’ এই টেক্সট টুকো ব্রাউজার এ একটা প্যারাগ্রাপ হিসেবে প্রদর্শিত হবে।

সিএসএস (CSS):
এটাও একটা মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ। এটি নির্ধারণ করে দেয় ব্রাউজার জেই কন্টেন্ট HTML দ্বারা প্রদর্শিত হবে সেটা দেখতে কেমন হবে। অর্থাৎ লেখাটার ফন্ট কত বড় হবে। পাশে কতটুকু জায়গা খালি থাকবে। একটা লেখা থেকে আরেকটার দূরত্ব কতটুকু হবে, এটির রঙ কি হবে বেকগ্রাউন্ড কি হবে, এমনকি সর্বশেষ CSS3 দিয়ে কন্টেন্টে এনিমেশন ও যুক্ত করা যায়। যেমনঃ পূর্বে আমরা একটা HTML paragraph লিখেছিলাম। এখন আমরা চাইলে নিচের কোডটুকু দিয়ে সেই প্যারাগ্রাপ এর টেক্সট এর রঙ লাল করে দিতে পারি।

p {color: red;}
জাভাস্ক্রিপ্ট/জেকুয়েরি (javascript/jQuery):
এই দুটোকে মূলত প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের কিছুটা কাছাকাছি ধরা যায়। মূলত দু,টি জিনিসের কাজ একি তবে জেকুয়েরি হচ্ছে জাভাস্ক্রিপ্টেরই একটা রূপ যা সাইটে জাভাস্ক্রিপ্ট ব্যবহারকে অনেকটাই সহজ করে। আর এগুলোর কাজ হচ্ছে সাইটটা ইন্টারেক্টিভ করা। অর্থাৎ ভিজিটর একটা বাটনে ক্লিক করলে মেনু ওপেন হবে। অথবা একটা ফর্ম সাবমিট করলে কনফার্মেশন মেসেজ দেখাবে ইত্যাদি।

মূলত কাজ শুরু করতে এই কয়েকটি ল্যাঙ্গুয়েজে দক্ষতা এবং বাস্তব কাজে ব্যবহার করার যোগ্যতা অর্জন করলেই হবে। তবে এই ধরনের কাজে অভিজ্ঞতা একটি চলমান প্রক্রিয়া। উত্তরোত্তর নতুন অনেক কিছু শিখে নিজেকে আরও প্রফেশনাল আরও যোগ্য ওয়েব ডিজাইনার করে তুলতে হবে।

কোথায় কাজ করবেন?
ফ্রিলান্স মার্কেটপ্লেসে ওয়েব ডিজাইন এবং ফ্রন্ট-ইন্ড-ওয়েব ডেভেলপমেন্টের হাজারো কাজ পাওয়া যায় এবং এই ধরনের কাজে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তুলনামূলক কম তবে চাহিদা বেশি। তাই সহজে কাজ পাবেন এবং এধরনের কাজের দামও বেশি। একজন সাধারনমানের ফ্রিলান্সারের ঘণ্টাপ্রতি কাজ করার রেট হয় ২ ডলার, কিন্তু একজন ওয়েব ডিজাইনার এর ঘণ্টাপ্রতি রেট শুরুতেই ১০ বা ১২ ডলার হয়ে থাকে। তবে অনেকের ধারনা ওয়েব ডিজাইন বা ডেভেলপমেন্ট শিখলে শুধু ফ্রিলান্স করতে হবে এবং না করলে আয় বন্ধ, তাদের জন্য বলছি, themeforest.net এবং এধরনের অনেক মার্কেট আছে যেখানে ওয়েব টেম্পলেট এবং ওয়েব ইলিমেন্ট খুবই ভালো দামে বিক্রি করা যায়। এক্ষেত্রে আপনি আপনার একটি ডিজাইন করা টেম্পলেট বহুবার বিক্রি করতে পারবেন এবং এবং কোয়ালিটি ভালো হলে প্রতিমাসে একেকটা টেম্পলেট এর আয় দিয়েই আপনি রাজার হালে চলতে পারবেন।

সারসংক্ষেপ যা বলা উচিত তা হচ্ছে, ওয়েব ডিজাইনার বা ডেভেলপার হতে হলে যেমন আপনার প্রচুর ধৈর্য আর সময়ের দরকার তেমনি আবার শিখে নিলে এটাই হচ্ছে উচ্চ আয়ের এবং সম্মানজনক পেশা।

যেভাবে প্রোগ্রামিং শিখা


প্রোগ্রামিং শিখছেন কিভাবে? বা কোথায় থেকে?

প্রথম হাতে খড়ি শাহরিয়ার মঞ্জুর স্যার থেকে। সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সাইন্স পড়ছি। প্রথম সেমিস্টারেই সি প্রোগ্রামিং ছিল। স্যার ক্লাস নিত, অনেক কিছুই মাথার উপর দিয়ে যেতো। সারের লেকচার গুলো যেন বুঝতে পারি, সে জন্য আগে থেকেই বই থেকে পড়ে নিতাম। কিছু কিছু বুঝতাম, কিছু কিছু বুঝতাম না। যে সব কিছু বুঝতাম না, সে গুলো নিয়ে স্যারকে জিজ্ঞেস করতাম।

দেখা যেতো অনেক সহজ বিষয় নিয়েও স্যারকে প্রশ্ন করে বসতাম। তবে আগ্রহ শুরু হয়েছিল আরো আগে, সফটওয়ার ব্যবহ্যার করতাম। সফটওয়ার গুলো কিভাবে তৈরি হয়, এটা মাথায় ঘুরপাক খেতো। মাসুম ভাই ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে পড়ত। মাসুম ভাইকে জিজ্ঞেস করলাম। ভাইয়া বলল প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ লাগে। সি, সি++ ইত্যাদি দিয়ে।

বাসায় বই দেখে দেখে কোড গুলো রান করিয়ে দেখতাম। প্রথম কোড লেখার সময় ১০ বারের মত ভুল হয়েছে। তার ও বেশি হতে পারে। ভুলে গেছি। একবার কমা দি নাই। একবার বড় কারেক্টার ছোট করে লিখছি। ব্র্যাকেট দেওয়া হয় নি। ব্র্যকেট শেষ করি নি। আরো কত ভুল। প্রোগ্রামটি ছিল প্রিয় Hello World! কনসোলে দেখানো। ছোট্ট একটা প্রোগ্রামে এত্ত গুলো ভুল! তখন অনেকেই কোন ভুল না করেই প্রথম প্রোগ্রাম রান করাতে পারত, তাদের হিংসা হত। ওদের ভুল হয় নি, আমার ভুল হয়েছে কেনো 

চার মাসের ক্লাস। স্যার দরকারী টপিক্স গুলো পড়িয়েছে। আরো অনেক কিছু পড়া বাকি। এখনো জানি না কিভাবে সফটওয়ার তৈরি করব। আমার প্রচন্ড মন খারাপ। সি প্রোগ্রামিং শিখছি অথচ সফটওয়ার তৈরি করতে পারি না। ফাইনাল এক্সাম দিলাম। বই এর আরো অনেক কিছু পড়ানো বাকী। স্যারকে সি প্রোগ্রামিং পরীক্ষা শেষেই জিজ্ঞেস করলাম। স্যার আমাদের তো আরো অনেক কিছু পড়া বাকি। কি করব? স্যার বলল পরে আস্তে আস্তে শিখবেন। পরে অন্যন্য প্রোগ্রামিং বিষয় গুলোতে আরো শিখতে পারবেন। বিদ্রঃ স্যার সবাইকে আপনি সম্মোধন করেন।

মন খারাপ করে বাসায় ফিরলাম। এর পরের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ছিল ৫ সেমিস্টার পর। জাভা প্রোগ্রামিং। আমি পরের সেমিস্টারেই জাভা নিব, সবাইকে বলে বেড়াচ্ছি। কারণ আমাদের ওপেন ক্রেডিট সিস্টেম। কি খুশি আমি। খুশি দেখে সবাই আমাকে “জাভা জাকির” বলে ডাকা শুরু করল।

ওপেন ক্রেডিট সিস্টেম হলেও তা আমাদের জন্য প্রজোয্য ছিল না। আমাদের ব্যাচ থেকে চার কোডের বিষয় কোড শুরু করেছিল। এ জন্য। তাই আর পরের সেমিস্টারে করতে পারি নি। পরে নিজে নিজে অনলাইনে অল্প সল্প ঘাটা ঘাটি শুরু করি। এক বার একটি বিষয় ভালো লাগে। এক বার এক বিষয় নিয়ে পড়ি। এভাবেই শুরু আরকি  শেষ হবে না। সারা জীবনেও না। কোনদিন নিজেকে প্রোগ্রামার হিসেবে পরিচওয় দিতে পারব না। কারণ এটার শুরু আছে, শেষ নেই। Hello World! দিয়ে প্রোগ্রামিং জীবনে প্রবেশ করেছি মাত্র, জানি না কবে শেষ হবে।

ইউনিভার্সিটিতে এত্ত গুলো বিষয় পড়েছি। ৬০টার মত। সি প্রোগ্রামিং এর মত মন দিয়ে আর কোন বিষয়ই পড়া হয় নি। জিনিশটা ভালো না খারাপ, জানি না। তবে সব বিষয়ই কোন না কোন কাজে লাগে। এটা বুঝতে পারি।

এ রিলেটেড আরেকটা প্রশ্ন অনেকেই জিজ্ঞেস করে, প্রশ্নটিঃ

প্রোগ্রামিং শিখতে হলে কি কম্পিউটার সাইন্সে পড়া দরকার?

এটা নিয়ে অনেকেই অনেক জাগায় লিখছে। আমিও বলি। নাহ! একটুও দরকার নেই। নিজে নিজেই ইন্টারনেটের সাহায্যে শিখে নেওয়া যায়। এবং ভালো ভাবেই প্রোগ্রামিং শেখা যায়। দরকার কোন কিছু ইন্টারনেট থেকে খুজে বের করার ক্ষমতা। একবার শুরু করলে বিষয়টি ভালো লাগবে। আর ভালো লাগা থেকেই অনেক কিছু তৈরি করা যাবে। আমি হয়তো ইউনিভার্সিটি থেকে প্রোগ্রামিং শেখা শুরু করেছি। তবে এটা বাসায় বসে বই পড়ে এবং ইন্টারনেটের সাহায্যে অনেক ভালো ভাবেই শেখা যায়। যদি কোথাও বুঝতে সমস্যা হয়, কাউকে জিজ্ঞেস করলেই বুজিয়ে দেয় বা দিবে। এখানের সবাই অনেক হেল্পফুল। কেউ আপনাকে ফেরাবে না। দরকার শুধু শুরুর করার ইচ্ছে শক্তি।

বর্তমানে আমাদের সবারই একটু আধটু প্রোগ্রামিং জ্ঞান থাকলে ভালোই হয়। আর ভালো করে জানলে তো অনেক ভালো। ভবিশ্যতে কোন এক সময় বাংলা ইংরেজীর মত হয়তো প্রোগ্রামিং ও শিখতে হতে পারে। এ লেখাটা দেখা যেতে পারেঃ

ইন্টারনেট ব্যবহার করে সহজেই নিজের পছন্দের বিষয় গুলো শিখে নিবেন যেভাবে।

প্রোগ্রামিং শুরু করতে চাইলে এটা দেখা যেতে পারেঃ

প্রোগ্রামিং শুরু করার জন্য গাইডলাইন।

আর একটা সাধারণ প্রশ্ন সবার মনে উকে দেয়। প্রোগ্রামিং শিখে কি করব?


যা কিছু ইচ্ছে করে, সবই করা সম্ভব। পৃথিবীর সেরা ধনী হতে চাইলে তাও সম্ভব। বিল গেটস তো পোগ্রামিং দিয়েই শুরু করেছিল তাই না? Nokia, আমাদের সবার প্রিয় মোবাইল ব্র্যান্ড। এক যুগের বেশি সময় ধরে ভালো অবস্থানে থাকা এ ব্র্যান্ডটি মাইক্রোসফটের কাছে বিক্রি হয়েছিল মাত্র 7.2 বিলিয়ন। যেখানে WhatsApp নামক ছোট্ট এবং সিম্পল একটা অ্যাপ ফেসবুকের কাছে বিক্রি হয়েছিল ১৯ বিলিয়ন। যা বাংলাদেশের বাজেটের থেকে বেশি। অ্যাপটির সাইজ ও অনেক কম। ১০ মেগাবাইট এর ও কম।

এ ছাড়া আর অনেক গুলো ছোট ছোট অ্যাপ বা গেমস রয়েছে যে গুলো থেকে আয় করে ডেভেলপাররা বিলিয়নিয়ার হতে পেরেছে।

সব সময় সবারই ধারনা যে ডাক্তাররা সাধারণত অন্যান্য জব থেকে বেশি আয় করে। বর্তমানে একজন সফটওয়ার ডেভেলপার যে কোন ডাক্তারদের থেকে আর বেশি আয় করে। ডাক্তাররা মানুষের সেবা করে, তাই না? সফটওয়ার ডেভেলপাররাও সহজেই মানুষের সেবা করতে পারে। ছোট খাটো সফটওয়ার দিয়েই অনেক ধরনের সেবা দেওয়া হচ্ছে।

তাই বলি, যা ইচ্ছে তাই সম্ভব। এই প্রোগ্রামিং করে। সকল স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব। দরকার জানা। কিভাবে কি করতে হয়। দরকার ভালো প্রোগ্রামিং করা শেখা। কোন সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধান করার চেষ্টা করা। একটা বিষয় নিয়ে লেগে থাকার মত ধৈর্য।

ক্যারিয়ার হিসেবে এসইও

এসইও কি? SEO মানে ‍Search Engine Optimization। বর্তমান বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ তার প্রয়োজনীয় তথ্য খুজে পেতে গুগলে সার্চ করে। গুগল তখন তার সার্চ রেজাল্ট পেজে অনেকগুলো সাইটের ফলাফল প্রদর্শন করে। কোনটি প্রথমে কোন ওয়েবসাইটের নাম হয়ত প্রদর্শন করে ২নং পেজে। যেটি প্রথমে দেখা যাচ্ছে সেটি প্রথমে দেখাচ্ছে কারন সেটিকে এসইও করা হয়েছে। কোন ওয়েবসাইটকে সার্চের প্রথমে প্রদর্শন করার জন্য যে প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয়, সেটিকে এসইও বলে। যখন আপনার ওয়েবসাইট সার্চের প্রথমে থাকবে তখন ওয়েবসাইটের ভিজিটর বৃদ্ধি পায়। আর ভিজিটর বৃদ্ধি হলে ইনকামও বৃদ্ধি পায়। ধরুন, আপনি গ্রাফিকস কোর্স করবেন, সেজন্য ট্রেনিং সেন্টার খুজছেন। তাহলে হয়ত আপনি গুগলে লিখবেন graphics training in Bangladesh। তখন সার্চের প্রথমে দেখবেন আমাদের ট্রেনিং সেন্টার ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউটের নাম। আর এটি দেখে হয়ত আমাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে কেউ প্রবেশ করল, এরপর এখান থেকে তথ্য পেয়ে পছন্দ হলে এখানে এসে কোর্সে ভর্তি হয়। এটি হল এসইওর ফযিলত।


সার্চ ইঞ্জিন কী :

আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় যেকোন বিষয়ের তথ্য জানতে হলে ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে থাকি। তখন সারা বিশ্বের যত ওয়েবসাইটে এ ব্যপারে যেকোন তথ্য আছে, সব আমাদের সামনে চলে আসে। এ বিষয়গুলো জানার এসব উৎসকে সার্চ ইঞ্জিন ( search engine ) বলে। বিখ্যাত কয়েকটি সার্চ ইঞ্জিনের নাম হলোঃ গুগল (google), ইয়াহু (yahoo),বিং( bing) ইত্যাদি ।

এই সব সাইটে আপনি একটি শব্দ সার্চ বক্সে লিখে সার্চ বাটনে ক্লিক করলে , কয়েক সেকেন্ড এর মধ্য অনেক ওয়েবসাইটের লিংক চলে আসে, যেসব লিংকে গেলে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যায় ।

সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে :

সার্চ ইঞ্জিনগুলো তৈরি হয়েছে, মানুষের তথ্য থুজে পাওয়ার জন্য। সেজন্য কোন কিছু সার্চ দিলে যাতে সবচাইতে সেরা তথ্য খুজে পাওয়া যায় সেজন্য সার্চইঞ্জিন সাইটগুলো কিছু পোগ্রাম তৈরি করে রাখে। যেটি সকল সাইটগুলোর মধ্যে কিছু বিষয় তুলনা করে সেরা সাইটগুলোকে সার্চের সামনে নিয়ে আসে। সেরা সাইট নির্বাচন করার জন্য তারা দেখে ওয়েবসাইটটির মানসম্মত কিনা, ওয়েবসাইটের তথ্য সকলের জন্য প্রয়োজনীয় কিনা, ওয়েভসাইটটি কেমন জনপ্রিয়। এগুলোসহ আরও কিছু বিষয় নিয়ে ফলাফল প্রদর্শন করে।

সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং ক্ষেত্রে কেন এত গুরুত্বপূর্ণ :


ওয়েবসাইট তৈরি হয় কোম্পানীর পণ্যের প্রসারের জন্য। যতবেশি মানুষ আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করবে, ততমানুষ আপনার পণ্য সম্পর্কে কিংবা সার্ভিস সম্পর্কে ধারণা পাবে। সার্চ ইঞ্জিন কোন একটি ওয়েভ সাইটে ভিজিটরের প্রধান উৎস। শতকরা ৮০% ভিজিটর সার্চ ইঞ্জিন মাধ্যমে কোন ওয়েব সাইটে আসে । ভবিষ্যতে এটি আরও বাড়বে । বিভিন্ন কারণে সার্চ ইঞ্জিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।


ক) যেকোন ওয়েবসাইটের বেশীর ভাগ ভিজিটর সার্চ ইঞ্জিনে থেকে আসে । প্রতি মাসে প্রায় বিলিয়ন বিলিয়ন সার্চ হয় । United States এ এক জরিপে দেখা গেছে প্রতি মাসে কমপক্ষে ১০ বিলিয়ন সার্চ হয় । (সূএ : com score.2008 )

গ) অনেকে জানেনা তাদের প্রয়োজনীয় কোন তথ্য কোথায় পাওয়া যাবে।সে জন্য তারা সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে সে বিষয় লিখে সার্চ করে । তখন প্রয়োজনীয় সাইটের লিস্ট তাদের কাছে চলে আসে।

ঘ) বিনামুল্যে যেকোন তথ্য খুজে পাওয়া যায়, সেজন্য সবাই এটি ব্যবহার করে।

ঙ) সকল তথ্যে বিশাল ভান্ডার হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন। সেজন্য দিনে দিনে এটির উপর সবার নির্ভরশীলতা দিনে দিনে বাড়ছে।

চ) যেহেতু তথ্য খুজে পেতে সবাই সার্চইঞ্জিনের সাহায্য নিয়ে থাকে, সেজন্য সকল কোম্পানী তাদের পণ্যের প্রচারের জন্য সনাতনী পদ্ধতি ছেড়ে দিয়ে সার্চ ইঞ্জিনের সার্চের প্রথমে তাদের কোম্পানীর ওয়েবসাইটকে রাখতে চায়।

জ) মার্কেটিংয়ের সনাতনী সকল পদ্ধতিগুলো ব্যয়বহুল এবং বর্তমানযুগে কম কাযকরী। অন্যদিকে SEO তে খরচ কম কিন্তু আগের পদ্ধতির চাইতে কমপক্ষে ৬০ভাগ বেশি কাযকরী।


ক্যারিয়ার হিসাবে SEO :

বাংলাদেশে যারা আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ইনকাম করে তাদের বেশিরভাগ এসইও এর মাধ্যমে আয় করে। কারন বাংলাদেশে দক্ষ জনশক্তি কম। সাধারণত যাদের কম্পিউটার সম্পর্কে সাধারন ধারনা আছে, ইংরেজীতে মোটামুটি পারদর্শী, ওয়েবসাইট ভিজিট করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন তারা অতি সহজে এসইও এর কাজে পারদর্শী হতে পারেন। কোন প্রোগ্রামিং ভাষা জানার তেমন দরকার নাই বিধায় এই কাজ অতি সহজে রপ্ত করে দ্রুত কাজ শুরু করা যায় বলে বিশ্বব্যাপী এই কাজে নিয়োজিত আছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ।


১)বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসগুলোতে (odesk.com, freelancer.com ইত্যাদি)ভিজিট করলে দেখা যায়, এসইওর কাজ সবচাইতে বেশি।

২) নিজের একটি ব্লগ সাইটখুলে সেটিকে এসইও করে গুগলের প্রথমদিকে আনতে পারলে যদি ভিজিটর বৃদ্ধি পায় তাহলে অ্যাডসেন্স কিংবা এ ধরনের আরও অনেক বিজ্ঞাপনী সার্ভিসের মাধ্যমে ভাল আয় করা যায়। এপদ্ধতিতে সাধারণত মাসে ১০০ ডলার থেকে ১০০০ডলারের মত আয় করা যায়।

৩) অ্যাফিলিয়েশন্সের আয়ের জন্য প্রধান শর্ত হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটের প্রচুর পরিমানে টার্গেটেড ভিজিটর। আর ভিজিটর আনতে হলে এসইও করতেই হবে। আউটসোর্সিংয়ের এ কাজের মাধ্যমে মাসে আয় করা যায় সাধারণত ৩০০ -২০০০ ডলার।

৪) এসইওর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট গুগলের প্রথমে আনতে পারলে এবং ভিজিটর প্রচুর পরিমানে ওয়েবসাইটে আসলে বিভিন্ন লোকাল কোম্পানীর বিজ্ঞাপন আপনার ওয়েভসাইটে ব্যবহার করে মাসে ৩০০০০ টাকা থেকে ৫লাখ টাকাও আয় করতে পারবেন। যেমন টেকটিউনসে কোন প্রকার এ্যাডসেন্স ব্যবহার করা হয়না। এখানের আয় সম্পূর্ণ লোকাল বিজ্ঞাপন।

৫) এসইও শিখার আরও গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, এসইও কোর্স একটি কিন্তু আয় করা সেক্টর অনেকগুলো। যেমনঃ ফোরাম পোস্টিং কিংবা ব্লগ কমেন্টিং কিংবা কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কেংবা পুরো এসইও করে আয় করা যায়।

৬) প্রতিদিন মাত্র ২-৩ ঘন্টা সময় দিয়ে এসইও করা যায়। সেজন্য অন্য চাকুরী পাশাপাশি এটি শিখে আয় করা সম্ভব।


কিভাবে শিখবেন এসইও?

আপনার ইংরেজি পড়া এবং বুঝার স্কিল যদি মোটামুটি লেবেলের ভালো হয় তবে আপনি গুগলকে ইউজ করে ভালো মানের কিছু ব্লগ থেকে এসইও’র অনেক অনেক কিছু শিখতে পারেন। আর নেট স্পিড ভালো হলে ইউটিউব থেকে বিভিন্ন ভিডিও সার্চ করে দেখতে পারেন। বাংলাতেও প্রচুর এসইও গাইডলাইন আছে।

অনেকে অনলাইন থেকে শিখতে গিয়ে ধৈয্য হারিয়ে ফেলেন। যারা এভাবে শিখতে অভ্যস্ত না তারা ট্রেনিং সেন্টারগুলোতে ভর্তি হয়ে ৮০০০ টাকা থেকে ১৫০০০ টাকা খরচ করে পুরো ব্যাপারটি অভিজ্ঞ কারও কাছ থেকে শিখে নিতে পারেন। আমাদের দেশে ইতিমধ্যে এ সম্পর্কিত অনেকগুলো ভালমানের ট্রেনিং সেন্টার গড়ে উঠেছে।


কি কি শিখতে হবে?

এসইও দুইপ্রকার। অনপেজ এসইও এবং অফপেজ এসইও। এ দুটির সকল বিষয় আপনাকে খুব ভালভাবে জানা থাকতে হবে। এসইওর কাজ শুরুর আগে যা যা শিখতে হবে, সেগুলো হলো: কিওয়ার্ড রিসার্চ, বিভিন্ন এইচটিএমএল ট্যাগের ব্যবহার, কনটেন্ট অপটিমাইজেশন, ফোরাম পোস্টিং, ব্লগ কমেন্টিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ডাইরেক্টরী সাবমিশন, গেস্ট ব্লগিং, প্রেসরিলিজ সহ আরও অনেক কিছু।

প্রোগ্রামিং কিভাবে শুরু করবেন


প্রোগ্রামিং আসলেই কি?

প্রোগ্রামিং হল একটি বিষয় যা আপনাকে কম্পিউটার নিয়ে কাজ করতে সাহায্য করবে । এখন আপনার প্রশ্ন প্রোগামিং শিখে কী করা যাবে? বলছি আপনি যা করতে চান তাই করতে পারবেন যদি আপনি এক জন ভাল মানের কোডিং প্রোগামার হন। আরো ভাল ভাবে বলছি প্রোগ্রামিং হল প্রোগ্রাম বানানো বা সফটওয়্যার বানানো বা কম্পিউটার এর জন্যছোট(কিংবা বড়!) টুল বানানো যা দিয়ে আপনি অনেক কিছুই করতে পারেন। এটিই হল প্রোগ্রামিং এর ব্যাসিক একটা সংজ্ঞা। প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ হল আপনি যা দিয়ে আপনার প্রগ্রামটি বানাবেন অর্থাৎ যে ভাষাটি দিয়ে প্রোগ্রামটি বানাবেন। প্রোগ্রামাররা সেটাকে বলেন প্রোগ্রাম লিখা। কারণ আপনাকে প্রোগ্রামটি প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ দিয়ে লিখে লিখেই বানাতে হবে।

আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে প্রোগ্রাম বানিয়ে কি করব?

প্রোগ্রাম বানিয়ে আপনি অনেক কিছুই করতে পারেন। আপনি আপনার বানানো সফটওয়ার বানিয়ে বিক্রি করতে পারেন। ফ্রীলেন্সিং এর জন্যও ব্যাবহার করতে পারেন। ভাইরাস বানাতে পারেন। গাণিতিক সমস্যা সমাধান করতে পারেন। আপনি নিজের প্রয়োজনমত ব্যাবহার করতে পারেন। হ্যাকারদেরও প্রোগ্রামিং শিখতে হয়।(নিজে কে যদি হ্যাকার বলতে চান তাহলে ১০০% প্রোগামিং সম্পকে জ্ঞান থাকতে হবে।)

সবচেয়ে বড় কথা প্রোগ্রামিং জিনিসটা খুবই মজার।

তাহলে প্রোগ্রামিং শুরু করবেন কি করে?

আপনার প্রথমে একটি প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ জানা থাকা লাগবে। সেই জন্যে আপনাকে প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজটি শিখতে হবে। জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ গুলোর মধ্যে কয়েকটি হল সি, সি++, জাভা, সি শার্প, ভিজ্যুয়াল ব্যাসিক ইত্যাদি। প্রায় সবাই প্রোগ্রামিং শুরু করতেসি কে সাজেস্ট করবে। এর কারণও আছে। সি খুবই পাওয়ারফুল ভাষা। কিন্তু এটি আমার কাছে শুরু করার জন্য একটু কঠিন মনে হয়। আমি আপনাদের যা সাজেস্ট করবসেটি হল পাইথন!!

পাইথন খুবই চমৎকার প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ। এটি দুর্লভ প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজগুলোর একটি যা একই সাথে সোজা এবং শক্তিশালী। পাইথন দিয়ে আপনিযা খুশি বানাতে পারবেন। আমি নিজেই একটি সফট বানিয়েছি যা টেক্সটকে এনকোডে করে এবং কোডে কে ডিকোড করে। আমি আমার বন্ধু জুনায়েদকেএনকোড করা মেসেজ পাঠিয়ে দিই এবং সে তা ডিকোড করে। পাইথন এর প্রোগ্রামকে খুব সহজেই আপনি ইএক্সই তে কম্পাইল করতে পারবেন।

তাহলে আজই পাইথন শেখা শুরু করে দিন। পাইথনের আরো হাজার হাজার ফিচার আছে যা শেখা শুরু করলে বুঝবেন। তারপর আপনি কি পাইথন শিখেইথেমে থাকবেন?? নো, নেভার। একজন সত্যিকারের প্রোগ্রামারের তিন চারটি প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ জানা থাকে। পাইথনের পর আপনি সি শিখতে পারেন।

কিন্তু কোথায় থেকে পাইথন শিখবেন?

Google এ সার্চ দিলে আপনি এই নিয়ে অনেক ভাল ওয়েব সাইট পাবেন ।আমি এখান থেকেই পাইথন শেখা শুরু করি।

তাছাড়া গুগল এ সার্চ দিলে প্রচুর টিউটোরিয়াল পাবেন। কেন পাইথন শিখবেন তাও গুগল এ সার্চ দিতে পারেন। প্রচুর কারণ পাবেন।


সরাসরি প্রোগ্রামিং এ জেতে না চাইলে আপনি HTML শেখা শুরু করতে পারেন। আমি ক্লাস থ্রী এ থাকতে HTML শেখা শুরু করি। তারপর জাভাস্ক্রিপ্ট শিখতে পারেন। এটাও মজার।

কষ্ট করে পড়ার জন্য থ্যাংক ইউ। আমারও লিখতে কষ্ট হয়েছে(অভ্র দিয়ে)। আমার পরবর্তী পোস্টটি হবে ডিস্ক কিংবা পেনড্রাইভ ছাড়া উইন্ডোজ সেটআপ দিবার পদ্ধতি নিয়ে।

সবার জন্য প্রোগ্রামিং

মানুষ সভ্যাতার শুরু থেকেই মনের ভাব প্রকাশ করে আসছে। যখন মানুষ আজকের মত করে মনের ভাব ভাষা দিয়ে প্রকাশ করতে পারতনা তখন মানুষের জীবন থেমে থাকেনি। মানুষ তখন মনের ভাব প্রকাশ করত কোন চিহ্ন বা শারিরিক অঙ্গ ভঙ্গি দিয়ে। তবে যেই দিন গেছে মানুষ তত উন্নতি করেছে। উন্নতি করেছে তাদের ভাষায় উন্নতি করেছে তাদের জীবন ব্যাবস্থায়। আর মানুষের উন্নতি করার বিশেষ গুন আছেই বলে হয়ত আজ আমরা আমাদের সভ্যাতা কে এত উন্নত করতে পেরেছি।

কম্পিউটারের ইতিহাসঃ

আজ আমরা বই খুললে অনেক কিছুই জানতে পারি। আজ ইন্টারনেট এর যুগে আমাদের জ্ঞানের পরিধি অনেক। তবে আমারা আমাদের ইতিহাস বদলাতে পারিনি। আমাদের পূর্ব পুরুষদের মত আমরাও আমাদের প্রতিটি কাজ কে উন্নত করতে শিখেছি। দুই শতাব্দি আগেও আমরা অন্ধকারে বাস করতাম। আমাদের সামনে আলো নিয়ে আসল টমাস-আলভা-এডিসন। তিনি আবিষ্কার করলেন আমাদের সবচেয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসটি। বিদ্যুৎ আবিষ্কারের পর যেন আমাদের বিজ্ঞান হয়েগেল লাগামহীন ঘোড়া। আবিষ্কার হতে থাকল যুগান্তকারী সব আবিষ্কার। এরপর গুগলিয়েলমো মার্কনি আবিষ্কার করলেন রেডিও। এরপর আসল টেলিভিশন, মোবাইল ফোন, স্যাটেলাইট টিভি ইত্যাদি। তবে এসকল আবিষ্কার কিন্তু রেডিওর অনেক প্রযুক্তি নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। তবে মানুষের সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে সফল আবিষ্কার হল কম্পিউটার। তবে এর আবিষ্কারের ধারনা টেলিভিশন এমনকি রেডিওর থেকেও অনেক পুরোনো। চার্লস ব্যাবেস এমন একটি যন্ত্রের নির্মাণ ও ব্যবহারের ধারণা করেন যা কেবলমাত্র যান্ত্রিকভাবে, মানে যেকোনও রকম বুদ্ধিমত্তা ব্যতিরেকে, গাণিতিক হিসাব করতে পারে। যদিও তার জীবদ্দশায় তিনি এর প্রয়োগ দেখে যেতে পারেননি।

কম্পিউটার বিজ্ঞানের সত্যিকার সূচনা হয় অ্যালান টুরিং এর প্রথমে তাত্ত্বক ও পরে ব্যবহারিক গবেষণার মাধ্যমে। বর্তমান প্রযুক্তিতে কম্পিউটারের আবদানের অন্তরালে রয়েছে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানুষ নিরলস পরিশ্রম, উদ্ভাবনী শক্তি ও গবেষনা স্বাক্ষর। প্রাগৈতিহাসিক যুগে গননার যন্ত্র উদ্ভাবিত বিভিন্ন কৌশল/ প্রচেষ্টাকে কম্পিউটার ইতিহাস বলাযায়। প্রাচীন কালে মানুষ সংখ্যা বুঝানোর জন্য ঝিনুক, নুড়ি, দড়ির গিট ইত্যাদি ব্যবহার করত। পরবর্তিতে গননার কাজে বিভিন্ন কৌশল ও যন্ত্র ব্যবহার করে থাকলেও অ্যাবাকাস (1f9ee_abacus)
 নামক একটি প্রাচীন গননা যন্ত্রকেই কম্পিউটারের ইতিহাসে প্রথম যন্ত্র হিসেবে ধরা হয়। অর্থাৎ অ্যাবাকাস থেকেই কম্পিউটারের ইতিহাসের শুভযাত্রা। অ্যাবাকাস ফ্রেমে সাজানো গুটির স্থান পরিবর্তন করে গননা করার যন্ত্র। খ্রিষ্ট পূর্ব ৪৫০/৫০০ অব্দে মিশরে/ চীনে গননা যন্ত্র জিসেবে অ্যাবাকাস তৈরি হয়। ১৬১৬ সালে স্কটল্যান্ডের গণিতবিদ জন নেপিয়ার (John Napier) গণনা কাজে ছাপা বা দাগ কাটাকাটি/ দন্ড ব্যবহার করেন । এসব দন্ড নেপিয়ার (John Napier) এর অস্থি নামে পরিচিত।


১৬৪২ সালে ১৯ বছর বয়স্ক ফরাসি বিজ্ঞানী ব্লেইজ প্যাসকেল (Blaise Pascal) সর্বপ্রথম যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর আবিষ্কার করেন। তিনি দাঁতযুক্ত চাকা বা গিয়ারের সাহায্যে যোগ বিয়োগ করার পদ্ধতি চালু করেন। ১৬৭১ সালের জার্মান গণিতবিদ হটফ্রাইড ভন লিবনিজ (Gottfried Von Leibniz) প্যাসকেলের যন্ত্রের ভিত্তিতে চাকা ও দন্ড ব্যবহার করে গুণ ও ভাগের ক্ষমতাসম্পন্ন আরো উন্নত যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর তৈরি করেন।। তিনি যন্ত্রটির নাম দেন রিকোনিং যন্ত্র (Rechoning Machine)। যন্ত্রটি তত্ত্বগত দিক দিয়ে ভাল হলেও যান্ত্রিক আসুবিধার জন্য জনপ্রিয় হয়ে উঠেনি। পরে ১৮২০ সালে টমাস ডি কোমার (Tomas De Colmar) রিকোনিং যন্ত্রের অসুবিধা দূর করে লাইবানজের যন্ত্রকে জনপ্রিয় করে তোলেন। এর পর ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের আধ্যাপক চার্লস ব্যাবেজ (Charles Babbage) ১৮২৩ সালে ডিফারেন্স ইঞ্জিন (Difference Engine) বা বিয়োগফল ভিত্তিক গননার যন্ত্র উদ্ভাবন করেন।


একটু সহজ করে বলা যায় –

কম্পিউটার (computer) শব্দটি গ্রিক কম্পিউট(compute)শব্দ থেকে এসেছে। compute শব্দের অর্থ হিসাব বা গণনা করা।আর computer শব্দের অর্থ গণনাকারী যন্ত্র।কিন্তু এখন আর কম্পিউটারকে শুধু গণনাকারী যন্ত্র বলা যায় না। কম্পিউটার এমন এক যন্ত্র যা তথ্যগ্রহণ করে এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা বিশ্লেষণ ও উপস্হাপন করে। দেশে প্রথম কম্পিউটার আসে ১৯৬৪ সালে।

প্রোগ্রামিং এর ধারনাঃ

আজ আমরা আমাদের কম্পিউটারকে কত সহজ ভাবে চালনা করছি। একটা সুইচ টিপে কম্পিউটার অন করি, আর দুইটা ক্লিক করে অফ করি। আবার কয়েক ক্লিকে আমার পছন্দ মতন গান শুনতে পারি, মুভি দেখতে পারি, এমন কি আজ কাল কম্পিউটারের সৌজন্যে আমারা আমাদের পরিচিত খেলের মাঠ টিকেও ভুলে যেতে বসেছি। কেনই বা ভুলবনা বলুন??? আজ ঘরে বসে আমি মেসির সাথে খেলতে পাড়ি আবার গোলও করতে পাড়ি, ঘরে বসেই শচিন টেন্ডুল্কার কে আউট করতে পাড়ি, আবার ভিন গ্রহথেকে আসা এলিয়েন দের তাদের পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় করে দিতে পাড়ি। সারা বিশ্ব যখন টেলরিষ্ট দের খোজার জন্য লক্ষ লক্ষ ডলার খরচ করছে আমি সেখানে কয়েকটা ক্লিক করেই টেলরিষ্ট দের শেষ করে দিতে পাড়ি। তবে আমাদের একটা কথা ভেবে দেখা উচিত যে , একসময় কম্পিউটার বলে কিছু ছিল না, সেখান থেকে আজকের কম্পিউটারে আসতে কতই না মানুষের পরিশ্রম হয়েছে, কত না রাত না ঘুমিয়ে কাটিয়েছে তারা।

আপনি কম্পিউটার কে কাজ করতে বলেন আর কম্পিউটার কাজ করে। আপনি গান চালাতে বললে কম্পিউটার গান প্লে করে। আপনি মুভি দেখতে চাইলে কম্পিউটার মুভি প্লে করে। কত সহজ তাইনা?? না আসলে এত সহজ না। কম্পিউটার একটা যন্ত্র। তাই এর কোন অনুভুতি নেই। তাই আপনি যদি একে মুখে বলেন যে ২+২ = কত?? তাহলে কম্পিউটার কোন কাজ করবে না। যদি ইংরেজীতে বলেন তাহলেও কোন কাজে দিবেনা। আবার কম্পিউটারের কোথাও যদি লিখে রাখেন ২+২= কত?? তাহলেউ সারা জীবন উত্তর পাবেন না।কিন্তু কেন??? কেন উত্তর পাওয়া যাবে না?? আসলে কম্পিউটার কে আগে বোঝাতে হবে আপনি তাকে কি করতে বলছেন। যদি কম্পিউটার সেটা বোঝে তবেই কম্পিউটার আপনাকে কাজ করে দেবে। এবার প্রশ্ন হতে পারে কিভাবে কম্পিউটার কে এসব কথা বোঝাতে হয়?? উত্তর হল কম্পিউটারের ভাষা দিয়ে কম্পিউটার কে বোঝাতে হবে। আর কম্পিউটারের ভাষাকেই বলা হয় প্রোগ্রামিং। এবার সহজ ভাবে বলি, আপনার সাথে কোন চাইনিজ যদি তাদের ভাষায় কথা বলে তাহলে আপনি কি কিছু বুঝবেন?? আর যদি সে আপনার ভাষায় বা আপনার পরিচিত কোন ভাষায় আপনার সাথে কথা বলে তাহলে আমার মনে হয় আপনারা সবাই কথাগুলো বুঝবেন। কম্পিউটারের ক্ষেত্রে ঠিক একই কাজ হয়। তবে কম্পিউটার Binary ছাড়া কোন ভাষা বোঝে না। Binary হল এক ধরনের বিশেষ সংখ্যা যেটা কম্পিউটারের নিজের ভাষা। তবে Binary তে মাত্র ২ টি অঙ্ক থাকে। এগুলো হল ১ এবং ০, অর্থাৎ কম্পিউটার শুধু ১ আর ০ ছাড়া কিছুই বোঝে না। খুব মজার ব্যাপার হলেউ কথাটিতে অনেক প্রশ্ন হতে পারে। যেমন কিভাবে ১ আর ০ দিয়ে কম্পিউটার কে ২+২= কত?, এই প্রশ্ন করা যায়?? আসলে আমাদের এই Binary নিয়ে বেশি মাতামাতি না করলেউ চলে কারন কয়েক জন কম্পিউটার প্রোগ্রামার এই প্রোগ্রামিং কে সহজ করার জন্য নতুন নতুন ভাষা তৈরি করেছেন। যাতে মানুষ সহজে প্রোগ্রামিং শিখতে পারে। সহজে কোড মনে রাখতে পারে। আর নতুন নতুন এই ভাষা গুলো অনেকটা মনে রাখার মত ফ্রেন্ডলী ভাষা। এখান থেকে একটা প্রশ্ন হতে পারে, যদি কম্পিউটার ০ আর ১ ছাড়া কোন ভাষা নাই জানে তবে এই নতুন ভাষাগুলোকে কম্পিউটার বোঝে কি করে??? উত্তর হল, এই ভাষাগুলেকে রান করানো হয় বিশেষ ভাবে অথবা বিশেষ কোন সফটওয়্যার এর মাধ্যামে। যার দ্বরুন আমাদের লিখা কোড কে কম্পিউটার ১ ও ০ তে রুপান্তর করে। এটা অনেক টা হাইস্কুলের ছাত্রের কাছে ইংরেজীতে কথা বলার মত। আপনি ইংরেজীতে তাকে যেটাই বলবেন সে সেটাকে প্রথমে তার মাতৃভাষায় রুপান্তর করবে তারপর সে এটা বুঝবে।


প্রোগ্রামিং এর মাধ্যামে কি করা সম্ভব?:

আসলে প্রশ্ন হওয়া উচিত ছিল প্রোগ্রামিং এর মাধ্যামে কি করা সম্ভব নয়?? মনে করুন একজন টিচার আপনাকে বলল কাল ১-১০০০০ পর্যন্ত যতগুলো মৌলিক সংখ্যা আছে সব গুলোর একটা লিস্ট তৈরি করতে। তাহলে আপনি কতই না বিপদে পরে যাবেন তাই না?? হ্যা যদি প্রোগ্রামিং না জানেন তাহলে বিপদে পরারই কথা। আর যদি প্রোগ্রামিং জানেন তাহলে আপনার এটা বের করতে সময় লাগবে ১০ মিনিট। বাহ খুব ভাল লাগল জেনে?? তাহলে আপনি এখনো তলাতে পরে আছেন। প্রোগ্রামিং শুধু এই হিসাবের মধ্যে সিমাবধ্য নয়। প্রোগ্রামিং জানলে আপনি সফটওয়্যার ডেভলপ করতে পারবেন। অনেক গেম ইডিট করতে পারবেন। এমন কি নতুন নতুন গেম, সফটওয়্যার তৈরি করতে পারবেন। প্রোগ্রামিং জানলে হয়ত আপনি বিলগেটস হয়ে যেতে পারেন, আবার যুকারবার্গ ও। প্রোগ্রামিং দিয়ে আবার শত্রুর উপর হামলা করতে পারেন হ্যাকিং এর মাধ্যামে। এক কথায় কম্পিউটার কে নতুন মাত্রা এনে দিতে আপনাকে প্রোগ্রামিং জানতেই হবে।

আমরা কেন প্রোগ্রাম শিখব?:

কেন

একটা কথা চিন্তা করুন যে আজ যদি পৃথিবীতে কোন প্রোগ্রামার না থাকত?? তাহলে কি আমরা এখানে বসে আমাদের সখের কম্পিউটার চালাতে পারতাম?? আজ আমি মনে করছি প্রোগ্রামিং শেখা দরকার নেই, এভাবে যদি সবাই মনে করে প্রোগ্রামিং শেখা দরকার নেই তাহলে আর ৫০ বছর পর আমরা আবার আদিম যুগে ফিরে যাব। আর আমাদের দেশ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় প্রযুক্তিতে অনেক পিছিয়ে আছে। আমি মনে করি এর একটা মুল কারন হল প্রোগ্রাম না জানা। আজ আমরা যেখানে কম্পিউটার বলতে গেম আর মুভি বুঝি সেখানে অনেক দেশের ১০-১২ বছরের বাচ্চারা গেম তৈরি করছে। কেন?? আমরা কি অন্যদের চেয়ে কম মেধাবী??? অন্যদেশের বাচ্চারা যদি গেম বানাতে পারে তবে আমরা ২ লাইন প্রোগ্রাম লিখা শিখতে পারবনা কেন? মানুষের জেদ আর আত্মবিশ্বাস থাকলে কোন কিছুই তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনা।


কোথায় শিখবো প্রোগ্রামিং??:
কোথায় শিখবো প্রোগ্রামিং

প্রোগ্রামিং পূর্নরূপে শিখতে হলে প্রথমে যা লাগবে তা হল মনের জোর। যদি আপনি এখনো হায়ারসেকেন্ডারি পাস না করেন অথবা হায়ারসেকেন্ডারি পাস করেছেন কিন্তু এখনো কোথাও ভর্তি হননি এরকম হন তবে আপনার সবচেয়ে ভাল হবে কম্পিউটার সাইন্সে পড়াশোনা করার চেষ্টা করা। যদি আপনি এসব না চান তাহলে বাইরে থেকে কোর্স করে নিতে পারেন। এছারা অনেক ওয়েব টিউটোরিয়াল পাবেন টেকটিউনস সহ অনেক ওয়েব সাইটে যেগুলো পরে সহজ পদ্ধতিতে প্রোগ্রামিং শিখে নিতে পারেন। এছাড়া পরিচিত কেউ প্রোগ্রামার থাকলে তার কাছে থেকেউ প্রোগ্রামিং এর ব্যাসিকটা শিখে নিতে পারেন।


প্রোগ্রামার হিসাবে ক্যারিয়ারঃ
প্রোগ্রামার হিসাবে ক্যারিয়ার

একজন প্রোগ্রামার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে প্রথমে আমি আপনাকে অভিনন্দন জানাব। কারন আপনি হয়ত সারা পৃথিবীর কাছে আমাদের দেশের নাম উজ্জ্বল করতে চলেছেন। বিভিন্ন আউটসোর্সিং সাইটে এখন প্রচুর পরিমান সফটওয়্যার ডেভলপমেন্টের কাজ পাওয়াযায়। এগুলো কাজ করে আপনি আপনার ক্যারিয়ার টা কে ফ্রীলাঞ্চার হিসেবে সাজাতে পারেন। এছারা বাংলাদেশে অনেক সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট কম্পানি তৈরি হয়েছে এখানে চাকুরি করে ও মোটা অঙ্কের বেতন পেতে পারেন। এছারা বড় কোন ইচ্ছা থাকলে যুকারবার্গ, বিলগেটসদের অনুসরন করতে পারেন। আর যদি ভাল প্রোগ্রামার হতে পারেন তবে আপনার বিদেশে চাকুরির সুযোগ হয়ে যেতে পারে। সোজা কথায় প্রোগ্রামারদের ক্যারিয়ার সর্ব ক্ষেত্রেই উজ্জ্বল হয়। নিজেকে ঠিক ভাবে গড়ে তুলতে পারলে কোথাও আপনাকে কাজের জন্য ঘুরতে হবেনা। কাজই আপনাকে ধরা দেবে।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট এর মাধ্যমে কিভাবে আউটসোর্সিং করে ইন্টারনেটে অর্থ আয় করা যায় এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন অভিজ্ঞ একজন ফ্রিল্যান্সার যিনি প্রায় ৬/৭ বছর ধরে সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিতে সিনিয়র সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেছেন এবং কয়েক বছর থেকে ফ্রিল্যান্সিং করছেনআমার আজকের এই লেখা তাদের জন্য যারা খুব উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে আউটসোর্সিং/ফ্রিল্যান্সিং এ পথ খুঁজছেন। আমি আজকে এটাই বুঝাতে চাইব যে কাজ খোজার আগে নিজেকে কাজের জন্য প্রস্তুত করুন।প্রথমেই যে জিনিসটি আপনাকে মনে রাখতে হবে সেটা হচ্ছে আপনি বড় ধরণের একটা প্রতিযোগিতায় নামতে যাচ্ছেন যেখানে আপনার প্রতিযোগী হবে সারা বিশ্ব থেকে আরও অনেক মানুষ।ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং এ অনেক ধরনের কাজ পাওয়া যায় তবে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সংক্রান্ত কাজ এখানে সবচেয়ে বেশি। প্রথমে আপনাকে ঠিক করে নিতে হবে আপনি কোন কাজটি করবেন এরপর সেটা ভালভাবে শিখে নিন এবং সবশেষে আউটসোর্সিং এ আসুন।


ডিজাইনের কাজের বেশ চাহিদা আছে অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলিতে। এজন্য আপনাকে শিখতে হবে মুলত ফটোশপ এবং ইলাস্ট্রেটর এর কাজ। ফটোশপ দিয়ে লোগো, বাটন, ব্যানার ইত্যাদি তৈরী করতে পারতে হবে। ফটোশপ দিয়ে পিএসডি (PSD) লেআউট ডিজাইনের কাজের প্রচুর চাহিদা।

অনলাইনে প্রচুর টিউটোরিয়াল পাবেন ফটোশপ এবং ইলাস্ট্রেটরের। এদুটি জিনিসে সিদ্ধহস্ত হতে হবে।

গ্রাফিক্সের কাজ করতে সৃজনশীলতা (creativity) বড় একটি দক্ষতা। আপনার সৃজনশীলতা যত গভীর হবে আপনি তত নতুন নতুন আইডিয়া তৈরী করতে পারবেন। এবং আপনার ডিজাইন হবে সবার থেকে আলাদা ফলে আপনার চাহিদাও হবে সবার থেকে বেশি।

শেখা মোটামুটি সহজ, প্রতিদিন ৩/৪ ঘন্টা করে পরিশ্রম করলে ৬ মাসেই প্রফেশনাল পর্যায়ের PSD ডিজাইন করা সম্ভব। (মেধার উপর নির্ভরশীল)


ওয়েব ডেভেলপমেন্ট


এখানে মুলত দুটি ভাগ করা যায়

ওয়েব ডিজাইন তথা এইচটিএমএল, সিএসএস, এবং জাভাস্ক্রিপ্ট ভালভাবে শেখা
ডেভেলপমেন্ট তথা প্রোগ্রামিং ভালভাবে শেখা
ওয়েব ডিজাইন


এজন্য আপনাকে শিখতে হবে এইচটিএমএল, সিএসএস এবং মোটামুটি জাভাস্ক্রিপ্ট (বিশেষ করে কোন ফ্রেমওয়ার্ক যেমনজেকোয়েরি)। ফটোশপের মোটামুটি আইডিয়া থাকতে হবে। যেমন পিএসডি থেকে এক্সএইচটিএমএল করতে যতকিছু লাগে ততটুকু। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট তথা প্রোগ্রামিং জগতে ঢোকার প্রথম দরজা হল ওয়েব ডিজাইন। ভাল ডিজাইনার না হলে ভাল প্রোগ্রামার হতে পারবেন না। প্রোগ্রামিং এ যদি ক্যারিয়ার নাও করেন শুধু ওয়েব ডিজাইনের চাহিদাও কম নয়।

এটাও শেখা সহজ, শিখতে ৬-৮ মাস লাগতে পারে যদি প্রতিদিন ৪/৫ ঘন্টা পরিশ্রম করেন। মেধার উপর ভিত্তি করে এর থেকে সময় কমবেশি লাগতে পারে।

অনলাইনের প্রচুর টিউটোরিয়াল আছে এখান থেকে শিখতে পারেন। এই সাইটেও প্রচুর রিসোর্স আছে।

ব্রাউজার কম্প্যাটিবিলিটি তথা আপনার ডিজাইন করা পেজ যেন সব ব্রাউজারে একই রকম দেখায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারে।

বর্তমানে রেসপনসিভ ডিজাইনের যুগ। এজন্য রেসপনসিভ ডিজাইন করতে পারতে হবে। বিশেষ করে এটার জন্য ব্যবহৃত ফ্রেমওয়ার্কের কাজ ভাল জানতে হবে। যেমন টুইটার বুটস্ট্রাপ। মোবাইল সহ যেকোন ডিভাইসে আপনার ডিজাইন করা পেজ যেন একই রকম দেখায়, আড়াআড়িভাবে স্ক্রলিং করতে না হয়।

প্রয়োজনীয় টুলস যেমন বিভিন্ন IDE, IE tester, IE তে ব্রাউজার মোড বদলানো, ফায়ারবাগ ইত্যাদি শিখতে হবে।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বা প্রোগ্রামিং

এখানে আপনাকে প্রোগ্রামিং শিখতে হবে। এটাই মুল জিনিস ডেভেলপমেন্টে। মূলত ওয়েব প্রোগ্রামিং যেমন ASP.NET, PHP, Java বা অন্য কোন ল্যাংগুয়েজ। তবে পিএইচপির কাজ বর্তমানে সবচেয়ে বেশি। ওয়েব ডেভেলপমেন্টে প্রোগ্রামিং শেখার সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট প্রচুর জিনিস শিখতে হবে। তা নাহলে বেশি উপরে উঠতে পারবেন না। যেমন ভালভাবে শেখা দরকার১. যেকোন একটা প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ মুলত পিএইচপি২. ডেটাবেস ডিজাইন যেমন মাইসিক্যুয়েল দিয়ে কমপক্ষে মধ্যম পর্যায়ের একটা পূর্নাঙ্গ রিলেশনাল ডেটাবেস বানাতে পারতে হবে।৩. খুব ভাল কোয়েরি শিখতে হবে। SQL দিয়ে জটিল কোয়েরি করতে পারতে হবে।৪. ফেইসবুক/গুগল/টুইটার/অ্যামাজন ইত্যাদি বিখ্যাত সাইটের ওয়েব সার্ভিস/ API ব্যবহার করা জানা উচিৎ। (এক্সএমএল)৫. হোস্টিং সমন্ধে স্বচ্ছ ধারনা বিশেষ করে সার্ভার ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে ধারনা থাকা উচিৎ।৬. সোর্স কন্ট্রোল যেমন git, tortoise svn ইত্যাদি দিয়ে কিভাবে একই প্রজেক্টে একাধিক ডেভেলপার কাজ করা যায় এসব জানতে হবে।৭. এজাক্স, জেকোয়েরি এবং ডেভেলপমেন্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন টুলস সম্পর্কে প্রচুর জানতে হবে। যেমন নেটবিনস (কোড লেখার IDE), HeidiSQL, MySQL WorkBench (ডেটাবেস ডিজাইন টুল) এসব জানতে হবে। সর্বোপরি ওয়েব ডিজাইনের কাজে সুপার সুপার এক্সপার্ট হতে হবে। অর্থ্যাৎ এইচটিএমএল, সিএসএস এবং জেকোয়েরি এসবের কাজ বাম হাতেই সেরে ফেলার মত যোগ্যতা থাকতে হবে। একজন ভাল প্রোগ্রামার হতে হলে আগে ভাল ডিজাইনার (বরং সুপার এক্সপার্ট) হতে হবে।


শেখা খুব কঠিন। ২-৩ বছর পরিশ্রম করা লাগতে পারে যদি প্রতিদিন ৩/৪ ঘন্টা সময় দেন। মেধার উপর ভিত্তি করে সময় কমবেশি লাগতে পারে।

চাহিদা এবং আপনার গুরত্ব হবে আকাশছোয়া।

অনলাইনে প্রচুর টিউটোরিয়াল আছে, wrox, apress পাবলিকেশনের অনেক ভাল ভাল বই আছে এখান থেকে শিখতে পারেন। এই সাইটেও প্রচুর রিসোর্স আছে। (অ্যাডভান্সড পিএইচপি, ডেটাবেস ডিজাইন, ডেটাবেস পিএইচপি,OOPHP, পিএইচপি ফ্রেমওয়ার্ক, কোডইগনাইটার, জেন্ড, জুমলা, SEO)

যে কাজই করতে চান না কেন আগে সেটাতে দক্ষতা অর্জন করুন এরপর ফ্রিল্যান্সিং এ যান। কিছু জানলেন কিংবা ভাসা ভাসা ধারনা এরুপ দক্ষতা নিয়ে ওডেস্ক বা যেকোন মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট খোলা হতাশা ছাড়া কিছু দিতে পারবেনা।এছাড়া ফ্রিল্যান্সিং এ আসার আগে ভাল সফটওয়্যার ফার্মে ১.৫/২ বছর চাকুরি করে আসা উচিৎ। চাকুরি না করে আউটসোর্সিং আসলে খুব বেশি উপরে ওঠা জটিল। বেশির ভাগ লোকজন কিভাবে ওডেস্কে একাউন্ট খুলতে হবে, কিভাবে কাজ পাওয়া যেতে পারে এসব কৌশল শিখতে তৎপর অথচ কাজ তেমন একটা শেখেনি। মার্কেটপ্লেস গুলিতে একাউন্ট খোলা ফেইসবুকের মতই সহজ এরপর কয়েকটি পরীক্ষা দিয়ে প্রোফাইল সমৃদ্ধ করতে পারেন। যেকোন বিড করার (যেমন ওডেস্কে “Apply to this Job”) সময় কভার লেটার তথা আবেদনটি একটু আকর্ষনীয় করে লেখা উচিৎ। ভাল কভার লেটারের নমুনা ঐ সাইটগুলিতেই পাবেন। এগুলি খুবই অগুরত্বপূর্নবিষয় এবং পানির মত সহজ। এগুলি নিয়ে চিন্তা না করে আগে টেকনিকালি এক্সপার্ট হউন।

অনলাইন থেকে আয়

সবাই হয়তো আমার টিউন এর টাইটেল দেখে পড়তে শুরু করে দিয়েছেন।কারন কে না চাই ১০০০+ ডলার ইনকাম করতে হ্যা সবাই চাই। যারা অনলাইন এ নতুন আসে তারা সবাই চাই এবং গুগল এ অনেক সার্চ দেয় অনলাইন থেকে ইনকাম লিখে কিন্তু ১মাস গুতাগুতি করার পর দেখে যে না অনেক কঠিন এটা আমার দ্বারা সম্ভব না।এবং অনেকে ইচ্ছা থাকলেও সঠিক পথ না জানায় কাজ শুরু করতেই পারে না। অবশেষে তাদের শেষ কথা অনলাইন এ ইনকাম করা সম্ভব না।


রমযান মাস আমি একটুও মিথ্যা টাইটেল দেয়নি।কারন টেকটিউস এ আমার অনেক ভাই আছে যারা ১০০০+ ডলার ইনকাম করে থাকেন প্রতি মাসে।এখন কথা হচ্ছে আপনি নতুন আপনি কিভাবে পারবেন?

তাহলে আপনাকে আমি সম্পূর্ন উদাহরন দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছি।

আপনি যখন ছোট ছিলেন ক্লাস ১ থেকে ১০পর্যন্ত পড়ছেন স্কুল লাইফ এই আপনার ১০বছর এর বেশি সময় ব্যায় করেছেন পড়াশুনার জন্য।এরপর কলেজ ইউনিভারসিটি তে আরো সময় ব্যায় করেছেন পড়ালেখার জন্য সব মিলিয়ে ২২থেকে ২৫ বছর ধরে নেই আমরা।আমরা ২৫বছর পড়াশুনা করেছি খুব পরিশ্রম করেছি পরিক্ষা দিয়েছি রাত জেগে কষ্ট করে পড়েছি সব কিছু কিসের জন্য?

হ্যা আমি যা বলতে যাচ্ছি আশা করি বুঝে গেছেন সবাই?হ্যা ভাল একটা চাকরির জন্য এবং সমাজে মাথা উচূ করে দাড়াবার জন্য। ২৫বছর পড়াশুনা করে এখন অনেকেই তার সমমানের চাকরি পাননা অনেকে ৮হাজার টাকা বেতন এর চাকরি পান অনেকে ১২হাজার টাকা বেতন এর চাকরি পেলে ঈদের মত খুশি হয়ে চাকরি করতে থাকেন।

আমরা ২৫বছর কষ্ট করার পড় ১২হাজার টাকার চাকরি পেলে খুশি এত কষ্ট করার পর।হ্যা আস্তে আস্তে বেতন বাড়ে অনেক উচু লেবেল এ পড়াশুনা সম্পূর্ন করে ভাল বেতন পাওয়া যায়।

আমার কথার এইটাই মানে হল আমরা ২৫বছর যদি এত কষ্ট করে সামান্য বেতন পেয়ে খুশি হই।তাহলে আপনি ভাবলেন কিভাবে যে মাত্র ২মাস কষ্ট করে আপনি ১০০০+ডলার ইনকাম করতে পারবেন প্রতি মাসে।

অইলাইন এ ইনকাম করতে হলে কম পড়াশুনা করতে হয়না, যত বেশি পড়াশুনা করবেন ততটাই সাফল্যর দিকে পৌছাতে থাকবেন।এখানে ইনকাম করতে গেলে আপনাকে ২৫বছর সময় ব্যায় করতে হবেনা। কমপক্ষে ৫ থেকে ৮ মাস ভাল ভাবে ফ্রিল্যান্সিং এর পিছনে ব্যায় করলে আপনি ভাল ভাবে শিখতে পারবেন এবং হিউজ পরিমান টাকা ইনকাম করতে পারবেন।অনেকের ২বছর ও লেগে যায়।কিন্তু এখানে সময় কোন বিষয় না মূল কথা হল এই পথ থেকে সরে যাবেন না আপনি যদি পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই একদিন না একদিন আপনার পথের শেষ প্রান্তে যাবেন ১০০% গ্যারান্টি।

যখন আপনি পথ পেরিয়ে আপনার সাফল্যে পেয়ে যাবেন তখন আপনি চাকরি করে যে বেতন পেতেন তার ৩ গুন বেশি টাকা অনলাইন থেকেই ইনকাম হবে।

প্রোগ্রামিং করে ঘণ্টায় ১০-১৫ ডলার

প্রোগ্রামিং করে ঘণ্টায় ১০-১৫ ডলার আয় সম্ভব

ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং পেশা হিসাবে জনপ্রিয় হচ্ছে। সফলদের সাফল্য গাথার গল্প শুনে তরুনরা আগ্রহী হচ্ছেন। নতুনদের মধ্যে ঝোঁক বাড়ছে। স্বাভাবিকভাবে জাগছে বিভিন্ন প্রশ্ন।

আউটসোর্সিং বিষয়টি টেকনিক্যাল হওয়ায় জানাশোনার পরিধি বাড়ছে। নতুন প্রযুক্তিগত উন্নয়নে যোগ হচ্ছে নতুন জিজ্ঞাসার। এসব জিজ্ঞাসার সমাধান দিতে নবীন ফ্রিল্যান্সারদের পাশে থাকছে টেকশহর ডটকম।

এর অংশ হিসাবে টেকশহর ডটকমে নতুনদের পরামর্শ দিতে ইল্যান্স-ওডেস্কের বাংলাদেশ কান্ট্রি ম্যানেজার সাইদুর মামুন খান নিয়মিত ফ্রিল্যান্স-আউটসোর্সিং সম্পর্কিত বিভিন্ন টিউটোরিয়াল ও নিবন্ধ লিখছেন এবং প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন। প্রশ্নোত্তর নিয়মিত প্রতি সপ্তাহে একদিন প্রকাশ করা হচ্ছে।

টেকশহরডটকমের এ আয়োজনে পাঠকদের মধ্যেও বেশ সাড়া পড়েছে। অনলাইন ফর্মের মাধ্যমে অসংখ্য পাঠক বিভিন্ন প্রশ্ন পাঠাচ্ছেন। চলতি সপ্তাহের কিছু প্রশ্নের উত্তর নিয়ে এ প্রতিবেদন। ধারাবাহিকভাবে অন্য প্রশ্নের উত্তরগুলোও প্রকাশ করা হবে।


শিহোন
প্রশ্ন :
আমি কি আমার ওডেস্ক একাউন্টে অন্য জনের ব্যাংক একাউন্ট এড করতে পারব? আমার বয়স ১৮ হয়েছে, কিন্তু এখনওভোটার হই নাই এবং কোন ব্যাংক একাউন্টও করা নাই।এখন আমি কিভাবে ওডেস্ক একাউন্ট থেকে টাকা উঠাবো?

উত্তর :
না, ওডেস্কে শুধু নিজের নামেই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অ্যাড করা যাবে। আপনি এক্ষেত্রে আইডি কার্ড করে নিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলতে পারেন। শুধু ওডেস্ক নয়, অনেক স্থানেই কাজে আসবে সেটা।


A.B.M. Mashudur Rahman
প্রশ্ন :
Last year in March I had joined an SEO training course and opened an oDesk ID. Now I want to make necessary changes on that ID including user name and some other information. Is my ID still working? Or tell me how to upgrade an old oDesk ID for use. For information…that was my only ID on oDesk.

উত্তর :
আপনি চাইলে আপনার নাম, স্কিল ইত্যাদি পরিবর্তন করতে পারেন, সেটা নিয়ে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে আইডি ভেরিফিকেশন করা থাকলে সেটা বাতিল হয়ে যাবে এবং সেটা আপনাকে আবার নতুন করে করে নিতে হবে।


আলিম
প্রশ্ন :
প্লিজ আমাকে একটু হেল্প করেন। আমি একটা সাইট থেকে 135$ আয় করেছি। কিন্তু এখানে Withdrow দিতে পেপাল একাউন্ট লাগবে। আর আমি পেপাল একাউন্ট খুলতে ক য়েকটা অপশেন না বোঝার কারনে করতে পারছি না।
আপনারা যদি এই অপশেন সম্পর্কে বস্তারিত বলেন তাহলে একটু উপকার হ্য়। আর এ একাউন্ট কি verify করা যাবে।

উত্তর : কোন সাইট থেকে আয় করেছেন সেটা বললে ভালো হত, এভাবে আসলে অনুমান করে উত্তর দেয়া যাচ্ছে না। তবে এতটুকু বলতে পারি, বাংলাদেশে পেপ্যাল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার নিয়ম নেই।


রুহী
প্রশ্ন :
আমি ইংরেজিতে দুর্বল। তাই ওডেস্ক এবং ইল্যান্সে কায়েন্টের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে খুব সমস্যা হয়ে থেকে। আমি কোথায় ভালো ইংরেজি শিখতে পারব। এ ছাড়া প্রোগামিং শেখার জন্য কোন ভালো প্রতিষ্ঠান আছে কি? আর প্রোগামিং শিখলে কেমন আয়ে করা যাবে।

উত্তর :
দুঃখিত, আমরা নির্দিষ্ট কোন প্রতিষ্ঠানকে উল্লেখ করতে পারছি না। তবে ইংরেজি শেখার জন্য আপনি বাজার থেকে বিভিন্ন বই বা সিডি কিনে নিতে পারেন এবং এর সঙ্গে ইংরেজি বই পড়া, ইংরেজি খবর শোনা – ইত্যাদির অভ্যাস করে ফেলতে পারেন।


আর প্রোগ্রামিং যদি খুব ভালো জানা থাকে, তাহলে প্রতি ঘণ্টায় ১০-১৫ ডলার বা তারও বেশি উপার্জন করা সম্ভব।



Post a Comment

0 Comments