সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি কেন কিভাবে করা হয় তা খুব সহজেই শিখে নিন এখুনি
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি কেন কিভাবে করা হয় তা খুব সহজেই শিখে নিন এখুনি
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি,ফেসবুকে মার্কেটিং,ইউটিউব মার্কেটিং,গুগল প্লাস মার্কেটিং,কিটুইটার
এগুলো নিয়ে এখানে সমস্ত বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে আপনারা সবাই পড়ে দেখবেন আশা করি এখান থেকে আয় করে নিতে পারবেন।
অন্যকে দেখার সুযোগ করে দিবেন এবং শেয়ার করবেন।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সম্পর্কে আমরা হয়ত কম-বেশি সবাই অবগত আছি। সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলতে আমরা ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, লিঙ্কডিন, পিন্টারেস্ট, গুগল প্লাস এই গুলাকেই বেশি বুঝে থাকি। বর্তমান জগতে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মধ্যে ফেসবুক আর ইউটিউব অনেক অনেক বেশি কার্যকরী এবং ফলপ্রসূ। সারা পৃথিবীতে অনেক গুলো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং আছে। তার মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু দেশে নির্দিষ্ট কিছু সোশ্যাল মিডিয়া খুব বেশি কার্যকর। যেমন- ইন্ডিয়াতে ইউটিউব, ইন্সটাগ্রাম, হোয়াটস অ্যাপ, ইমো, ভাইবার এই সোশ্যাল মিডিয়া খুব বেশি জনপ্রিয়। আবার আমেরিকাতে পিন্টেরেস্ট ও রেদ্দিট অনেক বেশি জনপ্রিয়, রাশিয়াতে ভিকে, স্তাম্বলআপন ও টুইটার অনেক বেশি জনপ্রিয়। ঠিক তেমনই বাংলদেশে ফেসবুক, ইউটিউব এই গুলো অনেক জনপ্রিয়। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সবসময় কার্যকর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন মানুষের কার্যকলাপের উপর। আমার ফেসবুক এর মাধ্যমে যে মার্কেটিং করি তা ফেসবুক মার্কেটিং এর অন্তগত। ঠিক একইভাবে ইউটিউবে আমরা যে ভিডিও শেয়ার করে বা পোস্ট করে যে মার্কেটিং করি তা ইউটিউব মার্কেটিং এর অন্তগত।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কেন প্রয়োজন?
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বর্তমান সময়ের জন্য সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কেননা একটা সময় মানুষ টেলিভিশন দেখে বিনোদন নিতো, সংবাদ দেখত, খেলা দেখত। এই সব কিছুর জন্য টেলিভিশনই ছিল তাদের একমাত্র ভরসা। এর জন্য তাদেরকে সব সময় টেলিভিশন এর সামনে বসে থাকতে হত অথবা দেখা যেত টেলিভিশন এর নির্দিষ্ট সময়ে তাদেরকে অপেক্ষা করতে হত। কিন্ত এখন সময়টা পাল্টেছে, আপনি এখন চাইলে যেকোনো সংবাদ, বিনোদন, খেলাধুলা এই সব নিউজ দেখতে ও পরতে পারবেন খুব সহজে এবং যখন তখন। তাহলে বুঝতেই পারছেন সোশ্যাল মিডিয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে। আপনি চাইলে এই গুরুত্ব টাকেই কাজে লাগিয়ে মার্কেটিং করতে পারেন। আপনি আপনার ওয়েবসাইট এর প্রোডাক্ট গুলো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া তে শেয়ার করে দিন। একটা সময় পর এর ফলাফল খুব ভালভাবে দেখতে পাবেন। সমগ্র পৃথিবী এখন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর উপর নির্ভরশীল। আপনি একটু ছিন্তা করে দেখুন না, আপনি লাস্ট কবে ফেসবুক বা ইউটিউব ব্যবহার করেন নি। তাহলে খুব সহজেই বুঝতে পারবেন এটার গুরুত্ব কতখানি।
ফেসবুকে মার্কেটিং
ফেসবুক থেকে টাকা আয় করুন লিখে গুগল সার্চ করলে প্রায় সাড়ে-পাঁচ লক্ষ রেজাল্ট পাওয়া যায়। তাদের বেশীরভাগই রেফারাল, বোগাস লিঙ্ক, এমনকি ভাইরাস ডাউনলোডের লিঙ্কও মাঝে মাঝে পাওয়া যায়। এভাবে অন্যের পোস্টে লাইকের বিনিময় টাকা আয় না করে কিভাবে সত্যিকার ভাবে টাকা আয় করা সম্ভব তা নিয়ে আজ কিছু কথা। প্রথমে বুঝে নিন কিভাবে আসলে টাকা আসবে। প্রতিটি উপায়ের মূল সারমর্ম একটিই: সোশ্যাল মার্কেটিং। আপনি আপনার পেজ বা প্রোফাইল বা গ্রুপের মাধ্যমে অন্য কোম্পানির পণ্য বাজারজাত করে দিবেন। আপনার ফলোয়াররা যেহেতু আপনার কথা শুনে অভ্যস্ত, তাই তাদেরকে আপনি কোনও জিনিষ ভালো বললে সে ব্যাপারে একটি গুড-উইল তৈরি হবে। অনেকটা বলতে পারেন যেভাবে সেলব্রিটিরা প্রোডাক্ট এন্ডরস করে (যেমন সচীন করেছিলেন MRF Tiresকে) সেভাবে আপনিও এন্ডরস করবেন। তার মানে শুরু করার সময় আপনাকে অডিয়েন্স গড়তে হবে, মজার কোনও লেখা বা কন্টেন্ট দিয়ে ফলোয়ার বাড়াতে হবে। এর পরই আপনি তা ব্যবহার করে মার্কেটিং করতে পারবেন টাকার বিনিময়।
১। আপনি টাকার বিনিময় অন্য কোম্পানির কন্টেন্ট বা পেজ আপনার পেজ/প্রোফাইল থেকে শেয়ার করতে পারেন। আপনার শেয়ার থেকে যদি নির্দিষ্ট পরিমাণ লাইক বা পন্য বিক্রি বাড়ে তাদের তাহলে টাকা পাবেন।
২। বিভিন্ন কোম্পানি অ্যাফিলিয়েশন করার সুযোগ করে দেয়। অ্যাফিলিয়েশন করার পদ্ধতিটি এক একটি কোম্পানির এক এক রকম, তবে সাধারণত কোম্পানির ওয়েবসাইটেই সে ব্যাপারে লেখা থাকে। আপনি অ্যাফিলিয়েট হবার পর বিভিন্ন অফার চলার সময় আপনি তাদের পণ্যের কিছু লিঙ্ক পাবেন যার মাধ্যমে কেউ কিছু কিনলে বা লিঙ্কটি ভিসিট করলে আপনি অল্প কিছু পয়সা পাবেন। সাধারণত এই রেফারেল সিস্টেমটির মত ম্যালওয়্যার রেফারেল লিঙ্ক তৈরি করে অনেকে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হাতিয়ে নেয়, তাই অ্যামাজন বা ইবে এর মত সাইটের লিঙ্ক না হলে সেখানে অ্যাফিলিয়েশন করতে যাবেন না। সঠিক লিঙ্ক পাওয়ার পর আপনি তা নিজ পেজ, গ্রুপ ও প্রোফাইল থেকে শেয়ার করে লিঙ্কে ক্লিক পেতে পারেন যার থেকে কিছু টাকা আসবে। তবে এক লিঙ্কেই ৫০০ টাকা এমন কিছু দেখে প্রলোভিত হবেন না, এগুলো একটিও সঠিক নয় বরং ফিসিং এর অংশ।
৩। অনেক সময় সাইটের কাটতি বাড়ানোর জন্য কিছু কোম্পানি ফেসবুক ব্যবহারকারীদেরকে লিঙ্ক ছড়িয়ে দেয়ার জন্য টাকা দিয়ে থাকে। এটি পুরোপুরি ভাগ্যের ব্যাপার, তাই দেখা মাত্র এসবে জড়িয়ে যাবেন না। যদি খুব বিশ্বাসযোগ্য কেউ হয় তাহলে কাজটি করতে পারেন।
৪। বাংলাদেশে আরও একটি উপায় হচ্ছে পেজ বা গ্রুপের কভার ফটোতে অ্যাড-স্পেস বিক্রি করা। অন্যান্য সাইটে যেভাবে অ্যাড সেল হয়, এটিও তাই। অনেক মেম্বারের গ্রুপের কভার ফটোতে অনেক সময় ছোট ছোট কোম্পানি অ্যাড দিয়ে থাকে, তাই ২০-৩০,০০০ অ্যাকটিভ মেম্বারের গ্রুপ অ্যাডমিনরা এটি চেষ্টা করতে পারেন।
৫। পেজ বা গ্রুপ অ্যাডমিনরা সেটি বিক্রি করে দিতে পারেন। পেজে অনেক লাইক থাকলে মার্কেটিং এর জন্য অনেকেই সেটি কিনে নেন, গ্রুপের বেলায় ও তাই। এ কাজটি খুব ভালো নয়, তবে করা খুবই সম্ভব। এক্ষেত্রেও অ্যাডমিনরা কেনার জন্য কেউ আছে কিনা খুঁজে দেখতে পারেন। তবে খেয়াল করুন, প্রতিটি উপায়ই অস্থায়ী। কখন, কত টাকা, কিভাবে আয় হবে তার কোনও গ্যারান্টি নেই।
অতএব সঠিক ফ্রি-ল্যান্সিং ছাড়া অনলাইনে আয় করার কোনও স্থায়ী উপায় নেই। আর অবশ্যই কোনও কিছু করার আগে ভালোভাবে সেটি বুঝে নিতে ভূলবেন না।
ইউটিউব মার্কেটিং আসলে কি
ইউটিউব হচ্ছে একটা ভিডিও শেয়ারিং সাইট এবং পৃথিবীর সকল ভিডিও শেয়ার সাইটের মধ্যে ইউটিউব জনপ্রিয় এবং ইউজার বান্ধব। ইউটিউবে ভিজিটর অনেক বেশী। ইউটিউবে ভিডিও আপলোড এবং শেয়ারের মাধ্যমে কোন পণ্যের বা সেবার পরিচিতি ব্যবহারকারীর নিকট পৌঁছে দেওয়াই হচ্ছে ইউটিউব মার্কেটিং। এক কথায়, ইউটিউব ভিডিও এর মাধ্যমে কোন পণ্য বা সেবা’র মার্কেটিং করাকেই ইউটিউব মার্কেটিং বলে।
কেন করবেন ইউটিউব মার্কেটিং?
ইউটিউব মার্কেটিং করলে খুব দ্রুত ট্রাফিক পাওয়া যায় যা একটি ওয়েবসাইটের জন্য অনেক সময়ের ব্যপার।
ইউটিউবে এসইও রেংকিং ড্রপ হয়না।
কোন প্রোডাক্টের ডিজাইন, ব্যবহারবিধি, দেখতে কেমন বা উতপাদনকারী, বিভিন্ন তথ্য একজন ক্রেতা ইউটিউব থেকে সহজেই দেখে নিতে পারেন। তারপরই উক্ত ক্রেতা সিদ্ধান্ত নেন প্রোডাক্টটি ক্রয়ের জন্য। ইউটিউব হচ্ছে ক্রেতাদের ঘাটি।
কি কি লাগবে?
একটি ইউটিউব একাউন্ট
একটি মোটামোটি ভালো মানের কম্পিউটার
ওয়েব ক্যাম
ডিজাটাল ক্যামেরা, আপনার মুঠোফোন টি ও কাজে লাগাতে পারেন, ভালো ক্যাম্যরা লাগবে
ইন্টারনেট কানেকশন
ভালো ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার
কিছু ভাল বন্ধু যারা নিঃস্বার্থভাবে আপনার সাথে কাজ করবে
ইউটিউবে একাউন্ট খোলা
একটা জিমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরী করুন। নিজের সঠিক নাম, বয়স এবং ফোন নম্বর দিয়ে। এই অ্যাকাউন্ট দিয়ে ইউটিউবে লগ ইন করুন। সেখানে ‘Create Channel’ পাবেন। তার মাধ্যমে নিজের চ্যানেল তৈরী করুন। একটা ভালো প্রোফাইল পিকচার এবং কভার ফটো অ্যাড করুন। এবং আপনার নিজের ক্যামেরায় তৈরী যে কোনো ফুটেজ আপলোড করুন।
কিভাবে অর্থ উপর্জন করা সম্ভব?
ইউটিউব সাধারণত ভিডিও দেখার একটি ওয়েবসাইট। প্রতিনিয়ত এখানে অনেক ভিডিও আপলোড করা হয়। কেউ হয়তো তার বা তার ব্যান্ড এর গানের ভিডিও আপলোড করেন তো কেউ আবার তার কোম্পানির কোন ভিডিও। আবার কেউ আপলোড করেন মজার মজার ফানি ভিডিও তো কেউ শিক্ষণীয় কিছু। ভিডিও দেখার সময় যে বিজ্ঞাপন দেখা যায় সেই বিজ্ঞাপনের জন্যই আসলে ইনকামটি করা সম্ভব। অবশ্যই সব ভিডিওতে বিজ্ঞাপন থাকে না। যদি কেউ তার চ্যানেল বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য অনুমোদন দেয় তবেই বিজ্ঞাপন দেখানো হবে। আর সেই বিজ্ঞাপন থেকে গুগল এর আয় হওয়া একটি অংশ চ্যানেল এর মালিককে দেয়া হয়। এটি প্রধানত গুগল অ্যাডসেন্স (Google AdSense) এর একটি অংশবিশেষ।
কত টাকা উপার্জন সম্ভব
ইউটিউব থেকে টাকা আয়ের মূল উৎস হচ্ছে ভিউ। যে ভিডিও যত বেশী ভিউ হবে সে ভিডিও তত বেশী অর্থ উপার্জন করবে। তবে মোটামুটি ভাবে প্রতি হাজার মনোটাইজ ভিউতে ১ থেকে ৫ ডলার অবধি আয় সম্ভব।
কবে থেকে টাকা আয় সম্ভব
অ্যাডসেন্স অ্যাপ্লিকেশান অ্যাপ্রুভড হতে দুই থেকে তিন দিন লাগে। একবার অ্যাপ্রুভড হয়ে গেলেই আপনার আয় শুরু।
টাকা কবে থেকে পাবেন
ন্যূনতম ইনকাম ১০০ ডলার হলে আপনার বাড়িতে গুগল থেকে একটি চিঠি আসবে তাতে একটি কোড নম্বর থাকবে সেই কোড নম্বর দিয়ে আপনাকে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস দিতে হবে অর্থাৎ ব্যাঙ্ক নেম, অ্যাকাউন্ট হোল্ডার নেম, সুইফট কোড ইত্যাদি। আপনার ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট-এ আপনার নাম এবং ঠিকানা আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টের নামের সাথে মিল থাকতে হবে, নইলে এই টাকা আপনি পাবেন না। তাই অ্যাকাউন্ট খোলার সময় যেই নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে এবং সেখানে যে অ্যাড্রেস দেওয়া আছে সেটাই ব্যবহার করবেন।
কত তাড়াতাড়ি টাকা আসবে?
ইউটিউব থেকে টাকা পেতে আপনাকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। হতে পারে আপনার প্রথম টাকা পেতে পেতে এক বছর বা তার-ও বেশি লেগে গেল কিন্তু একবার টাকা আসা শুরু করলে এবং আপনার ভিডিও প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ হাজার ভিউ দিতে পারলে আপনাকে আর কোনো চাকরী করতে হবে না।
সকলেই কি টাকা আয় করতে পারে?
আঠারো বছরের যে কেউ তার নিজের মৌলিক ভিডিও দিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারে। কিন্তু কার ভিডিও কত জনপ্রিয় হবে সেটা নির্ভর করছে কিছুটা আপনার দক্ষতা এবং আপনার ভাগ্যের উপর। প্রচুর মানুষ যারা নিজের পোষা বিড়ালের ছবি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা আয় করছে আবার অনেকে আছে যারা পয়সা খরচ করে নিজেরা নানা রকম ভিডিও বানিয়েও এক ডলার আয় করতে পারছে না। তাই সঠিক ভাবে যদি আপনি আপনার ইউটিউব অ্যাকাউন্টটি পরিচালনা করতে পারেন তাহলে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা অসম্ভব নয়।
মনেটাইজ ভিউ
ধরা যাক আপনার ভিডিওটে যে অ্যাড আসে, সেটা ১ মিনিট-এর মাথায়। এবার আপনার ভিডিওটি ৫০০০ ভিউ হয়েছে কিন্তু এর মধ্যে প্রায় ৩ হাজার জন হয়ত আপনার ভিডিও ১ মিনিটের কম দেখেছে। তাহলে ৫ হাজার ভিউ স্বত্তেও আপনার মনেটাইজ ভিউ হবে মাত্র ২ হাজার। মনেটাইজ ভিউ কত হয়েছে সেটা একমাত্র যার অ্যাকাউন্ট সেই দেখতে পারবে ‘Analytics’-এ ক্লিক করে।
যেভাবে শুরু করতে হবে
ইউটিউব থেকে আয় করতে আপনাকে প্রথমেই ইউটিউবে একটি চ্যানেল খুলতে হবে। এছাড়া আপনার চ্যানেল ভালোভাবে সাজিয়ে নিতে হবে। যেমন কভার ফটো, চ্যানেল আর্ট ইত্যাদি ব্যবহার করে চ্যানেলটি প্রফেশনাল ডিজাইনের করে নিতে হবে।
চ্যানেলে আপলোড করার জন্য লাগবে ভালো মানের ভিডিও। তবে এখানে কপি করা বা অন্যের ভিডিও আপলোড করা যাবে না। অনুমতিপত্র ব্যতীত কোন ভিডিওতে কোন কপিরাইটেড গান বা দৃশ্য ব্যবহার করা যাবে না। সবসময়ে চ্যানেল অনুযায়ী নির্দিষ্ট টপিক বা বিষয়ের উপরেই ভিডিও তৈরি করতে হবে। প্রতিটি ভিডিওতে আপলোড করার সময় সঠিক নাম (Video Title) এবং প্রয়োজনীয় কীওয়ার্ড (Keyword) যুক্ত করতে হবে।
ইউটিউব চ্যানেল তৈরীর আগে বেশ কয়েকটি ভিডিও আপলোড করে নিতে হবে এবং সেই সাথে সেই ভিডিও শেয়ার করে বেশ কিছু ভিজিটরও কালেক্ট করে নিতে হবে। অর্থাৎ বেশ কয়েকজন যেন অবশ্যই ভিডিওগুলো দেখে থাকে।
তারপর Monetization চালু করে নিতে হবে। Monetization Enable হয়ে গেলে অ্যাক্টিভেশন ইমেইল এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। সাধারণত ৪৮ ঘণ্টার ভিতর ইমেইল চলে আসবে।
এরপর আপনার ইউটিউব অ্যাকাউন্ট একটি গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট এর সাথে সংযুক্ত করতে হবে। যদি আপনার আগে থেকেই অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট থাকে তবে সেই অ্যাকাউন্ট এর সাথে যুক্ত করতে পারেন অথবা নতুন অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। তবে আপনার যদি আগে থেকেই অ্যাকাউন্ট থাকে তবে নতুন অ্যাকাউন্ট খুলতে যাবেন না। এতে আপনার আগের অ্যাকাউন্ট ও বাতিল হয়ে যাবে। সেই সাথে এই চ্যানেল এর ক্ষেত্রেও আপনি অ্যাডসেন্স পাবেন না। মনে রাখবেন একটি অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট অনেকগুলো ইউটিউব অ্যাকাউন্ট বা ওয়েবসাইট এ বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য ব্যবহার করা যায়। অনেকগুলো অ্যাকাউন্ট এর প্রয়োজন নেই।
আপনার ইউটিউব অ্যাকাউন্ট অ্যাডসেন্স এর সাথে যুক্ত করতে বা নতুন অ্যাকাউন্ট খুলতে Account Monetization এ ক্লিক করুন।
একটি কথা অবশ্যই মনে রাখবেন ইউটিউব থেকে আয় করা অর্থ পরের মাসের ১৫ তারিখ অ্যাডসেন্স এ দেখানো হবে। তাই এতে অস্থির হওয়ার কিছু নেই।
আর কখনোই নিজের আপলোড করা ভিডিওতে থাকা বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবেন না। এতে আপনার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড বা বাতিল হতে পারে।
ভিজিটর বাড়াতেও কোন রকম স্প্যাম ছড়াবেন না। এতেও আপনার আয় বাড়বে না বরং কমে যাবে। তবে সঠিক ভিডিও সঠিক জায়গায় শেয়ার করতে পারেন।
চ্যানেল এবং ভিডিও উভয়ই অপটিমাজেশন করতে হবে।
Monetize কিভাবে করবেন
টাকা উপার্জন করতে হলে আপনাকে আপনার ভিডিওটি ‘Monetized’ করতে হবে। ইউটিউবের Video Manager-এ ক্লিক করুন, বা-দিকে একটা লিস্ট আসবে সেখানে Channel-e ক্লিক করুন, সেখানে আপনি Monetization পাবেন। এখান থেকে আপনাকে আপনার অ্যাকাউন্টটি অ্যাকটিভ করতে হবে। (অ্যাকটিভ করার উপায়টি লিখে সঠিক বোঝানো সম্ভব নয়, নিজে থেকে চেষ্টা করুন এবং স্টেপগুলি ফলো করুন)।
ইউটিউব ভিডিও Ranking
ইউটিউব চ্যানেল এবং ইউটিউব ভিডিও আরও বেশী মানুষের কাছে পৌছে দিতে পারেন এবং তা ভিউয়াররা যেন সহজেই খুজে পায় তার ব্যবস্থা করতে পারেন । সেজন্য দুটি পদ্ধতি নিম্নে বর্ণিত হলোঃ- (১) ইউটিউব চ্যানেল অপটিমাইজেশন এবং ইউটিউব ভিডিও অপটিমাইজেশন।
প্রথম ধাপঃ- ইউটিউব চ্যানেল অপটিমাইজেশন
ভিডিওটি যাতে ইউটিউব সার্চ সহজে খুজে পায় সেজন্য চ্যানেল অপটিমাইজেশন করতে হবে। চ্যানেল অপটিমাইজেশনের ধাপগুলো নিম্নরুপঃ-
আপনার চ্যানেলের নামটি সহজ, অর্থবোধক এবং সংক্ষিপ্ত বা ছোট হতে হবে। চ্যানেলের নাম শুনেই যেন বুঝা যায় চ্যানেলটি কি বিষয়ে তৈরী করা হয়েছে ? কি ধরনের ভিডিও এখানে পাওয়া যাবে ? চ্যানেলের নামটি যেন সহজে মনে রাখা যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ইউটিউব প্লেবুকের (লিংক) ব্যবহৃত ভাইস চ্যানেল (লিংক) সুন্দর বর্ণনার ভাল উদাহরণ হতে পারে। চ্যানেলের বর্ণনায় ব্যবহারকারী কি ধরনের ভিডিও পাবেন তার বর্ণনা দেওয়া থাকে । এর সাথে অবশ্যই প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড নির্বাচন করুন ।
এমন কোন আইকন বা লোগো নির্বাচন করুন যেন তা আপনার ব্রান্ডিং এর পরিচয় বহন করে। আকর্ষনীয় কাভার ফটো এবং আপনার প্রোফাইল তথ্য সমৃদ্ধ করুন । চেষ্টা করুন যত বেশী তথ্য প্রদান করা যায়।
আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি ওয়েবসাইটের সাথে যুক্ত করুন। তাতে আপনার ভিজিটররা আপনার ইউটিউবে অস্তিত্ব সম্পর্কে জানতে পারবে।
দ্বিতীয় ধাপঃ- ভিডিও অপটিমাইজেশন
চ্যানেল অপটিমাইজেশনের পরবর্তী ধাপ ভিডিও অপটিমাইজেশন। গুগলের সার্চ রেজাল্টে কোনও ওয়েবসাইট বা নির্দিষ্ট পেজকে প্রথমে আনতে চাইলে যেমন সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন করতে হয় ঠিক তেমনি ইউটিউবের সার্চ রেজাল্টে কোনও ভিডিও কে প্রথমে আনতে হলে ইউটিউব ভিডিও অপ্টিমাইজেশন করতে হয়। ভিডিও অপটিমাইজেশনের ধাপগুলো যেমন; (০১) অনপেজ অপটিমাইজেশন এবং (০২) অফপেজ অপটিমাইজেশন। খেয়াল রাখতে হবে, ভিডিও টা অবশ্যই HD কোয়ালিটির হতে হবে কমপক্ষে 720p আর 1080p হলে আরও ভালো হয়
(০১) অনপেজ অপটিমাইজেশন
রিলেভেন্ট কিওয়ার্ডসঃ ভিডিও টাইটেলে রিলেভেন্ট কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন। কীওয়ার্ডটি সংক্ষিপ্ত করুন এবং যেন তা সংশ্লিষ্ট ভিডিউ এর সাথে সঙ্গতিপূর্ন হয়। ভিডিও ডেসক্রিপশনের প্রথম ৫০ শব্দের মধ্যে সবচাইতে রিলেভেন্ট কিওয়ার্ড উল্লেখ করা জরুরি। ভিডিওর জন্য কোন কীওয়ার্ড নির্বাচন করার আগে সেই কীওয়ার্ড দিয়ে গুগল সার্চ করুন। যদি সার্চ result এ ভিডিও দেখতে পান তখন সেই কীওয়ার্ড কে বিশেষ গুরত্ব দিন।
ভিডিও টাইটেলঃ ভিডিওর টাইটেলে সবচেয়ে টার্গেটেড কিওয়ার্ড দিতে হবে। কিওয়ার্ড দিয়ে টাইটেল শুরু করতে হবে আর খুব বেশি আকর্ষণীয় করতে হবে যেন দেখা মাত্রই বুঝা যায় এটাই সঠিক ভিডিও।
ভিডিও ট্যাগঃ ইউটিউব মার্কেটিংয়ে ট্যাগ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভিডিও এর সাথে রিলেভেন্ট কিওয়ার্ড দিয়ে ভিডিও ট্যাগ যুক্ত করুন। অতিরিক্ত ট্যাগ প্রদান থেকে বিরত থাকুন। ইউটিউব আপনার এই ট্যাগগুলো দেখেই ভিওয়ারের কাছে আপনার ভিডিও দেখাবে।
ভিডিও ডেসক্রিপশনঃ খুব সুন্দর করে ইউটিউব ভিডিও এর ডেসক্রিপশন লিখতে হবে। সাধারণত ৩০০+ শব্দের ডেসক্রিপশন ইউটিউব প্রাধান্য দেয়। ডেসক্রিপশন হতে হবে ইউনিক আর সাজানো যেখানে ভিডিওর ব্যাপারে ইনফরমেশন দেয়া থাকবে। ডেসক্রিপশনে ৪ বার কি ওয়ার্ড উল্লেখ করা ভাল।
ট্রান্সক্রিপ্টঃ ভিডিও রেংকিং করাতে ট্রান্সক্রিপ্টের গুরুত্ব আছে। সবচেয়ে ভাল কি ওয়ার্ড গুলো দিয়ে ভিডিও ট্রান্সক্রিপ্ট তৈরি করতে হয়।
অ্যানোটেশনঃ অ্যানোটেশন যুক্ত করুন। ভিডিও দেখার পর ব্যবহারকারীকে লাইক, কমেন্টস, সাবস্ক্রাইব করার জন্য মনে করিয়ে দেবে এই অ্যানোটেশন।
কার্ডঃ ইউটিউবে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্ত হয়েছে কার্ড। এই কার্ড এনোটেশন এর পরিবর্তে ব্যবহৃত হবে।
থাম্বনেলসঃ ভিডিও তে কাষ্টমস থাম্বনেইল যুক্ত করা জরুরী। এটি ব্যবহারকারীকে ভিডিওটিতে ক্লিক করার জন্য প্রভাবিত করে।
প্লেলিস্টঃ ভিডিওটি ইউটিউব প্লেলিষ্ট যুক্ত করতে হবে।
চ্যানেল অথরিটিঃ ইউটিউব চ্যানেল অথারিটি ভিডিও রেংকিংয়ে ভূমিকা রাখে। চ্যানেল অথারিটি বলতে ভিডিও ভিউ এর সাথে সাথে এঙ্গেজমেন্ট বৃদ্ধি , সাবস্ক্রাইবার এবং ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়া পেজগুলোর সাথে চ্যানেলের লিঙ্কিং।
(০২) অফপেজ অপটিমাইজেশন
হাই রিটেনশন ভিউসঃ কতজন মানুষ আপনার ভিডিও দেখলো আর দেখলেও কত সময় দেখলো সেটা অনেক জরুরি। হাই রিটেনশন ভিউ মূলত ভিডিওর টোটাল লেন্থের অন্তত ৫০%-৬০% পর্যন্ত দেখাকে বুঝায়।
ভিডিও কমেন্টসঃ ভিডিও রেংকিং এবং চ্যানেল অথারিটি বাড়াতে কমেন্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ! একটি ভাল ভিডিওতে অনেক পজিটিভ কমেন্ট থাকে, এর মানে ভিওয়ার ভিডিওটি গুরুত্ব দিয়েছে। কোনও ভাল কমেন্টে ধন্যবাদ কিংবা কারো প্রশ্নের উত্তর দিয়ে এঙ্গেজমেন্ট বাড়ানো রেংকিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সাবস্ক্রাইবারসঃ ভিওয়ার ভিডিওটি পছন্দ করলে পরবর্তী ভিডিও বা আপডেটের জন্য সাবস্ক্রাইব করবে যেটা শুধু ইউটিউব না বরং গুগলের কাছেও প্রাধান্য সৃষ্টি করবে।
ফেভারিটসঃ ভিডিও রেংকিংয়ের অন্যতম ফ্যাক্ট হচ্ছে কতজন মানুষ ভিডিওটি ফেভারিট করলো আর আর “Watch Later” লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করলো।
থাম্বস আপস/ডাউনস বা লাইকস/ডিজলাইকসঃ ভিডিও লাইক বা ডিজলাইকের উপর ভিডিও রেংকিং নির্ভর করে। কেউ ভিডিও পছন্দ করলে থাম্বস আপ দিবে আর বিরক্ত হলে থাম্বস ডাউন করবে। এটা ভিজিটরের কাছে ভিডিও এর ভিডিও কোয়ালিটি আর নির্ভরশীলতাও প্রকাশ করে।
ব্যাকলিঙ্কসঃ ইনবাউন্ড লিঙ্কসমূহকে ইউটিউব ব্যাংকলিঙ্কস হিসেবে গণ্য করে। রিলেভেন্ট ব্যাকলিঙ্কস ইউটিউব ভিডিও রেংকিংয়ের জন্য উপকারী।
সোশ্যাল শেয়ারস এবং এম্বেডসঃ ইউটিউব ভিডিও রেংকিংয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও শেয়ার এবং ব্লগ পোষ্টে এম্বেডের অনেক অনেক গুরুত্ব আছে। অর্থাত বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া যেমন ফেসবুক, টুইটার, গুগল প্লাস ইত্যাদিতে শেয়ার করতে হবে। এগুলো ইউটিউব রেংকিং সিগন্যাল হিসেবে বিবেচিত হয়। চ্যানেল সেটিং ব্যবহার করে ইউটিউব ভিডিওগুলো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করা যায়।
ইউটিউব ভিডিও এর এসইও
ইউটিউব এর হাজারো ভিডিও এর মধ্যে ৫ টি পদ্ধতির মাধ্যমে আপনার ভিডিও কে নিয়ে আসুন রাঙ্কিং এ। প্রতি মিনিটে ১০০ ঘন্টার বেশি ভিডিও আপলোড হয় ইউটিউব এ।তাই আপনার ভিডিও কে রাঙ্কিং এ নিয়ে আসতে আজই করে ফেলুন SEO। নিচের ৫ টি পদ্ধতির মাধ্যমে। নিচে তার বর্ণনা করা হল-
1. Super-Long Video Descriptions:
ইউটিউব এবং গুগল ভিডিও দেখতে পারে না বুঝতেও পারে না । সে জন্য ইউটিউব কে ভিডিওর বর্ণনার উপর নির্ভর করে ভিডিও কে বুঝতে হয় । ইউটিউব ভিডিও সম্পর্কে যত ভাল বুঝতে পারবে, জানতে পারবে ততই সহজে রাঙ্ক করতে পারবে।
2. “Video Keywords” ব্যাবহার করা :
ইউটিউব – এ রাঙ্কিং করা ভাল তবে ইউটিউব এবং গুগল উভয়ই এ রাঙ্কিং করতে পারলে সেটা অনেক ভাল।আপনারা যখন গুগল সার্চ দেন মাঝে মাঝে কিছু ভিডিও দেখায় আবার দেখায় না।যখন কোন কীওয়ার্ড দিয়ে ভিডিও দেখায় সেই গুলি কিছু নির্দিষ্ট কীওয়ার্ড । সেই কীওয়ার্ড কে বলা হয় “Video Keywords”. যেমন এখানে cute cats এবং ankle sprain এর মধ্যে cute cats ভিডিও কীওয়ার্ড ।
3. Online communities থেকে ভিডিও views বাড়ানো :
online communities যেমন Quora এবং Linkedln ইত্যাদি ভিডিও views বাড়ানোর জন্য অন্যতম মাধ্যম।মানুষ সাধারণত কোন লিঙ্ক এ ক্লিক করতে চায় না। কিন্ত অন্য কেউ শেয়ার করা ভিডিও দেখে।তাই এই সাইট গুলিতে ভিডিও শেয়ার করলে তাদের ভাল লাগলে তারা শেয়ার করে। ভিডিওর সাথে সম্পর্কিত ব্যক্তিদের মাঝে শেয়ার করলে সেটা অনেক ভাল। ভিডিও সম্পর্কিত বাক্তি দ্বারা views বারলে এবং ভিডিওর কোয়ালিটি ভাল হলে ইউটিউব সেটাকে আগে রাঙ্কিং করে। ভিডিও কে online communities তে শেয়ার করুন যাতে related views বারে যা ইউটিউব রাঙ্কিং এ সাহায্য করে তবে অবশ্যই ভাল কোয়ালিটির ভিডিও হতে হবে।
4. Subscribing and Liking এর জন্য আহ্বান করা:
ইউটিউব এলগরিদম এ কোন backlinks ব্যাবহার করে না। যা ব্যাবহার করে তা হল user experience বা যারা ভিডিও দেখে তাদের অবিজ্ঞতা।
Subscribing and Liking ইউটিউব এর জন্য সবচেয়ে গুরত্বপুর্ন বিষয়। যখন কেউ ভিডিও দেখার পর সাবস্ক্রাইব করে এত করে ইউটিউব মনে করে সেই ভিডিও টা খুবি প্রয়োজনীয় এবং সবার পছন্দ করার মতা একটা ভিডিও। ভিডিও লাইক অপেক্ষাকৃত কম গুরত্বপুর্ন কিন্তু এটাও ইউটিউব গননা করে।আপনি এই কাজ গুলি করতে পারেন ভিডিও তে সাবস্ক্রাইব এবং লাইক আহ্বান করার মধমে। ভিডিও র শেষ দিকে সাবস্ক্রাইব এর আহ্বান করতে পারেন।
** অর্থাৎ মানুষ কে ভিডিও তে সাবস্ক্রাইব, লাইক, কমেন্ট করার জন্য আহ্বান করুন।
5.Keyword-Rich Playlists তৈরি করা :
ইউটিউব এ ট্রাফিক বৃদ্ধি করার একটি অন্যতম সহজ পদ্ধতি হল ইউটিউব এর ভিডিও Playlists কে সুন্দর ভাবে সাজানো।কারন সুন্দর ভাবে সাজানো থাকলে একটা ভিডিও দেখার পর আরেকটা ভিডিও দেখার প্রতি আগ্রহ জাগে।
** অর্থাৎ ভিডিও Playlists কে সুন্দর ভাবে সাজাতে হবে।
ইউটিউবের ভিডিও বানানোর জন্য আপনার প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার
1. Screen o matic – এটি কম্পিউটারের স্ক্রীন রেকর্ড করার জন্য ভালোই কাজে দেয়। একই সাথে স্ক্রীন ও ভয়েস রেকর্ড ক্ষমতা সম্পন্ন এই সফটওয়্যারের পেইড ও ফ্রী ভার্সন ২টিই আছে বাজারে। ফ্রী সফটওয়্যার দিয়ে আপনি এক টানা ১৫ মিনিট ভিডিও করতে পারবেন।
2. Wondershare video editor – ছোট খাটো চমৎকার একটি ভিডিও এডিট করার সফটওয়ার। এই ভিডিও এডিটর দিয়ে আপনি যে কোন ছোট খাটো ভিডিও এডিটের কাজ অনায়াসে করতে পারবেন।
3. Camtasia – একটি মাত্র সফটওয়্যার দিয়ে আপনি স্ক্রীনরেকর্ড এবং এডিটের কাজ সেরে নিতে পারবেন। বর্তমানে অনেক প্রফেশনালরা এটাই ব্যাবহার করেন।
সিটিআর (CTR)
গুগল অ্যাডসেন্স তাদের এডের ভিউ এবং প্রাপ্ত ক্লিকের একটি অনুপাত করে। এটিকে মুলত (clickthrough rate) সিটিআর বলা হয়। আমার মতে এটি ১০এর নিচে থাকা উচিত। সিটিআর ১৫ এর উপরে উঠে গেলে বিনা নোটিশে অ্যাডসেন্স ব্যান যাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না। এটিকে কমিয়ে রাখার জন্য নিজে থেকে ফেক ক্লিক থেকে বিরত থাকবেন। নিজের শত্রু, পিটিসি ক্লিকার, রোবট ক্লিকার থেকে দূরে থাকবেন।
ভিডিও ক্রিয়েশন আইডিয়া
নতুন এবং অভিজ্ঞ ইউটিউবারদের জন্য আটটি আলাদা রকম ভিডিও ক্রিয়েশন আইডিয়া নিম্নে উপস্থাপন করা হলো।ভিডিও রেকর্ড এনাবেল একটি স্মার্ট ফোন এবং ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ছাড়া কোন খরচই লাগবে না এই আইডিয়া গুলো নিয়ে কাজ করতে।
অরিগামি টাইপের জিনিসের উপর ভিডিও –
অরিগামি মানে কাগজকে টুকরা না করে শুধু মাত্র ভাজ করে সেটি দিয়ে পাখি, নৌকা, ফুল এই টাইপের জিনিস বানানো। এছাড়া ফেলনা জিনিসকে (প্লাস্টিকের বোতল, পুরাতন কলম, পন্য বহনকারি কার্টুন, ফেলে দেওয়া বাক্স) কাজে লাগিয়ে কি করে ব্যবহার যোগ্য জিনিস বানানো যায় তার উপরে অসংখ্য ক্রিয়েটিভ ভিডিও বানাতে পারেন।
ঘরোয়া কাজের উপর ভিডিও বানাতে পারেন –
বই বাধাই করা, ঘোলা আয়না কি করে পরিষ্কার করা যায়, রান্নাবান্না, সেলাই, বাগান পরিচর্যা এসব টপিকের উপর ভিডিও বানাতে পারেন- এসব জিনিস অনেকেই খুজে ইউটিউবে। তার মানে বেশ ভালো অঙ্কের সাবস্ক্রাইবার পাবেন।
পেইন্টিং –
পেন্টিং মানে ছবি আকা না। পেইন্টিং মানে বিশাল একটা বিষয়। আপনি যদি ভালো আঁকতে পারেন তাহলে আপনি আপনার ইউটিব চ্যানেলে থ্রিডি পেইন্ট, ইলিউসন পেইন্ট, ফর্মাল পেইন্ট, এসবের উপর নিজের বানানো ভিডিও আপলোড করতে পারেন। এই ভিডিও গুলো যদি ক্রিয়েটিভ এবং সহজ কিছু স্টেপের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন তাহলে এটিই হতে পারে আপনার মুল কাজের এবং আয়ের ক্ষেত্র।
মাইক্রোকন্টোলিং নিয়ে ভিডিও – রোবট, সার্কিট, ইলেক্ট্রনিক্স নিয়ে নিজের বানানো অথবা অন্যের আইডিয়া থেকে বানানো প্রজেক্ট গুলো নিয়ে সহজ ভাষায় উপস্থাপন করে ভিডিও বানানো যেতে পারে। তাছাড়া আপনি চ্যানেলে আরো কিছু ভিডিও রাখতে পারেন যেমন নষ্ট রিমোট, টর্চ, ক্যালকুলেটর, প্রয়োজনিয় ইলেক্টনিক্স জিনিসপত্র কি করে ঠিক করা যায় তার উপর। এক বন্যা শেয়ার পেতেও পারেন।
হয়ে যেতে পারেন শিক্ষক – আপনি হয়তো পিয়ানো, গীটার, তবলা বাজাতে পারেন। অথবা আপনি অনেক ভালো নাচতে পারেন। এখন আপনার মোবাইল ফোনটি ব্যাবহার করুন। ইউটিউবএ আমাদের বাংলাদেশি এখনো কোন চ্যানেল নাই যেখানে পিয়ানো, গীটার, নাচ অথবা গান শিখানো হয়। আপনি পারলে আপনিও শুরু করতে পারেন। বেশ সাড়া পাবেন।
খেলাধুলার উপর কিছু করতে পারেন – হয়তো আপনি অনেক ভালো সাইকেল চালাতে পারেন অথবা ভালো ক্রিকেট, ফুটবল খেলতে পারেন। আপনি আপনার চ্যানেলে বিভিন্ন রকম ক্রিকেটের ভালো শর্ট খেলার কৌশল, ভালো ফুটবল খেলার কৌশল, সাইকেলের হরেক রকম স্টান্ট, শেয়ার করতে পারেন। এই রকম বাংলা ভিডিওর অনেক অভাব আছে।
নিজেকে ভালো করে উপস্থাপন করতে পারেন – সেই দিন ফেসবুকে এক ভাইের সাথে কথা হল। সে ভালো আরজে হতে পারতো। হয়তো ভাগ্যের জন্য হতে পারে নাই। আপনারও হয়তো সেই মেধা আছে। সুন্দর করে আপনি মোবাইলে ভিডিও রেকর্ড অন করে আপনি সাম্প্রতিক সময়ের কিছু ঘটনাকে মজার কিছু ভঙ্গিমাতে উপস্থাপন করতে পারেন। পারলে বন্ধুদের হেল্প নিতে পারেন। মনে রাখবেন মানুষ অধিকাংশ সময় বিনোদনের জন্যই ইউটিউবে যায়। আপনি যদি আপনার এই রকম বিনোদন মুলক চ্যানেলের মাধ্যমে যুক্তি-যুক্ত কিছু তুলে ধরতে পারেন তাহলে সাবস্ক্রাইবার তর তর করে বেড়ে যাবে।। তাছাড়া আপনি যদি নিজেকে আর ভালো করে উপস্থাপন করতে পারেন তাহলে আপনি পাঠ্যবইের কিছু বিশ্রী সমস্যার সহজ এবং সাবলীল সমাধান দিতে পারেন আপনার ভিডিওতে। যেমন পিথাগোরাসের সেই উপপাদ্য, নিউটনের দাঁতভাঙ্গা প্রস্তাবনার সমাধান, গাণিতিক বিখ্যাত সমস্যা গুলোর সমাধান। আর অবশ্যই ভিডিও আপলোড করার পরে এসইও করার কথা ভুলবেন না।
নতুন আপডেট হতে পারে একটি চ্যানেল আইডিয়া – বিদেশে ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে সাম্প্রতিক হয়ে যাওয়া ঘটনা, দুর্ঘটনা, খেলার গুরুত্বপূর্ণ হাইলাইট, এসব উপস্থাপন করে। আপনিও কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন। নিজে উপস্থাপন করবেন। লাগলে কিছু ছবি এড করতে পারেন। সরাসরি কপি করবেন না।
ইউটিউব থেকে টাকা আয়ের কয়েকটি উপায়
০১. অ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে
ইউটিউব থেকে আয় করার জনপ্রিয় এবং বড় মাধ্যম অ্যাডসেন্স। শুধুমাত্র ইউটিউব অ্যাডসেন্স ব্যবহার করে মাসে কয়েক লক্ষ ডলার পর্যন্ত আয় করা যায়।
০২. পণ্য বিক্রি করে
কেউ কোন পণ্য কিনার জন্য মন স্থির করলে সেই পণ্য সম্পর্কে জানতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইউটিউব ভিডিওই দেখে থাকে। সুতরাং প্রোডাক্ট সম্পর্কে ভিডিও যুক্ত করে আপলোড করে নিজ পণ্য মার্কেটিং করে টাকা আয় করা যায়।
০৩. এফিলিয়েট প্রোডাক্ট এর রিভিউ করে
এটি ইউটিউব ব্যাবহারের আরেকটি জনপ্রিয় মাধ্যম। এই ক্ষেত্রে মানুষ আমাজন বা অন্য কোন এফিলিয়েট নেটওয়ার্ক এর পণ্যের এফিলিয়েশন করে থাকে। সাধারনত নিজের এফিলিয়েট লিঙ্ক ভিডিও এর ডেসক্রিপশনে দিয়ে দেওয়া হয় এবং ভিডিও তে সেই প্রোডাক্ট সম্পর্কে রিভিও প্রদান করা হয়। সেই ভিডিও থাকাকালীন কেউ যদি ঐ লিঙ্কের মাধ্যমে গিয়ে কোন পণ্য ক্রয় করে থাকে তবে এফিলিয়েটর কমিশন পায়।
৪. ইউটিউব এর পার্টনার হোন
বর্তমানে পৃথিবী ব্যাপী প্রায় ১৫ হাজারেরও বেশি ইউটিউব পার্টনার আছেন। পার্টনাররা ভাড়ার ভিত্তিতে ভিডিও অভারলেয় করে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে এবং আয় ইউটিউব এর সাথে ভাগাভাগি করে নেয়। তাদেরদে অনেক সময় ব্রান্ডদের এন্টারটেইনার বা ভিডিও মার্কেটার হিসেবে হায়ার করাও হয়ে থাকে। অনেক সময় একটা ব্রান্ডের জন্য বিশেষ ভিডিও তৈরি করেও এরা অনেক টাকা উপার্জন করে।
৫. আপনার ভিডিওর ডেসক্রিপশনে লিঙ্ক বিক্রি করুন
এটা অনেক মজার একটা আয়। ধরুন যেকোনো বিষয়ের উপর আপনার একটা ভিডিও ইউটিউব এ প্রথম দিকে আছে। এই মুহূর্তে এই ধরনের প্রোডাক্ট যাদের আছে আপনি চাইলেই তাদের কাছে এককালীন অথবা দীর্ঘমেয়াদী শর্তে একটা লিঙ্ক বিক্রি করতে পারেন যা আপনার ভিডিও এর ডেসক্রিপশনে থাকবে। কয়েকটা ভিডিও তে এসইও করেই আপনি এইভাবে লিঙ্ক বিক্রি শুরু করতে পারেন। তবে এই ক্ষেত্রে ভিডিও তে অবশ্যই ভালো মানের ভিসিটর থাকতে হবে আর এভাবে লিঙ্ক দিয়ে আপনি আপনার নিজের ওয়েবসাইট বা ওয়েব ব্লগেও প্রচুর পরিমান ট্রাফিক আনতে পারেন।
০৬. ইউটিউবার
ইউটিউবে তারকা হয়ে ওঠাও হলিউডে তারকা হওয়ার মতো বিষয়। তবে এখানে নিজেকেই ইউটিউবার হতে হয়। ইউটিউবার হতে হলে নিজস্ব উপস্থাপনায় মজার মজার ভিডিও আপলোড করতে হয় আর ক্রমাগত চেষ্টা করে গেলে সাফল্য পেতেও দেরি হয় না।
০৭. নতুন মোবাইল আনবক্সিং ভিডিও এবং রিভিউ প্রদানের মাধ্যমে
নতুন মোবাইল ফোন এর আনবক্সিং এর রিভিও ভিডিও এর ইউটিউবে অনেক চাহিদা রয়েছে, রিভিও দেয়ার সময় ইংরেজী তে কথা বলে দিতে পারেন।
০৮. গেমস এর ভিডিও এবং রিভিউ প্রদানের মাধ্যমে
নতুন নতুন গেমস এর ভিডিও এবং রিভিউ এবং সেটার স্কিন রেকর্ড করে ইউটিউবে আপলোড করে ইনকাম করুন ইনকাম করতে পারেন, বর্তমানে এন্ড্রয়েড বা অ্যাপেল বা আইফোনে বিভিন্ন গেমস, এছাড়া পকিমন গো, ফিফা গেম, এবং মিনিক্রাফট গেম এর অনেক চাহিদা রয়েছে এই গুলা খেলে স্কিন রেকর্ড করে ইউটিউবে আপলোড করে হাল্কা এডিটিং করে ইউটিউবে আপলোড করতে পারেন।
০৯. টিউটোরিয়াল ভিডিও তৈরি করে ইনকাম করুন
ইউটিউবে টিউটোরিয়াল ভিডিও এর অনেক চাহিদা রয়েছে, ফটোশপ, এবং বিভিন্ন ভিডিও এডিটং, ওয়েব ডিজাইন এর কাজ যারা জানেন, সেগুলোর উপর টিউটোরিয়াল তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করতে পারেন আর টিউটোরিয়াল ভিডিও ইউটিউবে ভিউ হয় অনেক।
১০. শিশুতোষ বা শিশুর ফানি ভিডিও অথবা পোষা বিড়াল এর ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমেঃ
শিশুতোষ বা শিশুর ফানি ভিডিও অথবা পোষা বিড়াল এর ভিডিও গুলো মুঠোফোন এর মাধ্যমে ভিডিও করে ইউটিউবে আপলোড করে দিন।
১১. ওয়েব সাইটের ট্রাফিক বাড়ানোর জন্যঃ
এছাড়া আপনার ওয়েব সাইটের ট্রাফিক বাড়াহে আপনি ইউটিউব ব্যাবহার করতে পারেন, আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে টার্গেট করে ভিডিও বানাতে পারেন ওয়েব সাইটের মাধ্যমে আপনি কি কি সার্ভিস দিতে চান সেটার উপর একটা ভিডিও তৈরি করেন এই ভিডিও আপনি পাওয়ার পয়েন্ট, উইন্ডোজ মুভি মেকার দিয়ে খুব সহজে ভিডিও তৈরি করতে পারেন এতে করে আপনার যখন আপনি ভিডিও আপলোড করবেন তখন ভিডিও এর ডেসক্রিপশন এ আপনার ওয়েব সাইটের লিংক দিয়ে দিবেন তাতে করে আপনার ওয়েব সাইটের ট্রাফিক বাড়বে সেখান থেকে একটা ইনকাম আসবে আবার আপলোড করা ভিডিও থেকেও ইনকাম আসবে
ভিডিও আপলোড করার ক্ষেত্রে যেই সকল বিষয়ে নজর রাখবেনঃ
নিজের ক্যামেরা বা ফোন থেকে করা ভিডিও।
সম্পূর্ন ইউনিক এমন ভিডিও যেটি কেউ সত্ত্বাধিকারী বা দাবীদার নয়।
সব বয়সী লোকের কাছে গ্রহণযোগ্য।
সঠিক অডিও স্ট্রিম।
সঠিক ভিডিও বিট-রেট, ফ্রেম রেট, রেজুলেশন, অডিও বিট-রেট।
কমিডি টাইপের কিছু হলে বেশ ভাল এবং তা চ্যনেলের জন্য খুবই কার্যকর।
৪-৬ মিনিট লেংথ এর ভিডিও। লেংথ বেশী হলে ইউজারের বিরক্তি চলে আসে।
ভিডিওতে আপনার চ্যনেলের লগো ব্যবহার করেন। এতে চ্যনেলের প্রতি ইউজারের বিশ্বাস দৃঢ় হবে।
ভিডিও এর শেষের দিকে এমন কিছু ফান বা আকর্ষনীয় টাইপের কথা বা লিখা দিয়ে
আপনার চ্যনেল সাবস্ক্রাইব করার জন্য অনুরোধ করুন।
যে সকল ভিডিও আপলোড না করাই ভালঃ
অন্য কোন চ্যনেল/কোম্পানির ভিডিও যেমনঃ মিউজিক ভিডিও, টিউটরিয়াল, মজার ভিডিও সহ অন্যান্য ভিডিও সমূহ। এতে Youtube এর কাছে চ্যনেলের রেপুটেশন কমে যায়।
আগেই থেকেই কপিরাইট করা কোন ভিডিও অবশ্য এমন ভিডিও পাবলিশ করার সুযোগ Youtube দেয় না।
কোন চ্যনেল/কোম্পানির লোগো লাগানো এমন ভিডিও যেটি দ্বারা সেই কোম্পানির নিজস্ব সত্ব প্রকাশ পায়।
কাউকে হয়রানি বা হেয় প্রতিপন্ন করা এমন ভিডিও।
এমন ভিডিও যার ব্যাকগ্রাউন্ডে অন্য কোন কোম্পানির মিউজিক রয়েছে।
Youtube এ নেই কিন্তু ইন্টারনেটে আগেই আপলোড হয়েছে এমন ভিডিও ভুলেও আপলোড করবেন না।
কিছু কাজ যা ভুলেও করবেন নাঃ
অন্য কারো ভিডিও ডাউনলোড করে সেটা আপলোড করবেন না। কিংবা কপিরাইটেড ভিডিও পাবলিশ করবেন না।
ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার পর সেইম অ্যাকাউন্ট লগিন করা সময় নিজ থেকে View বাড়ানোর চোরা বুদ্ধি পরিহার করা উচিত। এতে চ্যানেল ব্যান খাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে!
ইউটিউব ভিউ এর সাথে সাথে লাইক/ডিজলাইকের একটা নির্দিষ্ট অনুপাত মেইন্টেইন করে। ভুলেও নিজ থেকে এগুলো করার চেষ্টা করবেন না। এগুলো করলে ইউটিউব পুরো চ্যানেলকেই ব্যান করে দিতে পারে।
আপনি অন্য কোনো সিনেমা বা টিভির থেকে নেওয়া ভিডিও বা অডিও , এমনকি আপনার ভিডিওর মধ্যেও যদি অন্য কারো ভিডিও বা অডিও থাকে তাহলে সেটাও মনেটাইজ হবে না, ইচ্ছে করলে ইউটিউব আপনাকে সঙ্গে সঙ্গে ব্লক করে দিতে পারে এবং আর আপনি কখনই আপনার নিজের নামে ভবিষ্যতে অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন না।
কিছু টিপস :
আপনি যখন ভিডিও মেক করবেন তখন সেখানে মানুষ দেরকে বিনোদোন দেয়ার জন্য ট্রাই করবেন তাতে করে আপনার চ্যানেল এর পপুলারিটি অনেক বৃধি পাবে
কখোনো ই অন্য মানুষ কে কপি করবেন না, আপনি নিজে করার জন্য ট্রাই করবেন
খুব ভালো এবং HD কোয়ালিটির ভিডিও মেক করবেন তাহলে আপনার ভিউয়ার আপনার পুরো ভিডিও টি দেখবে
আপনার কমেন্ট বক্স এ অনেকে খারাপ মন্তব্য করতে পারে সেটাকে আপনি পজিটিভ ভাবে নিবেন
যখন ভিডিও এডিট করবেন তখন ভিডিও তে intro দেয়ার জন ট্রাই করবেন এটা ও ভিউ ভারাতে অনেক কাজে দিবে
আপনার চ্যানেল এর অন্য ভিডিও এর উপরে আপনার অন্য একটি ভিডিও রাখবেন তাহলে আপনার ভিউ বাড়বে
আর সর্বশেষ কথা হলো ভিডিও মেক করা কখোন ও বন্ধ করবেন না
একটি নতুন ইউটিউব চ্যানেলকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার। প্রথমদিকে কোন ভিউ থাকে না, সাবক্রাইবারস থাকে না, চ্যানেল পপুলারিটি থাকে না। তাই এটি আরো জটিল হয়ে পড়ে। Youtube মার্কেটিং তাদের দ্বারাই সম্ভব যারা ধৈর্য্য এবং নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে পারবেন।
গুগল প্লাস মার্কেটিং কি
মার্কেটিং বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বর্তমান সময়ে সব থেকে বেশি জনপ্রিয় এবং বেশি কার্যকরী। ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, ভিকে, পিন্তারইস্ট, স্তাম্বল আপন, ইমগুর, রেদিট এগুলো বেশ জনপ্রিয়। তার মধ্যে গুগল প্লাস মার্কেটিং অন্যতম। বর্তমান সময়ে অনেকে মার্কেটিং এর জন্য সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মধ্যে গুগল প্লাস কেই বেছে নিয়েছেন। কেননা গুগল প্লাস এ অনেক অনেক বেশি ট্রাফিক আনা সম্ভব ওয়েবসাইট গুলাতে। গুগল প্লাস মার্কেটিং খুবি কার্যকরী একটা মার্কেটিং। আপনি যখন গুগল প্লাস এ মার্কেটিং করছেন বা যখন পোস্ট করছেন তখন প্রতিটি পোস্ট গুগল এ শেয়ার হয়ে যায় এতে করে আপনার পোস্ট ইনডেক্স হয়ে যায় গুগল। তার পর কোন ব্যাক্তি যখন গুগল এ সার্চ দেয় তখন খুব সহজে আপনার করা পোস্টটায় প্রথমে শো করে।
কিভাবে গুগল প্লাস অ্যাকাউন্ট ওপেন করবেন?
গুগল প্লাস অ্যাকাউন্ট খোলা খুবি সহজ একটা বিষয়। এই জন্য প্রথমে আপনাকে একটা গুগল অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। গুগল অ্যাকাউন্ট হয়ে গেলে গুগল প্লাস এ মাই অ্যাকাউন্ট এ ক্লিক করে আপনার সব ইনফর্মেশন যোগ করতে হবে। আপনি কি কি বিষয়ে আগ্রহী আছেন টা ফলো করতে হবে এবং আপনি কি বিষয়ে মার্কেটিং করছেন করতে চাচ্ছেন সেইটা ফলো করতে হবে। আপনার যদি লোগো থাকে তাহলে অবশ্যই পেজ লোগো সম্পর্কিত ইমেজ লাগাতে হবে। এতে করে কেও যদি আপনার গুগল প্লাস অ্যাকাউন্ট এ যায় তাহলে আপনার হোম পেজ দেখে আপনাকে ফলো করবে।
আপনার গুগল প্লাস অ্যাকাউন্ট এর অবশ্যই বর্ণনা দিতে হবে। আপনি কোন বিষয়ে মার্কেটিং করবেন এবং আপনার নিস বা প্রোডাক্ট টা কি সেই বিষয়ে বর্ণনা লেখতে হবে খুব সুন্দর করে সবলিল ভাষায়। এই ভাবে আপনি আপনার গুগল প্লাস অ্যাকাউন্ট টি তৈরি করে ফেলতে পারেন।
গুগল প্লাস পেজ কিভাবে তৈরি করবেন?
গুগল প্লাস অ্যাকাউন্ট তৈরি করে আপনি চাইলে একটা পেজ তৈরি করে ফেলতে পারেন। আপনি যখন গুগল প্লাস এ অ্যাকাউন্ট তৈরি করছেন তখন পেজ অপশন এ গিয়ে একটা পেজ খুলে ফেলতে পারেন। এতে করে আপনার মার্কেটিং এর জন্য খুব ভাল হবে। আপনি মার্কেটিং এর জন্য চাইলে আপনার প্রোডাক্ট এর পোস্ট এ ভিডিও বা কনটেন্ট আকারে পোস্ট করতে পারেন। এতে করে আপনার প্রোডাক্ট খুব বেশি রিচ করবে।
গুগল প্লাস এ কিভাবে পোস্ট করবেন?
গুগল প্লাস এ পোস্ট করা খুবি সহজ। আমরা যেভাবে ফেসবুক এ পোস্ট করে থাকি ঠিক একাই ভাবে আমরা গুগল প্লাস এ পোস্ট করতে পারি। গুগল প্লাস এ পোস্ট করার সময় আপনি আপনার পোস্ট এর সম্পূর্ণ কনটেন্ট দিয়ে দিন এবং সব থেকে গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় হচ্ছে আপনি অবশ্যই আপনার পোস্ট এ লিঙ্ক দিয়ে দিন। এতে করে আপনার পোস্ট এ খুব ক্লিক পরবে এবং আপনার ওয়েবসাইট এ খুব ভিউ বাড়বে। গুগল প্লাস এ পোস্ট করার সময় যদি ইমেজ অ্যাড করতে পারেন তাহলে খুব ভাল। কেননা ইমেজ এ এখন অনেক বেশি ক্লিক পরে এবং মার্কেটিং খুব ভাল হয়।
গুগল প্লাস এ লিঙ্ক অ্যাড কিভাবে করবেন?
গুগল প্লাস এ লিঙ্ক অ্যাড করা সব থেকে গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়। আপনার সব থেকে মুখ্য বিষয় হচ্ছে লিঙ্ক অ্যাড করা। কেননা গুগল প্লাস এ লিঙ্ক না দিলে কেও আপনার সাইট এ ভিজিট করবে না এবং পোস্ট গুলা তে কোন রিচ হবে না। তাই আপনাকে অবশ্যই লিঙ্ক অ্যাড করতে হবে। আপনি গুগল প্লাস এ শেয়ার করে বিভিন্ন পেজ এ পোস্ট করে দিতে পারেন এতে করে দেখা যাবে আপনার পোস্ট এ গুগল খুব সহজে ইনডেক্স করছে। গুগল প্লাস এ পোস্ট করা এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া তে শেয়ার করে দাওয়ার মাধ্যমে আপনি খুব সহজে ভিউ পেয়ে যাবেন। তাবে হ্যাঁ, আমরা ফেসবুক থেকে যে ভিউ গুলা পাই এই গুলা তে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, বাউঞ্চ রেট অনেক বেশি থাকে। কিন্ত আপনি যখন কোন প্রোডাক্ট গুগল প্লাস এ শেয়ার করছেন তখন কোন ভিউআর আপনাকে ছেড়ে যাবে না। অর্থাৎ এরা আপনার রিয়াল ভিউআর। তাই আপনাকে অবশ্যই লিঙ্ক অ্যাড করে দিতে হবে এবং খুব সুন্দর সাবলীল ভাষায় প্রোডাক্ট এর বর্ণনা দিতে হবে।
কিভাবে আপনার প্রয়োজনীয় ভিউআর বাড়াবেনঃ
সোশ্যাল মিডিয়া সব থেকে ইতিবাচক দিক হচ্ছে আপনি খুব সহজে আপনার ট্রাফিক পেয়ে যাবেন এবং খুব বেশি রিচ করবে আপনার সাইট এ। তাই মার্কেটিং এর জন্য গুগল প্লাস খুবই ইতিবাচক। যখনি আপনি কোন পোস্ট করবেন বা কোন কিছু শেয়ার করবেন তখন অবশ্যই মনে রাখতে হবে এটি যেন ইউনিক হয় এবং খুব সাবলীল হয়। তা না হলে আপনি যতই পোস্ট করেন না কেন এতা খুব একটা কাজে আসবে না। কারন যখন কেও আপনার পোস্ট পরার জন্য গুগল এ সার্চ দিল এবং আপনার লিঙ্ক টা পেয়ে আপনার সাইট এ গেল কিন্ত আপনি খুব ভাল কিছু শেয়ার বা পোস্ট করেন নাই এতে করে আপনার সাইট এর জনপ্রিয়তা অনেকটা কমে যাবে। ওই ট্রাফিক টা আর কখন ও আপনার সাইট এ ভিজিট করবে না। তাই আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে আপনাকে ইউনিক এবং সাবলিল পোস্ট করা উচিত। এতে আপনি অনেক অনেক বেশি ট্রাফিক পাবেন। আপনার মার্কেটিং খুব ভাল হবে। আপনার ওয়েবসাইট খুব দ্রুত গুগল এ ইনডেক্স হয়ে যাবে।
গুগল প্লাস শেয়ার করার সময় যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবেঃ
সাধারণত গুগল প্লাস এ শেয়ার করার সময় তেমন কোন প্রতিবন্ধকতা থাকে না। তারপর ও কিছু প্রতিবন্ধকতা দেখা যায় পোস্ট শেয়ার করার সময়। আপনি অবশ্যই গুগল প্লাস এ পোস্ট করার সময় বিশেষ কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। তার মধ্যে কিছু বিষয় হলঃ
১. মার্কেটিং করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই বৈধ ভাবেই করতে হবে।
২. মার্কেটিং এর সব রুলস এবং সব নির্দেশনা মেনে মার্কেটিং করতে হবে বা অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
৩. কোন অবাঞ্ছিত কথা বা পোস্ট শেয়ার করা যাবেনা।
৪. মার্কেটিং এর জন্য যে সব পোস্ট করবেন বা ইমেজ ব্যবহার করবেন তা অবশ্যই ইউনিক হতে হবে।
৫. মার্কেটিং এর জন্য ব্যবহার করা ভিডিও অবশ্যই আপনার হতে হবে। অন্য কারো ভিডিও দিতে আপনি মার্কেটিং করতে পারবেন না।
৬. গুগল প্লাস অ্যাকাউন্ট অবশ্যই ভেরিফাইড হতে হবে। তা না হলে অ্যাকাউন্ট ব্যান হওয়ার সম্বাভনা থাকে।
টুইটার
টুইটারের যাত্রা প্রাথমিকভাবে ২০০৬ সালের মার্চ মাসে শুরু হয়। ২০০৬ এর জুলাই মাসে জ্যাক ডর্সি আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন। টুইটার বর্তমানে সারা বিশ্ব্জুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। টুইটার বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ২০১০ সালের ৩১শে অক্টোবর টুইটারে ১৭৫ মিলিয়ন অর্থাৎ ১৭.৫ কোটিরও বেশি সদস্য ছিলো। অন্যান্য পরিসংখ্যান অনুসারে একই সময়ে টুইটারের ১৯০ মিলিয়ন বা ১৯ কোটি সদস্য ছিলো এবং দিনে ৬৫ মিলিয়ন বা সাড়ে ৬ কোটি টুইট বার্তা, এবং ৮ লাখ অনুসন্ধানের কাজ সম্পন্ন হতো। আবার ২০১৬ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী টুইটারের সদস্য সংখ্যা ৩১৯ মিলিয়ন। প্রতি ১ মিনিটে ৩,৫০,০০ টুইট হয়, প্রতি দিন ৫০০ মিলিয়ন টুইট হয় এবং বছরে ২০০ বিলিয়ন টুইট হয়। টুইটারকে ইন্টারনেটের এসএমএস বলে অভিহিত করা হয়।
তাহলে এখন বলুন আপনি কেন টুইটারে আপনার বিজ্ঞাপন দিবেন না। আপনি যদি টুইটার ইউজ না করেন তবে এই বিপুল সংখ্যক লোককে আপনি হারাচ্ছেন, আপনার বিজ্ঞাপন তারা জান্তেই পারছে না। আপনার যে ব্যাবসা বা কোম্পানি হোক না কেন আপনাকে এক সময় না একসময় এখানে আসতেই হবে সেটা যদি আপনি দ্রুত আসেন তাহলে আপনার জন্যি মঙ্গলজনক। নিচে টুইটার মার্কেটিং প্রতিষ্ঠান এর জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ তা তুলে ধরছি।
আপনি টুইটারে একটিভ থাকলে আপনার টার্গেটেড কাস্টমারের আচারন সম্পর্কে ধারনা লাভ করতে পারবেন।
আপনি ব্যবসায়িক ট্রেন্ড সম্পর্কে ধারনা লাভ করতে পারবেন। কি ধরনের প্রোডাক্টের চাহিদা বেশী সেটি আপনি টুইটারে একটিভ থাকলে ভালো ভাবে জানতে পারবেন এবং সেই সার্ভিস প্রদান করে লাভবান বা ব্যবসায় সম্প্রসারণ করতে পারবেন।
আপনি যদি আপনার প্রতিষ্ঠান এর ব্র্যান্ড তৈরি করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে টুইটার কেই বেছে নিতে হবে কারণ এখানেই সব থেকে সহজ মাধ্যমে আপনি আপনার ব্র্যান্ড তৈরি থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন।
আপনি বিভিন্ন ধরনের সামাজিক, ইনফরমেশন ভিত্তিক টুইট এর মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জনের পাশাপাশি আপনার ব্যবসায়ের একটা ভালো মনোভাব সবার মধ্য সৃষ্টি করতে পারবেন।
প্রোডাক্ট এর সেল বৃদ্ধি, রিভিউ এবং রেপুটেশনে বৃদ্ধির জন্য টুইটার অন্যতম মাধ্যম, এখানে আপনি অতি সহজে এই কাজগুলো সফল্ভাবে করতে পারবেন।
টুইটারে আপনি অতি সহজে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবেন সামান্য কিছু সিস্টেম ব্যবহারের মাধ্যমে।
টুইটারে স্পামিং এর সম্ভাবনা অনেক কম থাকে ফলে এখানে আপনি নিয়ম অনুযায়ী ভালোভাবে আপনার মার্কেটিং করতে পারবেন।
0 Comments